ঢাকা , রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মডেল তিন্নি হত্যা: রায় থেকে উত্তোলন করে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য

  • পোস্ট হয়েছে : ০১:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ নভেম্বর ২০২১
  • 28

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যা মামলার রায় ঘোষণা থেকে উত্তোলন করে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (১৫ নভেম্বর) ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কেশব রায় চৌধুরীর আদালতে রায়ের জন্য নথি উপস্থাপন হলে মামলার রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর ভোলা নাথ দত্ত জানান, তিন্নির বাবা সৈয়দ মাহবুবুল করিম ও চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম আদালতে উপস্থিত হয়েছেন। তারা রায় হবে জানতেন না। পত্রিকায় দেখে এসেছেন। বাবার আংশিক সাক্ষী হয়েছিল। আর চাচার সাক্ষী হয়নি। তারা সাক্ষ্য দিতে চান। আমরা রায় থেকে উত্তোলনের জন্য আবেদন করি। আদালত তা মঞ্জুর করে দুজনের সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী বছর ৫ জানুয়ারি ধার্য করেছেন।

তিন্নির চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পরিবর্তন হওয়ায় আমরা বিষয়টি জানতাম না। আগের পিপি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। আমরা পত্রিকায় খবর দেখে আজ আদালতে এসেছি।

এর আগে কয়েক দফা পেছায় তিন্নি হত্যা মামলার রায়ের তারিখ। মামলার একমাত্র আসামি জাতীয় পার্টি সাবেক সাংসদ গোলাম ফারুক অভি। যিনি বিদেশে পলাতক রয়েছেন।

২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রাতে কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীর ওপর ১ নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর ১১ নম্বর পিলারের পাশে মডেল তিন্নির লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় পরদিন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন কেরানীগঞ্জ থানার তৎকালীন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. সফি উদ্দিন। এ মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কাইয়ুম আলী সরদার। এরপর তিন্নির লাশের ছবি পত্রিকায় ছাপা হলে সুজন নামে এক আত্মীয় লাশটি শনাক্ত করেন। ২০০২ সালের ২৪ নভেম্বর মামলার তদন্তভার সিআইডিতে ন্যস্ত করা হয়। তদন্তের দায়িত্ব পান তৎকালীন সিআইডির পরিদর্শক ফজলুর রহমান।

এরপর বিভিন্ন সময়ে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির পরিদর্শক সুজাউল হক, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) গোলাম মোস্তফা, এএসপি আরমান আলী, এএসপি কমল কৃষ্ণ ভরদ্বাজ এবং এএসপি মোজাম্মেল হক। সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক ২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর সাবেক ছাত্রনেতা ও সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভিকে একমাত্র আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

মডেল তিন্নি হত্যা: রায় থেকে উত্তোলন করে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য

পোস্ট হয়েছে : ০১:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ নভেম্বর ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যা মামলার রায় ঘোষণা থেকে উত্তোলন করে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (১৫ নভেম্বর) ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কেশব রায় চৌধুরীর আদালতে রায়ের জন্য নথি উপস্থাপন হলে মামলার রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর ভোলা নাথ দত্ত জানান, তিন্নির বাবা সৈয়দ মাহবুবুল করিম ও চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম আদালতে উপস্থিত হয়েছেন। তারা রায় হবে জানতেন না। পত্রিকায় দেখে এসেছেন। বাবার আংশিক সাক্ষী হয়েছিল। আর চাচার সাক্ষী হয়নি। তারা সাক্ষ্য দিতে চান। আমরা রায় থেকে উত্তোলনের জন্য আবেদন করি। আদালত তা মঞ্জুর করে দুজনের সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী বছর ৫ জানুয়ারি ধার্য করেছেন।

তিন্নির চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পরিবর্তন হওয়ায় আমরা বিষয়টি জানতাম না। আগের পিপি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। আমরা পত্রিকায় খবর দেখে আজ আদালতে এসেছি।

এর আগে কয়েক দফা পেছায় তিন্নি হত্যা মামলার রায়ের তারিখ। মামলার একমাত্র আসামি জাতীয় পার্টি সাবেক সাংসদ গোলাম ফারুক অভি। যিনি বিদেশে পলাতক রয়েছেন।

২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রাতে কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীর ওপর ১ নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর ১১ নম্বর পিলারের পাশে মডেল তিন্নির লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় পরদিন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন কেরানীগঞ্জ থানার তৎকালীন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. সফি উদ্দিন। এ মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কাইয়ুম আলী সরদার। এরপর তিন্নির লাশের ছবি পত্রিকায় ছাপা হলে সুজন নামে এক আত্মীয় লাশটি শনাক্ত করেন। ২০০২ সালের ২৪ নভেম্বর মামলার তদন্তভার সিআইডিতে ন্যস্ত করা হয়। তদন্তের দায়িত্ব পান তৎকালীন সিআইডির পরিদর্শক ফজলুর রহমান।

এরপর বিভিন্ন সময়ে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির পরিদর্শক সুজাউল হক, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) গোলাম মোস্তফা, এএসপি আরমান আলী, এএসপি কমল কৃষ্ণ ভরদ্বাজ এবং এএসপি মোজাম্মেল হক। সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক ২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর সাবেক ছাত্রনেতা ও সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভিকে একমাত্র আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: