ঢাকা , সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের ১১ দফা

  • পোস্ট হয়েছে : ০১:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ ডিসেম্বর ২০২১
  • 26

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : রাজধানীর রামপুরায় বাসচাপায় এসএসসির ফলপ্রত্যাশী মাঈনুদ্দিন নিহত হওয়ার ঘটনার বিচার চেয়ে এবং নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতের জন্য সরকারের কাছে ১১ দফা দাবি তুলে ধরে শিক্ষার্থীরা। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তারা দাবিগুলো তুলে ধরে।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো : সড়কে নির্মম কাঠামোগত হত্যার শিকার নাঈম ও মাঈনুদ্দিনের হত্যার বিচার করতে হবে। তাদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। গুলিস্তান ও রামপুরা ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় পথচারী পারাপারের জন্য ফুটওভারব্রিজ নির্মাণ করতে হবে; সারাদেশের সব গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া সরকারি প্রজ্ঞাপন দিয়ে নিশ্চিত করতে হবে। হাফ ভাড়ার জন্য কোনো সময় বা দিন নির্ধারণ করে দেওয়া যাবে না। বর্ধিত বাস ভাড়া প্রত্যাহার করতে হবে। সব রুটে বিআরটিসির বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে; গণপরিবহনে ছাত্র-ছাত্রী এবং নারীদের জন্য অবাধ যাত্রা ও সৌজন্যমূলক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে; ফিটনেস ও লাইসেন্সবিহীন গাড়ি এবং লাইসেন্সবিহীন চালক নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।গাড়ি ও ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে বিআরটিএ’র দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে; সব রাস্তায় ট্রাফিক লাইট, জেব্রা ক্রসিং নিশ্চিত করাসহ জনবহুল রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা বাড়াতে হবে। ট্রাফিক পুলিশের ঘুস-দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে; বাসগুলোর মধ্যে বেপরোয়া প্রতিযোগিতা বন্ধে এক রুটে এক বাস এবং দৈনিক আয় সব পরিবহন মালিকের মধ্যে তাদের অংশ অনুয়ায়ী সমানভাবে বণ্টনের নিয়ম চালু করতে হবে; শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র নিশ্চিত করতে হবে। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করতে হবে। চুক্তি ভিত্তিতে বাস দেওয়ার বদলে টিকিট ও কাউন্টারের ভিত্তিতে গোটা পরিবহন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। শ্রমিকদের জন্য বিশ্রামাগার ও টয়লেটের ব্যবস্থা করতে হবে; গাড়ি চালকের কর্মঘণ্টা একনাগাড়ে ৬ ঘণ্টার বেশি হওয়া যাবে না। প্রতিটি বাসে ২ জন চালক ও ২ জন সহকারী রাখতে হবে। পর্যাপ্ত বাস টার্মিনাল নির্মাণ করতে হবে। পরিবহন শ্রমিকদের যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হব; যাত্রী, পরিবহন শ্রমিক ও সরকারের প্রতিনিধিদের মতামত নিয়ে সড়ক পরিবহন আইন সংস্কার করতে হবে এবং এর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে; ট্রাক, ময়লার গাড়িসহ অন্যান্য ভারী যানবাহন চলাচলের জন্য রাত ১২টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দিতে হবে এবং মাদকাসক্তি নিরসনে গোটা সমাজে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। চালক-সহকারীদের জন্য নিয়মিত ডোপ টেস্টের ও কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

এসব দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন তারা।

বিজনেস আওয়ার/০১ ডিসেম্বর, ২০২১/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের ১১ দফা

পোস্ট হয়েছে : ০১:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ ডিসেম্বর ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : রাজধানীর রামপুরায় বাসচাপায় এসএসসির ফলপ্রত্যাশী মাঈনুদ্দিন নিহত হওয়ার ঘটনার বিচার চেয়ে এবং নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতের জন্য সরকারের কাছে ১১ দফা দাবি তুলে ধরে শিক্ষার্থীরা। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তারা দাবিগুলো তুলে ধরে।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো : সড়কে নির্মম কাঠামোগত হত্যার শিকার নাঈম ও মাঈনুদ্দিনের হত্যার বিচার করতে হবে। তাদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। গুলিস্তান ও রামপুরা ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় পথচারী পারাপারের জন্য ফুটওভারব্রিজ নির্মাণ করতে হবে; সারাদেশের সব গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া সরকারি প্রজ্ঞাপন দিয়ে নিশ্চিত করতে হবে। হাফ ভাড়ার জন্য কোনো সময় বা দিন নির্ধারণ করে দেওয়া যাবে না। বর্ধিত বাস ভাড়া প্রত্যাহার করতে হবে। সব রুটে বিআরটিসির বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে; গণপরিবহনে ছাত্র-ছাত্রী এবং নারীদের জন্য অবাধ যাত্রা ও সৌজন্যমূলক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে; ফিটনেস ও লাইসেন্সবিহীন গাড়ি এবং লাইসেন্সবিহীন চালক নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।গাড়ি ও ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে বিআরটিএ’র দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে; সব রাস্তায় ট্রাফিক লাইট, জেব্রা ক্রসিং নিশ্চিত করাসহ জনবহুল রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা বাড়াতে হবে। ট্রাফিক পুলিশের ঘুস-দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে; বাসগুলোর মধ্যে বেপরোয়া প্রতিযোগিতা বন্ধে এক রুটে এক বাস এবং দৈনিক আয় সব পরিবহন মালিকের মধ্যে তাদের অংশ অনুয়ায়ী সমানভাবে বণ্টনের নিয়ম চালু করতে হবে; শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র নিশ্চিত করতে হবে। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করতে হবে। চুক্তি ভিত্তিতে বাস দেওয়ার বদলে টিকিট ও কাউন্টারের ভিত্তিতে গোটা পরিবহন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। শ্রমিকদের জন্য বিশ্রামাগার ও টয়লেটের ব্যবস্থা করতে হবে; গাড়ি চালকের কর্মঘণ্টা একনাগাড়ে ৬ ঘণ্টার বেশি হওয়া যাবে না। প্রতিটি বাসে ২ জন চালক ও ২ জন সহকারী রাখতে হবে। পর্যাপ্ত বাস টার্মিনাল নির্মাণ করতে হবে। পরিবহন শ্রমিকদের যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হব; যাত্রী, পরিবহন শ্রমিক ও সরকারের প্রতিনিধিদের মতামত নিয়ে সড়ক পরিবহন আইন সংস্কার করতে হবে এবং এর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে; ট্রাক, ময়লার গাড়িসহ অন্যান্য ভারী যানবাহন চলাচলের জন্য রাত ১২টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দিতে হবে এবং মাদকাসক্তি নিরসনে গোটা সমাজে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। চালক-সহকারীদের জন্য নিয়মিত ডোপ টেস্টের ও কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

এসব দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন তারা।

বিজনেস আওয়ার/০১ ডিসেম্বর, ২০২১/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: