ঢাকা , বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাণিজ্য মেলা উদ্বোধন

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জানুয়ারী ২০২২
  • 28

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: নতুন ঠিকানায় আজ থেকে শুরু হয়েছে ২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। বছরের প্রথম দিন শনিবার শুরু হওয়া এ মেলা পূর্বাচল নতুন শহরে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে চলবে মাসব্যাপী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ মেলার উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধন কালে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন বিদেশি বিনিয়োগকারী এবং ব্যবসায়ীদের কাছেও একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে। আমরা বিনিয়োগ ও রপ্তানিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছি। সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মর্যাদাশীল ‘উন্নয়নশীল’ দেশে উন্নীত হওয়ার ক্ষেত্রে জাতিসংঘের চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করেছে।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা দেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশে’ পরিণত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এজন্য অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের ব্যাপক সম্প্রসারণ প্রয়োজন। এই মেলা বাণিজ্য সম্প্রসারণ, পণ্য বহুমুখীকরণ, বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে এবং দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারবে বলে আমি মনে করি।

শেখ হাসিনা বলেন, গত দুই বছরে সমগ্র বিশ্ব ভয়ানক করোনাভাইরাসের সম্মুখীন হয়েছে, যা কার্যত ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি কমিয়ে দিয়েছে। কিন্তু তারপরও আমাদের সরকারের সময়োপযোগী ও সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চলমান রাখা হয়েছে এবং প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়ে রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রমের গতিশীলতা বজায় রাখা হয়েছে।

সরকার প্রধান বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর এই মাহেন্দ্রক্ষণে তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, ডিআইটিএফ-২০২২ স্থানীয় ও বিদেশি উৎপাদনকারী এবং ক্রেতাদের মধ্যে গভীর আগ্রহ এবং উদ্দীপনা সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে।

এসময় প্রধানমন্ত্রী ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ) ২০২২’ -এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ সাল থেকে দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন ও উৎপাদনে সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা আয়োজন করা হচ্ছে। এবারই প্রথমবারের মতো স্থায়ী কমপ্লেক্সে এ মেলা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

এর আগের বছরগুলোর মতোই মাসব্যাপী এ মেলা সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত (সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাত ১০টা পর্যন্ত)। মেলার প্রবেশমূল্য প্রাপ্তবয়স্কদের ৪০ টাকা, শিশুদের ২০ টাকা।

এবারের মেলায় প্রদর্শন করা হবে দেশীয় বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিকস অ্যান্ড বিউটি এইডস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিকস, ফার্নিচার, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহসামগ্রী, চামড়া ও জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস গুডস, স্যানিটারিওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, হস্তশিল্পজাত পণ্য, হোম ডেকর ইত্যাদি।

এবার বাণিজ্য মেলায় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন ক্যাটাগরির মোট ২৩টি প্যাভিলিয়ন, ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়ন, ১৬২টি স্টল ও ১৫টি ফুড স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এক্সিবিশন সেন্টারের ১৪ হাজার ৩৬৬ বর্গমিটার (প্রায় ১ লাখ ৫৫ হাজার বর্গফুট) আয়তনের দুটি হলে (হল-এ ও হ-বি) সব স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়। মেলা কমপ্লেক্সের বাইরে (সম্মুখ ও পেছনে) প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন ও ফুড স্টল নির্মাণ করা হয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/০১ জানুয়ারি, ২০২২/এএইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

বাণিজ্য মেলা উদ্বোধন

পোস্ট হয়েছে : ১২:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জানুয়ারী ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: নতুন ঠিকানায় আজ থেকে শুরু হয়েছে ২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। বছরের প্রথম দিন শনিবার শুরু হওয়া এ মেলা পূর্বাচল নতুন শহরে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে চলবে মাসব্যাপী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ মেলার উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধন কালে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন বিদেশি বিনিয়োগকারী এবং ব্যবসায়ীদের কাছেও একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে। আমরা বিনিয়োগ ও রপ্তানিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছি। সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মর্যাদাশীল ‘উন্নয়নশীল’ দেশে উন্নীত হওয়ার ক্ষেত্রে জাতিসংঘের চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করেছে।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা দেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশে’ পরিণত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এজন্য অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের ব্যাপক সম্প্রসারণ প্রয়োজন। এই মেলা বাণিজ্য সম্প্রসারণ, পণ্য বহুমুখীকরণ, বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে এবং দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারবে বলে আমি মনে করি।

শেখ হাসিনা বলেন, গত দুই বছরে সমগ্র বিশ্ব ভয়ানক করোনাভাইরাসের সম্মুখীন হয়েছে, যা কার্যত ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি কমিয়ে দিয়েছে। কিন্তু তারপরও আমাদের সরকারের সময়োপযোগী ও সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চলমান রাখা হয়েছে এবং প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়ে রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রমের গতিশীলতা বজায় রাখা হয়েছে।

সরকার প্রধান বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর এই মাহেন্দ্রক্ষণে তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, ডিআইটিএফ-২০২২ স্থানীয় ও বিদেশি উৎপাদনকারী এবং ক্রেতাদের মধ্যে গভীর আগ্রহ এবং উদ্দীপনা সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে।

এসময় প্রধানমন্ত্রী ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ) ২০২২’ -এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ সাল থেকে দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন ও উৎপাদনে সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা আয়োজন করা হচ্ছে। এবারই প্রথমবারের মতো স্থায়ী কমপ্লেক্সে এ মেলা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

এর আগের বছরগুলোর মতোই মাসব্যাপী এ মেলা সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত (সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাত ১০টা পর্যন্ত)। মেলার প্রবেশমূল্য প্রাপ্তবয়স্কদের ৪০ টাকা, শিশুদের ২০ টাকা।

এবারের মেলায় প্রদর্শন করা হবে দেশীয় বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিকস অ্যান্ড বিউটি এইডস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিকস, ফার্নিচার, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহসামগ্রী, চামড়া ও জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস গুডস, স্যানিটারিওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, হস্তশিল্পজাত পণ্য, হোম ডেকর ইত্যাদি।

এবার বাণিজ্য মেলায় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন ক্যাটাগরির মোট ২৩টি প্যাভিলিয়ন, ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়ন, ১৬২টি স্টল ও ১৫টি ফুড স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এক্সিবিশন সেন্টারের ১৪ হাজার ৩৬৬ বর্গমিটার (প্রায় ১ লাখ ৫৫ হাজার বর্গফুট) আয়তনের দুটি হলে (হল-এ ও হ-বি) সব স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়। মেলা কমপ্লেক্সের বাইরে (সম্মুখ ও পেছনে) প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন ও ফুড স্টল নির্মাণ করা হয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/০১ জানুয়ারি, ২০২২/এএইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: