ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেয়ার ব্যবসায় ঝুকেঁছে উৎপাদনকারী আনোয়ার গ্যালভানাইজিং

শেয়ার ব্যবসায় ঝুঁকে পড়েছে লোহার পাইপ ফিটিংস ও ব্রেক ড্রামস উৎপাদনকারী আনোয়ার গ্যালভানাইজিং। শেয়ারবাজারের গত কয়েক মাসের উত্থানে এ কোম্পানি কর্তৃপক্ষ মূল ব্যবসার থেকে শেয়ারবাজারে ঝুকেঁ পড়েছে। যা কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ১ম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর ২১) মুনাফায় বড় উত্থানও এনে দিয়েছে। তবে ২য় প্রান্তিকে শেয়ারবাজার খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের মুনাফায়ও বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে।

১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের মূল ব্যবসা হচ্ছে গ্যালভানাইজড কারাজেটেড শীট, লোহার পাইপ ফিটিংস ও ব্রেক ড্রামস তৈরী ও বাজারজাত করা। তবে কিছু কোম্পানির ন্যায় এই কোম্পানি কর্তৃপক্ষও শেয়ারবাজারের উত্থানে নিজেদেরকে নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারেননি। তাই মূল ব্যবসা থেকে বেশি ঝুঁকে পড়েছেন শেয়ার ব্যবসায়।

দেখা গেছে, আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের আগের বছরের একইসময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছরের ১ম প্রান্তিকে মুনাফা বেড়েছে প্রায় ৪৭৬ শতাংশ। যার পুরোটাই এসেছে শেয়ার ব্যবসা থেকে। এই ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা থেকে যেকোন সময় হোঁচট খাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও শেয়ারটির দর বেড়েছে অস্বাভাবিক। এছাড়া শেয়ারবাজারের চলমান নেতিবাচক পতনে অন্যসব বিনিয়োগকারীর ন্যায় আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের শেয়ার ব্যবসা থেকে বড় লোকসানের শঙ্কা রয়েছে।

আরও পড়ুন……
প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের নিট মুনাফার ৬৪ শতাংশ এসেছে শেয়ার ব্যবসা থেকে
প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের মূল ব্যবসায় লোকসান হলেও শেয়ারবাজার দিয়ে বড় মুনাফা
১৮ কোটি টাকার সোনালি পেপারের ঋণ নিয়ে ৫৬ কোটি টাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ

শেয়ারবাজারের দীর্ঘ অভিজ্ঞ এক ট্রেকহোল্ডার বিজনেস আওয়ারকে বলেন, মূল ব্যবসাকে বাদ দিয়ে কোন কোম্পানির শেয়ার ব্যবসায় জড়িয়ে পড়া স্বাভাবিক লক্ষণ না। কিন্তু অনেক কোম্পানিতেই এমনটি হচ্ছে। এছাড়া ‘এ’ কোম্পানি থেকে ‘বি’ কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে ওই কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধি এবং ‘বি’ কোম্পানি থেকে ‘এ’ কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে ওই কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধির মতো কারসাজির ঘটনা ঘটছে। এক্ষেত্রে অনেকটা পরস্পর যোগসাজোশে এক কোম্পানি আরেক কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধিতে দায়িত্ব পালন করছে। যা দীর্ঘমেয়াদি শেয়ারবাজারের উন্নয়নের পথে বাধাঁ।

তিনি বলেন, মূল ব্যবসার পরিবর্তে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে সাময়িক লাভবান হওয়া যায়, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে সম্ভব না। এখানে রাতারাতি যেমন লাভ করা যায়, তেমনি রাতারাতি লোকসানও হয়। ওইসময় কোম্পানিকে লোকসানে পতিত হতে হবে। অতিত অভিজ্ঞতা এমনটিই বলে। তাই শেয়ারবাজারে একটি কোম্পানির কিছু বিনিয়োগ হতে পারে, কিন্তু মূল ব্যবসার থেকে বেশি না। যদি এমনটি কোন কোম্পানিতে হয়, সেক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদেরকে সচেতন হতে হবে।

স্বল্প মূলধনীর আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের ব্যবসাও ছোট। এছাড়া মুনাফাও আহামরি কিছু হয় না। কিন্তু গত কয়েক মাসে শেয়ারটির দর উঠে গেছে অন্য উচ্চতায়। গত ১২ এপ্রিলের ৯৬.৩০ টাকার শেয়ারটি ৩ অক্টোবর লেনদেন শেষে বেড়ে দাড়াঁয় ৪৬৪ টাকায়। এক্ষেত্রে দর বাড়ে ৩৬৭.৭০ টাকা বা ৩৮১ শতাংশ। তবে শেয়ারটি বাজারের গত কয়েকদিনের পতনে এখন ৩৭৩.৬০ টাকায় নেমে এসেছে।

অন্যসব কোম্পানির ন্যায় আনোয়ার গ্যালভাইজিংয়েরও শেয়ারবাজারের প্রতি ঝুঁকে পড়ার কারন হিসেবে রয়েছে বিগত কয়েক মাসের শেয়ারবাজার টানা উত্থান। এরমধ্যে ৬ মাসের (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর ২১) ব্যবধানে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসইএক্স) মূল্যসূচক বা মানদণ্ড বেড়েছিল ৩৯ শতাংশ। যা দেশের শেয়ারবাজারকে সর্বোচ্চ অবস্থানে নিয়ে গিয়েছিল। সূচকের সঙ্গে সঙ্গে সিকিউরিটিজের দর বা বাজার মূলধনও ইতিহাসের সর্বোচ্চতে উঠে আসে। এই উত্থান অনেক কোম্পানি মূল ব্যবসাকে পাশ কাটিয়ে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহী করতে সক্ষম হয়েছে।

আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের চলতি অর্থবছরের ১ম প্রান্তিকে নিট মুনাফা হয়েছে ৭ কোটি ৮২ লাখ টাকা বা শেয়ারপ্রতি ৫.১৩ টাকা। যে কোম্পানিটি শেয়ার ব্যবসা থেকে মুনাফা করেছে ৭ কোটি ৭২ লাখ টাকা। শেয়ারবাজার থেকে এই মুনাফা না করলে, তলানিতে থাকত ইপিএস।

কোম্পানিটির অনিরীক্ষিত আর্থিক হিসাব অনুযায়ি, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে পণ্য বিক্রি হয়েছে ১৪ কোটি ১০ লাখ টাকা। যার পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ১৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এ হিসেবে বিক্রি কমেছে ২ কোটি ৪২ লাখ টাকার বা ১৫ শতাংশ।

তারপরেও কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছে ৪৭৬ শতাংশ। এক্ষেত্রে পুরো ভূমিকা রেখেছে শেয়ারবাজার থেকে বড় ক্যাপিটাল গেইন অর্জন।

দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের ১ম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৫.১৩ টাকা। যার পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ০.৮৯ টাকা। এ হিসাবে ইপিএস বেড়েছে ৪.২৪ টাকা বা ৪৭৬ শতাংশ।

এর পেছনে প্রধান কারন হিসেবে রয়েছে শেয়ার ব্যবসা থেকে বড় মুনাফা। কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ১ম প্রান্তিকে শেয়ার ব্যবসায় সিকিউরিটিজ বিক্রি থেকে (রিয়ালাইজড গেইন) মুনাফা হয়েছে ৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ও আনরিয়েলাইজড মুনাফা হয়েছে ১৪ লাখ টাকা। যার পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ে ছিল শূন্য।

আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের চলতি অর্থবছরের ১ম প্রান্তিক শেষে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের পরিমাণ দাড়িঁয়েছে ৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা। যার পরিমাণ আগের অর্থবছরের একইসময়ে ছিল ৫৪ লাখ টাকা।

মুনাফায় বড় উত্থানের কারন হিসেবে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং কর্তৃপক্ষ স্টক এক্সচেঞ্জকে অপরিচালন আয় (মূল ব্যবসার বাহিরে অন্যভাবে আয়) বৃদ্ধিকে জানিয়েছেন। যা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হয়।

তারা জানিয়েছেন, ১ম প্রান্তিকের ৫.১৩ টাকা ইপিএসের মধ্যে ৪.৩৬ টাকাই অপরিচালন আয় থেকে এসেছে। যা আগের বছরের একই সময়ে ০.৮৮৯ টাকা ইপিএসের মধ্যে ছিল ০.০০৩ টাকা।

বিজনেস আওয়ার/১৫ নভেম্বর, ২০২১/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

3 thoughts on “শেয়ার ব্যবসায় ঝুকেঁছে উৎপাদনকারী আনোয়ার গ্যালভানাইজিং

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

শেয়ার ব্যবসায় ঝুকেঁছে উৎপাদনকারী আনোয়ার গ্যালভানাইজিং

পোস্ট হয়েছে : ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ নভেম্বর ২০২১

শেয়ার ব্যবসায় ঝুঁকে পড়েছে লোহার পাইপ ফিটিংস ও ব্রেক ড্রামস উৎপাদনকারী আনোয়ার গ্যালভানাইজিং। শেয়ারবাজারের গত কয়েক মাসের উত্থানে এ কোম্পানি কর্তৃপক্ষ মূল ব্যবসার থেকে শেয়ারবাজারে ঝুকেঁ পড়েছে। যা কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ১ম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর ২১) মুনাফায় বড় উত্থানও এনে দিয়েছে। তবে ২য় প্রান্তিকে শেয়ারবাজার খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের মুনাফায়ও বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে।

১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের মূল ব্যবসা হচ্ছে গ্যালভানাইজড কারাজেটেড শীট, লোহার পাইপ ফিটিংস ও ব্রেক ড্রামস তৈরী ও বাজারজাত করা। তবে কিছু কোম্পানির ন্যায় এই কোম্পানি কর্তৃপক্ষও শেয়ারবাজারের উত্থানে নিজেদেরকে নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারেননি। তাই মূল ব্যবসা থেকে বেশি ঝুঁকে পড়েছেন শেয়ার ব্যবসায়।

দেখা গেছে, আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের আগের বছরের একইসময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছরের ১ম প্রান্তিকে মুনাফা বেড়েছে প্রায় ৪৭৬ শতাংশ। যার পুরোটাই এসেছে শেয়ার ব্যবসা থেকে। এই ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা থেকে যেকোন সময় হোঁচট খাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও শেয়ারটির দর বেড়েছে অস্বাভাবিক। এছাড়া শেয়ারবাজারের চলমান নেতিবাচক পতনে অন্যসব বিনিয়োগকারীর ন্যায় আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের শেয়ার ব্যবসা থেকে বড় লোকসানের শঙ্কা রয়েছে।

আরও পড়ুন……
প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের নিট মুনাফার ৬৪ শতাংশ এসেছে শেয়ার ব্যবসা থেকে
প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের মূল ব্যবসায় লোকসান হলেও শেয়ারবাজার দিয়ে বড় মুনাফা
১৮ কোটি টাকার সোনালি পেপারের ঋণ নিয়ে ৫৬ কোটি টাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ

শেয়ারবাজারের দীর্ঘ অভিজ্ঞ এক ট্রেকহোল্ডার বিজনেস আওয়ারকে বলেন, মূল ব্যবসাকে বাদ দিয়ে কোন কোম্পানির শেয়ার ব্যবসায় জড়িয়ে পড়া স্বাভাবিক লক্ষণ না। কিন্তু অনেক কোম্পানিতেই এমনটি হচ্ছে। এছাড়া ‘এ’ কোম্পানি থেকে ‘বি’ কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে ওই কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধি এবং ‘বি’ কোম্পানি থেকে ‘এ’ কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে ওই কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধির মতো কারসাজির ঘটনা ঘটছে। এক্ষেত্রে অনেকটা পরস্পর যোগসাজোশে এক কোম্পানি আরেক কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধিতে দায়িত্ব পালন করছে। যা দীর্ঘমেয়াদি শেয়ারবাজারের উন্নয়নের পথে বাধাঁ।

তিনি বলেন, মূল ব্যবসার পরিবর্তে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে সাময়িক লাভবান হওয়া যায়, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে সম্ভব না। এখানে রাতারাতি যেমন লাভ করা যায়, তেমনি রাতারাতি লোকসানও হয়। ওইসময় কোম্পানিকে লোকসানে পতিত হতে হবে। অতিত অভিজ্ঞতা এমনটিই বলে। তাই শেয়ারবাজারে একটি কোম্পানির কিছু বিনিয়োগ হতে পারে, কিন্তু মূল ব্যবসার থেকে বেশি না। যদি এমনটি কোন কোম্পানিতে হয়, সেক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদেরকে সচেতন হতে হবে।

