ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বেহাল দশা হলেও সম্পদ ব্যবস্থাপকরা চাঙ্গা

  • পোস্ট হয়েছে : ০৩:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০১৯
  • 66

রেজোয়ান আহমেদ : পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকলেও বাংলাদেশে তা তলানিতে। সম্পদ ব্যবস্থাপকদের অদক্ষতা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার খামখেয়ালি সিদ্ধান্তের কারনে ফান্ডগুলো এই শোচণীয় অবস্থায় নেমে এসেছে। সঠিকভাবে বিনিয়োগ করার অভাবে যথাযথ মুনাফা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে ফান্ডগুলো। তবে সম্পদ ব্যবস্থাপকদের তাতে কোন সমস্যা হচ্ছে না। নীট সম্পদের উপর সম্পদ ব্যবস্থাপকদের ফি নির্ধারিত থাকায়, ফান্ডের লোকসান হলেও ফি বাবদ তাদের আয় থেমে থাকে না। এমতাবস্থায় সম্পদ ব্যবস্থাপকদের সঠিক মূল্যায়নে ফান্ডের ব্যবসায়িক পারফরমেন্সের উপরে ফি নির্ধারন করা উচিত বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।

সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিধিমালা ২০১১ অনুযায়ি, ফান্ডের নীট সম্পদের পরিমাণ ৫ কোটি টাকার মধ্যে হলে, সম্পদ ব্যবস্থাপক সর্বোচ্চ ২.৫ শতাংশ ফি নিতে পারবে। এছাড়া নীট সম্পদ ২৫ কোটি টাকার মধ্যে হলে, ৫ কোটি টাকার অতিরিক্ত অংশের জন্য ২ শতাংশ, নীট সম্পদ ৫০ কোটি টাকার মধ্যে হলে, ২৫ কোটি টাকার অতিরিক্ত অংশের জন্য ১.৫ শতাংশ এবং নীট সম্পদ ৫০ কোটি টাকার অতিরিক্ত অংশের জন্য ১ শতাংশ ফি নিতে পারবে।

শেয়ারবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ বিজনেস আওয়ারকে বলেন, ব্যবসায় কোন পারফরম না করেও সম্পদ ব্যবস্থাপকরা অফিসে গিয়ে বসে বসে ফি নেবে-এটা ঠিক না। অবশ্যই পারফরমেন্সর উপরে ফি নির্ধারন করা উচিত। কিন্তু বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বিনিয়োগকারীদের স্বার্থকে বিসর্জন দিয়ে অ্যাসেট ম্যানেজারদের স্বার্থে আইন-কানুন করেছে। তারা তদবিরের কাজ করে। কমিশনের এই খামখেয়ালিপনার জন্য মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগকারীদের কোন আস্থা নেই। এখন আর কেউ মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করে নতুন করে ডুবতে চায় না।

বাংলাদেশের প্রথম প্রাইভেট অ্যাসেট ম্যানেজম্যান্ট কোম্পানি এইমস অব বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়াওয়ার সায়ীদ বিজনেস আওয়ারকে বলেন, সম্পদ ব্যবস্থাপকের পারফরমন্সের উপরে ফি নির্ধারন হওয়া উচিত। যে ভালো পারফরম করলে সে বেশি পাবে, যে কম পারফরম করবে সে কম পাবে। তাহলে সবার মধ্যে ভালো ব্যবসা করার তাগিদ আসবে। আর এখন তো মুনাফা না করলেও বসে বসে ফি পাওয়া যায়। এটা ঠিক না। এ নিয়ে অনেকবার কমিশনে আলাপ আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কোন লাভ হয়নি।

দেখা গেছে, তালিকাভুক্ত ৩৭টি ফান্ডের চলতি অর্থবছরের ৩১ মার্চ শেষে ২১১ কোটি ৭৬ লাখ টাকার নীট মুনাফা হয়েছে। এই মুনাফা অর্জনে সম্পদ ব্যবস্থাপকের ফি বাবদ খরচ হয়েছে ৫৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা। যা নীট মুনাফার ২৮ শতাংশ। এরমধ্যে ভ্যানগার্ড এএমএল রূপালি ব্যাংক ব্যালেন্সড ফান্ডের লোকসান হলেও সম্পদ ব্যবস্থাপক ভ্যানগার্ড অ্যাসেট ম্যানেজম্যান্ট ঠিকই নির্ধারিত ফি পেয়েছেন। যাতে ফান্ডটিতে সম্পদ ব্যবস্থাপক কোন দক্ষতা দেখাতে না পারা সত্ত্বেও তার আয়ে কোনো সমস্যা হয়নি।

