ঢাকা , শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সোনালী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তার ৩১ বছরের সাজা

  • পোস্ট হয়েছে : ০৭:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ নভেম্বর ২০২১
  • 48

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: সোনালী ব্যাংকের ফেনীর সোনাগাজী শাখার ম্যানেজারসহ আরও দুজনকঙ্ক অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ৩১ বছরের কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ২৫ লাখ করে মোট ৭৫ লাখ টাকার অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার নোয়াখালীর স্পেশাল জজ (জেলা জজ) আদালত এ রায় দেন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, সোনালী ব্যাংকের ফেনীর সোনাগাজী শাখার ম্যানেজার মো. রহিম উল্যাহ খন্দকার, দ্বিতীয় কর্মকর্তা (সেকেন্ড ম্যান) মো. আবুল কালাম ও সহকারী অফিসার মো. মিজানুর রহমান ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ২০১১ সালের ২ অক্টোবর থেকে ২০১২ সালের ১৩ আগস্ট পর্যন্ত দলিলের কাজে ব্যবহৃত ১৬৬টি পে-অর্ডারের ১৯ লাখ ৩৬ হাজার ১৬৫ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০১১ সালের ২ অক্টোবর থেকে ২০১২ সালের ১৩ আগস্ট পর্যন্ত ফেনী জেলার সোনাগাজীর মতিগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রার অফিসে দলিল রেজিস্ট্রির কাজে ব্যবহৃত ও সরকারি খাতে জমা করার জন্য ওই অফিস থেকে ২০ থেকে ২৫ বান্ডিল চালানে পে-অর্ডার নম্বর, টাকা ও তারিখ উল্লেখ করে ব্যাংকে দাখিল করা হয়। এর মধ্যে ২-১টি সরিয়ে রেখে পরবর্তীতে নগদে উত্তোলন, পে-অর্ডারের টাকার অঙ্ক বাড়িয়ে নগদে উত্তোলন এবং সরকারি খাতে জমার জন্য চালানের সঙ্গে ফেরত আসা পে-অর্ডারসমূহ কিছু গায়েব করে সরকারি খাতে জমা না করে আত্মসাৎ করা হয়। এভাবে ১৬৬টি পে-অর্ডারের মোট ১৯ লাখ ৩৬ হাজার ১৬৫ টাকা নগদে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন আসামিরা।

এটি দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সোনাগাজী থানায় এ বিষয়ে মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন দুদক উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান।

বিজনেস আওয়ার/ ১৫ নভেম্বর ২০২১/এএইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

সোনালী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তার ৩১ বছরের সাজা

পোস্ট হয়েছে : ০৭:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ নভেম্বর ২০২১

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: সোনালী ব্যাংকের ফেনীর সোনাগাজী শাখার ম্যানেজারসহ আরও দুজনকঙ্ক অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ৩১ বছরের কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ২৫ লাখ করে মোট ৭৫ লাখ টাকার অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার নোয়াখালীর স্পেশাল জজ (জেলা জজ) আদালত এ রায় দেন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, সোনালী ব্যাংকের ফেনীর সোনাগাজী শাখার ম্যানেজার মো. রহিম উল্যাহ খন্দকার, দ্বিতীয় কর্মকর্তা (সেকেন্ড ম্যান) মো. আবুল কালাম ও সহকারী অফিসার মো. মিজানুর রহমান ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ২০১১ সালের ২ অক্টোবর থেকে ২০১২ সালের ১৩ আগস্ট পর্যন্ত দলিলের কাজে ব্যবহৃত ১৬৬টি পে-অর্ডারের ১৯ লাখ ৩৬ হাজার ১৬৫ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০১১ সালের ২ অক্টোবর থেকে ২০১২ সালের ১৩ আগস্ট পর্যন্ত ফেনী জেলার সোনাগাজীর মতিগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রার অফিসে দলিল রেজিস্ট্রির কাজে ব্যবহৃত ও সরকারি খাতে জমা করার জন্য ওই অফিস থেকে ২০ থেকে ২৫ বান্ডিল চালানে পে-অর্ডার নম্বর, টাকা ও তারিখ উল্লেখ করে ব্যাংকে দাখিল করা হয়। এর মধ্যে ২-১টি সরিয়ে রেখে পরবর্তীতে নগদে উত্তোলন, পে-অর্ডারের টাকার অঙ্ক বাড়িয়ে নগদে উত্তোলন এবং সরকারি খাতে জমার জন্য চালানের সঙ্গে ফেরত আসা পে-অর্ডারসমূহ কিছু গায়েব করে সরকারি খাতে জমা না করে আত্মসাৎ করা হয়। এভাবে ১৬৬টি পে-অর্ডারের মোট ১৯ লাখ ৩৬ হাজার ১৬৫ টাকা নগদে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন আসামিরা।

এটি দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সোনাগাজী থানায় এ বিষয়ে মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন দুদক উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান।

বিজনেস আওয়ার/ ১৫ নভেম্বর ২০২১/এএইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: