বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : দীর্ঘ পথচলায়ও দেশের কোন শেয়ারবাজারকেই নিজস্ব ব্যবসার উপর দাড় করাতে পারেনি স্টক এক্সচেঞ্জের ম্যানেজমেন্ট। এখনো এফডিআর এর সুদের উপর ভর করে চলছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ। তারপরেও ওই সুদের উপর ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ড (ডব্লিউপিপিএফ) গঠন করে টাকা নিচ্ছে স্টক এক্সচেঞ্জ দুটির অফিসাররা। যেখানে কোন শ্রমিক নেই।
শ্রমিকদের সুবিধার্থে ২০০৬ সালে শ্রম আইনে কোম্পানির নিট মুনাফার ৫ শতাংশ ফান্ড গঠন করতে হয়। তবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক না থাকায় এই ফান্ড গঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) আবেদন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সহমতের ভিত্তিতে এই অব্যাহতি দেওয়া হয়। তবে শ্রমিক না থাকা সত্ত্বেও ডিএসই ও সিএসইতে এই ফান্ড গঠন এবং বিতরন করা হচ্ছে।
ডিএসইর এক সদস্য বিজনেস আওয়ারকে বলেন, আমাদের এখানে কোন শ্রমিক নেই। সবাই ইনটেলেকচুয়াল জব করে। এখানে পিয়নদেরও বেতন ৩০-৩৫ হাজার টাকা। তারপরেও নিয়মিত শ্রমিক ফান্ড গঠন ও বিতরন করা হচ্ছে।
উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে প্রতিবছর কোটি কোটি টাকার শ্রমিক ফান্ড গঠন এবং প্রতিবছর বিতরন করা হয়। এই ফান্ড থেকে স্টক এক্সচেঞ্জের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যে অর্থ পান, তা পুরো বছর কাজ করেও পান না গার্মেন্টসসহ অন্যান্য খাতের শ্রমিকরা।
ডিএসইতে মুনাফার ৫ শতাংশ হারে গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৬ কোটি ৫১ লাখ টাকার ফান্ড গঠন করা হয়। যা ডিএসইর ৩৫৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর সবাই পেয়েছেন। অর্থাৎ গড়ে এই ফান্ড থেকে সবাই প্রায় ১ লাখ ৮১ হাজার করে টাকা করে পেয়েছেন। আর সিএসইতে গঠন করা ২ কোটি ৮৫ লাখ টাকার ফান্ড ৮৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর সবাই গড়ে প্রায় ৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা করে পেয়েছেন।
আরও পড়ুন……
ডিএসইতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ৭০-৮০ জনবল
এখনো এফডিআর নির্ভর করে চলে স্টক এক্সচেঞ্জ
স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালকদের এতো মিটিং, কিন্তু ফলাফল….
শীর্ষ ৪ কর্মকর্তার পেছনে ডিএসইর মাসে ব্যয় ৩৩ লাখ টাকা, কিন্তু ফলাফল…
বিজনেস আওয়ার/১৪ জুলাই, ২০২০/আরএ
One thought on “স্টক এক্সচেঞ্জের এফডিআরের সুদের উপর অফিসারদের জন্য শ্রমিক ফান্ড গঠন”