ইয়াওয়ার সায়ীদ বলেন, মুনাফার তুলনায় ম্যানেজম্যান্ট ফি ২৮ শতাংশ হওয়া মানে বেশি। এক্ষেত্রে কোন ফান্ড হয়তো অনেক বেশি মুনাফা করেছে, কোনটি হয়তো লোকসান করেছে। যাতে গড়ে ২৮ শতাংশ হয়েছে। তবে পারফরমেন্সের উপরে ফি নির্ধারিত হতো, তাহলে ফান্ডগুলোর মুনাফা আরও বেশি হতো। একারনেই পারফরমেন্সের উপরে ফি নির্ধারন করা উচিত।

এদিকে বিনিয়োগকারীদের আস্থার তলানিতে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট দর পানির দরে পাওয়া যাচ্ছে। তালিকাভুক্ত ৩৭টি ফান্ডের মধ্যে ৩১টির ইউনিট দর অভিহিত মূল্যের নিচে। এরমধ্যে ৭টির দর ৪ টাকার ঘরে রয়েছে। এতো সস্তা হওয়ার পরেও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মিউচ্যুয়াল ফান্ড নিয়ে আগ্রহ নেই।

নিম্নে তালিকাভুক্ত ফান্ডগুলোর চলতি অর্থবছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত মুনাফা ও ম্যানেজম্যান্ট ফি’র তথ্য তুলে ধরা হল- 

আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজম্যান্ট
মিউচ্যুয়াল ফান্ডের নামমূলধন (কোটি)ম্যানেজম্যান্ট ফি (কোটি)মুনাফা (কোটি)
প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট ফান্ড (ডিসেম্বর ক্লোজিং)২০১.১৩০.৪৮
আইসিবি এএমসিএল থার্ড এনআরবি১০০০.৮৮৩.২০
আইসিবি এএমসিএল ফার্স্ট অগ্রনী৯৮.১৫১.০১৩.৯৩
আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড ফান্ড৫০০.৬২১.৯৯
আইসিবি এমপ্লয়ীজ প্রভিডেন্ট ফান্ড ওয়ান : স্কীম ওয়ান৭৫০.৭৪২.২২
আইসিবি এএমসিএল সোনালি ব্যাংক ফার্স্ট ফান্ড১০০০.৯৮৪.৭৪
প্রাইম ব্যাংক ফার্স্ট আইসিবি এএমসিএল ফান্ড১০০০.৯৩৪.৫৬
আইএফআইএল ইসলামিক ফান্ড-ওয়ান১০০০.৯৬৩.৬৭
ফনিক্স ফাইন্যান্স ফার্স্ট ফান্ড৬০০.৬৬২.৫১
বাংলাদেশ রেস ম্যানেজম্যান্ট
ইবিএল ফার্স্ট ফান্ড১৪৪.৭৫১.৪৭৫.৭৪
ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট ফান্ড৩০৩.৫৯২.৬৫১১.২১
আইএফআইসি ফার্স্ট ফান্ড১৮২.১৭১.৭৮৮.২৬
ফার্স্ট জনতা ব্যাংক ফান্ড২৮৯.৯২২.৬৫১২.৫৮
পপুলার লাইফ ফার্স্ট ফান্ড২৯৯.০৯২.৭৩১৩.১৮
পিএইচপি ফার্স্ট ফান্ড২৮১.৮৯২.৫৬১১.০৯
ইবিএল এনআরবি ফান্ড২২৪.২৬২.১২৫.৫২
এবি ব্যাংক ফার্স্ট ফান্ড২৩৯.০৯২.৩৩৭.১৫
ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ফান্ড৭৭৬.১৫১২.৮৮১৩.৪১
এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট ফান্ড১৪৩.২৬১.৪৮৫.৭০
এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজম্যান্ট কোম্পানি
এআইবিএল ফার্স্ট ইসলামিক (মার্চ ক্লোজিং)১০০১.৪৫৭.৮৬
ডিবিএইচ ফার্স্ট ফান্ড১২০১.২৪৭.৪৯
গ্রীণ ডেল্টা ফান্ড১৫০১.৪৭৭.০৯
এমবিএল ফার্স্ট ফান্ড (মার্চ ক্লোজিং)১০০১.৪৭৮.২৬
এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ ওয়ান (সেপ্টেম্বর ক্লোজিং)৩১১.০৮১.৭৫৫.৫২
এনসিসিবিএল ফান্ড-ওয়ান (ডিসেম্বর ক্লোজিং)১০৮.৫০০.৩৮১.৪০
এইমস বাংলাদেশ
গ্রামীন ওয়ান : স্কীম টু১৮২.৪০২.২৮১০.৫৬
রিল্যায়েন্স ওয়ান৬০.৫০০.৯২২.৫৯
এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনারস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট
এশিয়ান টাইগার সন্ধানী লাইফ গ্রোথ ফান্ড৬১.৭৯০.৯১৫.৬৭
সিএপিএম
সিএপিএম বিডিবিএল ফান্ড-১৫০.১৩০.৬৯১.৬৬
সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামিক শরীয়াহ ফান্ড৬৬.৮৫০.৮৩৫.১৯
ভ্যানগার্ড অ্যাসেট ম্যানেজম্যান্ট
ভ্যানগার্ড এএমএল বিডি ফাইন্যান্স ফান্ড ওয়ান (সেপ্টেম্বর)১০৪.৩২০.৭৬২.৫৫
ভ্যানগার্ড এএমএল রূপালি ব্যাংক ব্যালেন্সড ফান্ড (ডিসেম্বর)১৫৮.৭৫০.৫৩(০.২৪)
ভিআইপিবি অ্যাসেট ম্যানেজম্যান্ট
সাউথইস্ট ব্যাংক ফার্স্ট ফান্ড৯৯.৭৮১.৩৩৮.৯১
এনএলআই ফার্স্ট ফান্ড৫০.৩৩০.৮৬৪.৮১
স্ট্র্যাটেজিক ইক্যুইটি ম্যানেজম্যান্ট
এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ড (মার্চ মাসের হিসাব)৭২.৯৪০.০৯০.২১
এসইএমএল আইবিবিএল শরীয়াহ ফান্ড১০০১.০৯৭.০৩
এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজম্যান্ট ফান্ড৫০০.৭০৪.০৬
মোট৫৫৩৪.৬৯ কোটি টাকা৫৯.৩১  কোটি টাকা২১১.৭৬  কোটি টাকা

 বিজনেস আওয়ার/০৩ জুলাই, ২০১৯/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বেহাল দশা হলেও সম্পদ ব্যবস্থাপকরা চাঙ্গা

পোস্ট হয়েছে : ০৩:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০১৯

রেজোয়ান আহমেদ : পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকলেও বাংলাদেশে তা তলানিতে। সম্পদ ব্যবস্থাপকদের অদক্ষতা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার খামখেয়ালি সিদ্ধান্তের কারনে ফান্ডগুলো এই শোচণীয় অবস্থায় নেমে এসেছে। সঠিকভাবে বিনিয়োগ করার অভাবে যথাযথ মুনাফা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে ফান্ডগুলো। তবে সম্পদ ব্যবস্থাপকদের তাতে কোন সমস্যা হচ্ছে না। নীট সম্পদের উপর সম্পদ ব্যবস্থাপকদের ফি নির্ধারিত থাকায়, ফান্ডের লোকসান হলেও ফি বাবদ তাদের আয় থেমে থাকে না। এমতাবস্থায় সম্পদ ব্যবস্থাপকদের সঠিক মূল্যায়নে ফান্ডের ব্যবসায়িক পারফরমেন্সের উপরে ফি নির্ধারন করা উচিত বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।

সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিধিমালা ২০১১ অনুযায়ি, ফান্ডের নীট সম্পদের পরিমাণ ৫ কোটি টাকার মধ্যে হলে, সম্পদ ব্যবস্থাপক সর্বোচ্চ ২.৫ শতাংশ ফি নিতে পারবে। এছাড়া নীট সম্পদ ২৫ কোটি টাকার মধ্যে হলে, ৫ কোটি টাকার অতিরিক্ত অংশের জন্য ২ শতাংশ, নীট সম্পদ ৫০ কোটি টাকার মধ্যে হলে, ২৫ কোটি টাকার অতিরিক্ত অংশের জন্য ১.৫ শতাংশ এবং নীট সম্পদ ৫০ কোটি টাকার অতিরিক্ত অংশের জন্য ১ শতাংশ ফি নিতে পারবে।

শেয়ারবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ বিজনেস আওয়ারকে বলেন, ব্যবসায় কোন পারফরম না করেও সম্পদ ব্যবস্থাপকরা অফিসে গিয়ে বসে বসে ফি নেবে-এটা ঠিক না। অবশ্যই পারফরমেন্সর উপরে ফি নির্ধারন করা উচিত। কিন্তু বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বিনিয়োগকারীদের স্বার্থকে বিসর্জন দিয়ে অ্যাসেট ম্যানেজারদের স্বার্থে আইন-কানুন করেছে। তারা তদবিরের কাজ করে। কমিশনের এই খামখেয়ালিপনার জন্য মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগকারীদের কোন আস্থা নেই। এখন আর কেউ মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করে নতুন করে ডুবতে চায় না।

বাংলাদেশের প্রথম প্রাইভেট অ্যাসেট ম্যানেজম্যান্ট কোম্পানি এইমস অব বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়াওয়ার সায়ীদ বিজনেস আওয়ারকে বলেন, সম্পদ ব্যবস্থাপকের পারফরমন্সের উপরে ফি নির্ধারন হওয়া উচিত। যে ভালো পারফরম করলে সে বেশি পাবে, যে কম পারফরম করবে সে কম পাবে। তাহলে সবার মধ্যে ভালো ব্যবসা করার তাগিদ আসবে। আর এখন তো মুনাফা না করলেও বসে বসে ফি পাওয়া যায়। এটা ঠিক না। এ নিয়ে অনেকবার কমিশনে আলাপ আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কোন লাভ হয়নি।

দেখা গেছে, তালিকাভুক্ত ৩৭টি ফান্ডের চলতি অর্থবছরের ৩১ মার্চ শেষে ২১১ কোটি ৭৬ লাখ টাকার নীট মুনাফা হয়েছে। এই মুনাফা অর্জনে সম্পদ ব্যবস্থাপকের ফি বাবদ খরচ হয়েছে ৫৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা। যা নীট মুনাফার ২৮ শতাংশ। এরমধ্যে ভ্যানগার্ড এএমএল রূপালি ব্যাংক ব্যালেন্সড ফান্ডের লোকসান হলেও সম্পদ ব্যবস্থাপক ভ্যানগার্ড অ্যাসেট ম্যানেজম্যান্ট ঠিকই নির্ধারিত ফি পেয়েছেন। যাতে ফান্ডটিতে সম্পদ ব্যবস্থাপক কোন দক্ষতা দেখাতে না পারা সত্ত্বেও তার আয়ে কোনো সমস্যা হয়নি।

ইয়াওয়ার সায়ীদ বলেন, মুনাফার তুলনায় ম্যানেজম্যান্ট ফি ২৮ শতাংশ হওয়া মানে বেশি। এক্ষেত্রে কোন ফান্ড হয়তো অনেক বেশি মুনাফা করেছে, কোনটি হয়তো লোকসান করেছে। যাতে গড়ে ২৮ শতাংশ হয়েছে। তবে পারফরমেন্সের উপরে ফি নির্ধারিত হতো, তাহলে ফান্ডগুলোর মুনাফা আরও বেশি হতো। একারনেই পারফরমেন্সের উপরে ফি নির্ধারন করা উচিত।

এদিকে বিনিয়োগকারীদের আস্থার তলানিতে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট দর পানির দরে পাওয়া যাচ্ছে। তালিকাভুক্ত ৩৭টি ফান্ডের মধ্যে ৩১টির ইউনিট দর অভিহিত মূল্যের নিচে। এরমধ্যে ৭টির দর ৪ টাকার ঘরে রয়েছে। এতো সস্তা হওয়ার পরেও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মিউচ্যুয়াল ফান্ড নিয়ে আগ্রহ নেই।

নিম্নে তালিকাভুক্ত ফান্ডগুলোর চলতি অর্থবছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত মুনাফা ও ম্যানেজম্যান্ট ফি’র তথ্য তুলে ধরা হল- 

আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজম্যান্ট
মিউচ্যুয়াল ফান্ডের নামমূলধন (কোটি)ম্যানেজম্যান্ট ফি (কোটি)মুনাফা (কোটি)
প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট ফান্ড (ডিসেম্বর ক্লোজিং)২০১.১৩০.৪৮
আইসিবি এএমসিএল থার্ড এনআরবি১০০০.৮৮৩.২০
আইসিবি এএমসিএল ফার্স্ট অগ্রনী৯৮.১৫১.০১৩.৯৩
আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড ফান্ড৫০০.৬২১.৯৯
আইসিবি এমপ্লয়ীজ প্রভিডেন্ট ফান্ড ওয়ান : স্কীম ওয়ান৭৫০.৭৪২.২২
আইসিবি এএমসিএল সোনালি ব্যাংক ফার্স্ট ফান্ড১০০০.৯৮৪.৭৪
প্রাইম ব্যাংক ফার্স্ট আইসিবি এএমসিএল ফান্ড১০০০.৯৩৪.৫৬
আইএফআইএল ইসলামিক ফান্ড-ওয়ান১০০০.৯৬৩.৬৭
ফনিক্স ফাইন্যান্স ফার্স্ট ফান্ড৬০০.৬৬২.৫১
বাংলাদেশ রেস ম্যানেজম্যান্ট
ইবিএল ফার্স্ট ফান্ড১৪৪.৭৫১.৪৭৫.৭৪
ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট ফান্ড৩০৩.৫৯২.৬৫১১.২১
আইএফআইসি ফার্স্ট ফান্ড১৮২.১৭১.৭৮৮.২৬
ফার্স্ট জনতা ব্যাংক ফান্ড২৮৯.৯২২.৬৫১২.৫৮
পপুলার লাইফ ফার্স্ট ফান্ড২৯৯.০৯২.৭৩১৩.১৮
পিএইচপি ফার্স্ট ফান্ড২৮১.৮৯২.৫৬১১.০৯
ইবিএল এনআরবি ফান্ড২২৪.২৬২.১২৫.৫২
এবি ব্যাংক ফার্স্ট ফান্ড২৩৯.০৯২.৩৩৭.১৫
ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ফান্ড৭৭৬.১৫১২.৮৮১৩.৪১
এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট ফান্ড১৪৩.২৬১.৪৮৫.৭০
এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজম্যান্ট কোম্পানি
এআইবিএল ফার্স্ট ইসলামিক (মার্চ ক্লোজিং)১০০১.৪৫৭.৮৬
ডিবিএইচ ফার্স্ট ফান্ড১২০১.২৪৭.৪৯
গ্রীণ ডেল্টা ফান্ড১৫০১.৪৭৭.০৯
এমবিএল ফার্স্ট ফান্ড (মার্চ ক্লোজিং)১০০১.৪৭৮.২৬
এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ ওয়ান (সেপ্টেম্বর ক্লোজিং)৩১১.০৮১.৭৫৫.৫২
এনসিসিবিএল ফান্ড-ওয়ান (ডিসেম্বর ক্লোজিং)১০৮.৫০০.৩৮১.৪০
এইমস বাংলাদেশ
গ্রামীন ওয়ান : স্কীম টু১৮২.৪০২.২৮১০.৫৬
রিল্যায়েন্স ওয়ান৬০.৫০০.৯২২.৫৯
এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনারস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট
এশিয়ান টাইগার সন্ধানী লাইফ গ্রোথ ফান্ড৬১.৭৯০.৯১৫.৬৭
সিএপিএম
সিএপিএম বিডিবিএল ফান্ড-১৫০.১৩০.৬৯১.৬৬
সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামিক শরীয়াহ ফান্ড৬৬.৮৫০.৮৩৫.১৯
ভ্যানগার্ড অ্যাসেট ম্যানেজম্যান্ট
ভ্যানগার্ড এএমএল বিডি ফাইন্যান্স ফান্ড ওয়ান (সেপ্টেম্বর)১০৪.৩২০.৭৬২.৫৫
ভ্যানগার্ড এএমএল রূপালি ব্যাংক ব্যালেন্সড ফান্ড (ডিসেম্বর)১৫৮.৭৫০.৫৩(০.২৪)
ভিআইপিবি অ্যাসেট ম্যানেজম্যান্ট
সাউথইস্ট ব্যাংক ফার্স্ট ফান্ড৯৯.৭৮১.৩৩৮.৯১
এনএলআই ফার্স্ট ফান্ড৫০.৩৩০.৮৬৪.৮১
স্ট্র্যাটেজিক ইক্যুইটি ম্যানেজম্যান্ট
এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ড (মার্চ মাসের হিসাব)৭২.৯৪০.০৯০.২১
এসইএমএল আইবিবিএল শরীয়াহ ফান্ড১০০১.০৯৭.০৩
এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজম্যান্ট ফান্ড৫০০.৭০৪.০৬
মোট৫৫৩৪.৬৯ কোটি টাকা৫৯.৩১  কোটি টাকা২১১.৭৬  কোটি টাকা

 বিজনেস আওয়ার/০৩ জুলাই, ২০১৯/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: