স্পোর্টস ডেস্ক : ক্রিকেটে বেশ কয়েকবছর ধরেই চলে আসা আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ বা ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) এখন প্রায় সব ম্যাচে, সব টুর্নামেন্টেই থাকে। আর এখন করোনাকালীন ক্রিকেটে আরও বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে ডিআরএসের সুবিধা।
স্বাভাবিক সময়ে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে ১টি এবং টেস্টে নেয়া যায় ২টি রিভিউ। তবে করোনাকালে এটি বাড়িয়ে ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টিতে ২টি এবং টেস্টে ৩টি করে রিভিউ নেয়ার সুবিধা দেয়া হয়েছে। এ রিভিউ সিস্টেমের একটি নিয়ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচিন টেন্ডুলকার।
নিয়ম অনুযায়ী বর্তমানে লেগ বিফোর উইকেটের (এলবিডব্লিউ) রিভিউ নিলে, বল যদি স্ট্যাম্পের ৫০ শতাংশের বেশি অংশে আঘাত না করে, তাহলে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদলায় না। বরং ‘আম্পায়ার্স কল’ দেখিয়ে বহাল থাকে মাঠের সিদ্ধান্তই।
ক্যারিবীয় কিংবদন্তি ব্রায়ান লারার সঙ্গে এক আলোচনায় এলবিডব্লিউয়ের এ নিয়মটি বদলানোর কথাই বলেছেন শচিন। নিজের কথার পক্ষে যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। যা শুনে সম্মতি দিয়েছেন লারাও। ক্যারিবীয় কিংবদন্তিও মনে করেন, রিভিউ সিস্টেম আরও নিখুঁত করে তোলা উচিৎ।
লারার সঙ্গে আলোচনায় শচিন বলেন, আইসিসির একটি নিয়মের সঙ্গে আমি একমত নই। সেটি হলো ডিআরএসে যে নিয়মটা ব্যবহার করা যাচ্ছে। লেগ বিফোরের সিদ্ধান্তের বেলায় মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদলানোর জন্য বলের অন্তত ৫০ শতাংশ স্ট্যাম্পে লাগতে হয়। এটা সঠিক নয় আমার মতে।
তিনি আরও বলেন, যেকোন বোলার বা ব্যাটসম্যান রিভিউ নেয় মাঠের সিদ্ধান্ত মনঃপুত হয়নি বলেই। তাই সিদ্ধান্ত যখন থার্ড আম্পায়ারের হাতে চলে যায়, তখন প্রযুক্তিকেই ঠিক করতে দিন বাকিটা। ঠিক যেমনটা হয় টেনিসে, হয় ভেতরে নয়তো বাইরে, মাঝামাঝি বলতে কিছু নেই।
শচিনের কথার সঙ্গে একমত হয়ে লারা বলেন, একই ডেলিভারির ক্ষেত্রে মাঠের আম্পায়ার আউট দিলে রিভিউয়ের সিদ্ধান্ত একরকম হয়, আবার আউট না দিলে অন্যরকম। আমার মনে হয়, রিভিউ যখন ক্রিকেটের অংশই হয়ে উঠেছে, তাই আমি চাই এটি থাক। তবে বিষয়টি আরও নিখুঁত করে তোলা উচিত।
বিজনেস আওয়ার/১২ জুলাই, ২০২০/এ