স্বল্প মূলধনীর আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের ব্যবসাও ছোট। এছাড়া মুনাফাও আহামরি কিছু হয় না। কিন্তু গত কয়েক মাসে শেয়ারটির দর উঠে গেছে অন্য উচ্চতায়। গত ১২ এপ্রিলের ৯৬.৩০ টাকার শেয়ারটি ৩ অক্টোবর লেনদেন শেষে বেড়ে দাড়াঁয় ৪৬৪ টাকায়। এক্ষেত্রে দর বাড়ে ৩৬৭.৭০ টাকা বা ৩৮১ শতাংশ। তবে শেয়ারটি বাজারের গত কয়েকদিনের পতনে এখন ৩৭৩.৬০ টাকায় নেমে এসেছে।

অন্যসব কোম্পানির ন্যায় আনোয়ার গ্যালভাইজিংয়েরও শেয়ারবাজারের প্রতি ঝুঁকে পড়ার কারন হিসেবে রয়েছে বিগত কয়েক মাসের শেয়ারবাজার টানা উত্থান। এরমধ্যে ৬ মাসের (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর ২১) ব্যবধানে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসইএক্স) মূল্যসূচক বা মানদণ্ড বেড়েছিল ৩৯ শতাংশ। যা দেশের শেয়ারবাজারকে সর্বোচ্চ অবস্থানে নিয়ে গিয়েছিল। সূচকের সঙ্গে সঙ্গে সিকিউরিটিজের দর বা বাজার মূলধনও ইতিহাসের সর্বোচ্চতে উঠে আসে। এই উত্থান অনেক কোম্পানি মূল ব্যবসাকে পাশ কাটিয়ে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহী করতে সক্ষম হয়েছে।

আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের চলতি অর্থবছরের ১ম প্রান্তিকে নিট মুনাফা হয়েছে ৭ কোটি ৮২ লাখ টাকা বা শেয়ারপ্রতি ৫.১৩ টাকা। যে কোম্পানিটি শেয়ার ব্যবসা থেকে মুনাফা করেছে ৭ কোটি ৭২ লাখ টাকা। শেয়ারবাজার থেকে এই মুনাফা না করলে, তলানিতে থাকত ইপিএস।

কোম্পানিটির অনিরীক্ষিত আর্থিক হিসাব অনুযায়ি, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে পণ্য বিক্রি হয়েছে ১৪ কোটি ১০ লাখ টাকা। যার পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ১৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এ হিসেবে বিক্রি কমেছে ২ কোটি ৪২ লাখ টাকার বা ১৫ শতাংশ।

তারপরেও কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছে ৪৭৬ শতাংশ। এক্ষেত্রে পুরো ভূমিকা রেখেছে শেয়ারবাজার থেকে বড় ক্যাপিটাল গেইন অর্জন।

দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের ১ম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৫.১৩ টাকা। যার পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ০.৮৯ টাকা। এ হিসাবে ইপিএস বেড়েছে ৪.২৪ টাকা বা ৪৭৬ শতাংশ।

এর পেছনে প্রধান কারন হিসেবে রয়েছে শেয়ার ব্যবসা থেকে বড় মুনাফা। কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ১ম প্রান্তিকে শেয়ার ব্যবসায় সিকিউরিটিজ বিক্রি থেকে (রিয়ালাইজড গেইন) মুনাফা হয়েছে ৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ও আনরিয়েলাইজড মুনাফা হয়েছে ১৪ লাখ টাকা। যার পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ে ছিল শূন্য।

আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের চলতি অর্থবছরের ১ম প্রান্তিক শেষে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের পরিমাণ দাড়িঁয়েছে ৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা। যার পরিমাণ আগের অর্থবছরের একইসময়ে ছিল ৫৪ লাখ টাকা।

মুনাফায় বড় উত্থানের কারন হিসেবে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং কর্তৃপক্ষ স্টক এক্সচেঞ্জকে অপরিচালন আয় (মূল ব্যবসার বাহিরে অন্যভাবে আয়) বৃদ্ধিকে জানিয়েছেন। যা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হয়।

তারা জানিয়েছেন, ১ম প্রান্তিকের ৫.১৩ টাকা ইপিএসের মধ্যে ৪.৩৬ টাকাই অপরিচালন আয় থেকে এসেছে। যা আগের বছরের একই সময়ে ০.৮৮৯ টাকা ইপিএসের মধ্যে ছিল ০.০০৩ টাকা।

বিজনেস আওয়ার/১৫ নভেম্বর, ২০২১/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: