ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের আইপিওতে ১৫৮ কোটি টাকার আবেদন, লটারি ২৩ জুলাই

  • পোস্ট হয়েছে : ০১:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জুলাই ২০২০
  • 27

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পাওয়া এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) প্রায় ১৫৮ কোটি টাকার বা ৬ গুণ আবেদন জমা পড়েছে। চাহিদার বেশি আবেদন জমা পড়ায় লটারির মাধ্যমে আইপিও বিজয়ী চূড়ান্ত করা হবে।

এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা (সিইও) কেএম সাইদুর রহমান বিজনেস আওয়ারকে বলেন, কোম্পানির আইপিওতে প্রায় ১৫৮ কোটি টাকার বা ৬ গুণ আবেদন জমা পড়েছে। এই অতিরিক্ত আবেদন জমা পড়ার কারনে লটারির মাধ্যমে বিজয়ীদের চূড়ান্ত করা হবে। এজন্য আগামি ২৩ জুলাই ভার্চুয়ালি লটারি করার অনুমোদন চেয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আবেদন করেছি।

তিনি বলেন, আইপিওতে সাধারন বিনিয়োগকারীদের ২ লাখ ৬১ হাজার ৫৮টি বিও থেকে আবেদন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রায় ১৩৬ কোটি টাকার আবেদন করা হয়েছে।

কোম্পানিটির আইপিওতে আবেদন সংগ্রহ করা হয় গত ১৪ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত। ওইসময় কোম্পানিটির শেয়ার কেনার জন্য আইপিওতে ১১৫ যোগ্য বিনিয়োগকারী আবেদন করেছে।

কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে ২ কোটি ৬০ লাখ ৭৯ হাজার সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ২৬ কোটি ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা উত্তোলন করার অনুমোদন পেয়েছে। এরমধ্যে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ ১০ কোটি ৪৩ লাখ ১৬ হাজার টাকার শেয়ার। এই বরাদ্দের বিপরীতে ১১৫ যোগ্য বিনিয়োগকারীর ২২ কোটি ৭১ লাখ ১০ হাজার টাকার আবেদন জমা পড়েছে।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭১৯তম সভায় কোম্পানিটিকে আইপিওর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন দেওয়া হয়। কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে ২ কোটি ৬০ লাখ ৭৯ হাজার সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ২৬ কোটি ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা উত্তোলন করবে। প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা। উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি ট্রেজারি বন্ড ও অন্যান্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।

৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কোম্পানিটির বিগত ৫ বছরে ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.৪২ টাকা এবং পুনমূল্যায়নসহ শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮.৭২ টাকায়। যা পুনমূল্যায়ন ছাড়া ১৬.৬৫ টাকা।

কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, আইআইডিএফসি ক্যাপিটাল এবং বিএলআই ক্যাপিটাল লিমিটেড।

এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের প্রতি আস্থা রাখার জন্য বিনিয়োগকারীদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কোম্পানির প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা (সিইও) কেএম সাইদুর রহমান। একইসঙ্গে বিএসইসি, ডিএসই, সিএসই, আইডিআরএ, সিডিবিএল, ব্রোকারেজ হাউজ, ইস্যু ম্যানেজারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

বিজনেস আওয়ার/১৩ জুলাই, ২০২০/পিএস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের আইপিওতে ১৫৮ কোটি টাকার আবেদন, লটারি ২৩ জুলাই

পোস্ট হয়েছে : ০১:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জুলাই ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পাওয়া এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) প্রায় ১৫৮ কোটি টাকার বা ৬ গুণ আবেদন জমা পড়েছে। চাহিদার বেশি আবেদন জমা পড়ায় লটারির মাধ্যমে আইপিও বিজয়ী চূড়ান্ত করা হবে।

এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা (সিইও) কেএম সাইদুর রহমান বিজনেস আওয়ারকে বলেন, কোম্পানির আইপিওতে প্রায় ১৫৮ কোটি টাকার বা ৬ গুণ আবেদন জমা পড়েছে। এই অতিরিক্ত আবেদন জমা পড়ার কারনে লটারির মাধ্যমে বিজয়ীদের চূড়ান্ত করা হবে। এজন্য আগামি ২৩ জুলাই ভার্চুয়ালি লটারি করার অনুমোদন চেয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আবেদন করেছি।

তিনি বলেন, আইপিওতে সাধারন বিনিয়োগকারীদের ২ লাখ ৬১ হাজার ৫৮টি বিও থেকে আবেদন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রায় ১৩৬ কোটি টাকার আবেদন করা হয়েছে।

কোম্পানিটির আইপিওতে আবেদন সংগ্রহ করা হয় গত ১৪ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত। ওইসময় কোম্পানিটির শেয়ার কেনার জন্য আইপিওতে ১১৫ যোগ্য বিনিয়োগকারী আবেদন করেছে।

কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে ২ কোটি ৬০ লাখ ৭৯ হাজার সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ২৬ কোটি ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা উত্তোলন করার অনুমোদন পেয়েছে। এরমধ্যে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ ১০ কোটি ৪৩ লাখ ১৬ হাজার টাকার শেয়ার। এই বরাদ্দের বিপরীতে ১১৫ যোগ্য বিনিয়োগকারীর ২২ কোটি ৭১ লাখ ১০ হাজার টাকার আবেদন জমা পড়েছে।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭১৯তম সভায় কোম্পানিটিকে আইপিওর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন দেওয়া হয়। কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে ২ কোটি ৬০ লাখ ৭৯ হাজার সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ২৬ কোটি ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা উত্তোলন করবে। প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা। উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি ট্রেজারি বন্ড ও অন্যান্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।

৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কোম্পানিটির বিগত ৫ বছরে ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.৪২ টাকা এবং পুনমূল্যায়নসহ শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮.৭২ টাকায়। যা পুনমূল্যায়ন ছাড়া ১৬.৬৫ টাকা।

কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, আইআইডিএফসি ক্যাপিটাল এবং বিএলআই ক্যাপিটাল লিমিটেড।

এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের প্রতি আস্থা রাখার জন্য বিনিয়োগকারীদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কোম্পানির প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা (সিইও) কেএম সাইদুর রহমান। একইসঙ্গে বিএসইসি, ডিএসই, সিএসই, আইডিআরএ, সিডিবিএল, ব্রোকারেজ হাউজ, ইস্যু ম্যানেজারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

বিজনেস আওয়ার/১৩ জুলাই, ২০২০/পিএস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: