ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাশিয়ার করোনা ভ্যাকসিন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালেও সফল!

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জুলাই ২০২০
  • 77

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার সেচেনাভ ফার্স্ট মস্কো স্টেট মেডিকেল ইউনিভার্সিটির তৈরি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ভ্যাকসিন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালও শেষ করেছে। ট্রায়াল শেষে গবেষকরা জানিয়েছেন, এই ভাইরাসটি মানবদেহের জন্যও সম্পূর্ণ নিরাপদ। রোববার (১২ জুলাই) রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা তাস ও স্পুটনিক এ খবর দিয়েছে।

গবেষকদের বরাত দিয়ে তাস’এর খবরে বলা হয়েছে, দুই ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ করেছে সেচেনাভ ইউনিভার্সিটি। তবে যেসব স্বেচ্ছাসেবকের ওপর এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে, তবে তারা এখনো ছাড়া পাননি।

সেচেনাভ ফার্স্ট মস্কো স্টেট মেডিকেল ইউনিভার্সিটির এই ভ্যাকসিন গবেষক দলের প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয়টির সেন্টার ফর ক্লিনিক্যাল রিসার্চ অন মেডিকেশনের প্রধান ইলিনা স্মলিয়ারচুক সংবাদ সংস্থা তাস’কে বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা শেষ হয়েছে এবং এটি নিরাপদ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।

স্বেচ্ছাসেবীদের একটি দলকে ১৫ জুলাই ও আরেকটি দলকে ২০ জুলাই ছাড়পত্র দেওয়া হবে। স্বেচ্ছাসেবীদের প্রথম দলটিতে আছেন ১৮ জন। গত ১৮ জুন তাদের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছিল। অন্যদিকে ২০ জনের দ্বিতীয় স্বেচ্ছাসেবী দলের সদস্যদের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয় গত ২৩ জুন।

সেচেনাভ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ট্রান্সলেশনাল মেডিসিন অ্যান্ড বায়োটেকনোলজির পরিচালক ভাদিম তারাসভ সংবাদ সংস্থা স্পুটনিককে বলেন, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের প্রথম সফল ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সফলভাবে শেষ করেছে সেচেনাভ বিশ্ববিদ্যালয়।

সেচেনাভ ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল প্যারাসাইটোলজি, ট্রপিক্যাল ও ভেকটর-বর্ন ডিজিজেসের পরিচালক আলেক্সান্দার লুকাশেভ বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণার এই ধাপটির লক্ষ্য ছিল এটি মানবশরীরে নিরাপদ কি না— সেটি জানা। আর সে উদ্দেশ্য সফল হয়েছে।

ভ্যাকসিনটি নিরাপদ— সেটি নিশ্চিত হওয়া গেছে। বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের জন্য যেসব ভ্যাকসিন রয়েছে, করোনার এই ভ্যাকসিনটির নিরাপত্তা সেগুলোর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।

লুকাশেভ জানান, এরই মধ্যে বর্তমান মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনা করে কিভাবে ভ্যাকসিনটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে যাওয়া যায়, তা নিয়ে কাজ শুরু হয়ে গেছে। তবে কবে নাগাদ এটি বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাবে কিংবা কবে নাগাদ এটি বাজারে আসবে— সে বিষয়ে তিনি বা অন্য কেউই কিছু জানননি।

করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন হিসেবে বাজারে আসার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে গেলেও এই ভ্যাকসিনের বাণিজ্যিক উৎপাদন কবে নাগাদ শুরু হবে, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি উৎপাদনকারীদের পক্ষ থেকে।

বিজনেস আওয়ার/১৩ জুলাই, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

রাশিয়ার করোনা ভ্যাকসিন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালেও সফল!

পোস্ট হয়েছে : ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জুলাই ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার সেচেনাভ ফার্স্ট মস্কো স্টেট মেডিকেল ইউনিভার্সিটির তৈরি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ভ্যাকসিন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালও শেষ করেছে। ট্রায়াল শেষে গবেষকরা জানিয়েছেন, এই ভাইরাসটি মানবদেহের জন্যও সম্পূর্ণ নিরাপদ। রোববার (১২ জুলাই) রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা তাস ও স্পুটনিক এ খবর দিয়েছে।

গবেষকদের বরাত দিয়ে তাস’এর খবরে বলা হয়েছে, দুই ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ করেছে সেচেনাভ ইউনিভার্সিটি। তবে যেসব স্বেচ্ছাসেবকের ওপর এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে, তবে তারা এখনো ছাড়া পাননি।

সেচেনাভ ফার্স্ট মস্কো স্টেট মেডিকেল ইউনিভার্সিটির এই ভ্যাকসিন গবেষক দলের প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয়টির সেন্টার ফর ক্লিনিক্যাল রিসার্চ অন মেডিকেশনের প্রধান ইলিনা স্মলিয়ারচুক সংবাদ সংস্থা তাস’কে বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা শেষ হয়েছে এবং এটি নিরাপদ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।

স্বেচ্ছাসেবীদের একটি দলকে ১৫ জুলাই ও আরেকটি দলকে ২০ জুলাই ছাড়পত্র দেওয়া হবে। স্বেচ্ছাসেবীদের প্রথম দলটিতে আছেন ১৮ জন। গত ১৮ জুন তাদের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছিল। অন্যদিকে ২০ জনের দ্বিতীয় স্বেচ্ছাসেবী দলের সদস্যদের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয় গত ২৩ জুন।

সেচেনাভ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ট্রান্সলেশনাল মেডিসিন অ্যান্ড বায়োটেকনোলজির পরিচালক ভাদিম তারাসভ সংবাদ সংস্থা স্পুটনিককে বলেন, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের প্রথম সফল ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সফলভাবে শেষ করেছে সেচেনাভ বিশ্ববিদ্যালয়।

সেচেনাভ ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল প্যারাসাইটোলজি, ট্রপিক্যাল ও ভেকটর-বর্ন ডিজিজেসের পরিচালক আলেক্সান্দার লুকাশেভ বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণার এই ধাপটির লক্ষ্য ছিল এটি মানবশরীরে নিরাপদ কি না— সেটি জানা। আর সে উদ্দেশ্য সফল হয়েছে।

ভ্যাকসিনটি নিরাপদ— সেটি নিশ্চিত হওয়া গেছে। বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের জন্য যেসব ভ্যাকসিন রয়েছে, করোনার এই ভ্যাকসিনটির নিরাপত্তা সেগুলোর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।

লুকাশেভ জানান, এরই মধ্যে বর্তমান মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনা করে কিভাবে ভ্যাকসিনটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে যাওয়া যায়, তা নিয়ে কাজ শুরু হয়ে গেছে। তবে কবে নাগাদ এটি বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাবে কিংবা কবে নাগাদ এটি বাজারে আসবে— সে বিষয়ে তিনি বা অন্য কেউই কিছু জানননি।

করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন হিসেবে বাজারে আসার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে গেলেও এই ভ্যাকসিনের বাণিজ্যিক উৎপাদন কবে নাগাদ শুরু হবে, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি উৎপাদনকারীদের পক্ষ থেকে।

বিজনেস আওয়ার/১৩ জুলাই, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: