1. [email protected] : anjuman : anjuman
  2. [email protected] : user : user
  3. [email protected] : Admin : Admin
  4. [email protected] : Nayan Babu : Nayan Babu
জেকেজির সাবরিনার মামলা তদন্ত করবে ডিবি
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন

জেকেজির সাবরিনার মামলা তদন্ত করবে ডিবি

  • পোস্ট হয়েছে : মঙ্গলবার, ১৪ জুলাই, ২০২০
print sharing button

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস টেস্ট নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্তভার পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ।

ডা. সাবরিনাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে আজ মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর আগে গতকাল সোমবার রাতে মামলাটি তেজগাঁও থানা থেকে তদন্তের জন্য ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগে স্থানান্তর করা হয়। তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) সকালে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন তেঁজগাও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশীদ বলেন, মামলাটির অধিক তদন্তের জন্য ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাই ডা. সাবরিনকে গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এজন্য তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ডা. সাবরিনা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তিনি জেকেজির প্রধান নির্বাহী আরিফুল হক চৌধুরীর স্ত্রী। ওভাল গ্রুপ লিমিটেড নামে একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্মেরও চেয়ারম্যান ছিলেন ডা. সাবরিনা।

যেটার প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন আরিফুল হক চৌধুরী। হাসপাতালে তার কক্ষের সামনে নেইমপ্লেটে তার নাম লেখা ডা. সাবরীনা আরিফ। তবে সরকারি নথিতে তার নাম সাবরিনা শারমিন হুসাইন।

রোববার দুপুরে ডা. সাবরিনাকে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পর বিকেলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীকে যে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে ডা. সাবরিনাকেও সেই একই মামলার আসামি করার প্রক্রিয়া চলছে।

সম্প্রতি জেকেজি’র ব্যাপারে তদন্ত করতে গিয়েই উঠে আসে ডা. সাবরিনা ও তার প্রতারক স্বামী আরিফ চৌধুরীর নাম। তদন্ত করে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে কোনো পরীক্ষা না করেই প্রতিষ্ঠানটি ১৫ হাজার ৪৬০ জনকে করোনার টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট সরবরাহ করেছে।

একটি ল্যাপটপ থেকে গুলশানে তাদের অফিসের ১৫ তলার ফ্লোর থেকে এই মনগড়া করোনা পরীক্ষার প্রতিবেদন তৈরি করে হাজার হাজার মানুষের মেইলে পাঠায় তারা। প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয় থেকে জব্দ ল্যাপটপ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর করোনা টেস্ট জালিয়াতির এমন চমকপ্রদ তথ্য মেলে।

এতে দেখা গেছে, টেস্টের জন্য জনপ্রতি নেয়া হয় সর্বনিম্ন পাঁচ হাজার টাকা। বিদেশি নাগরিকদের কাছে জনপ্রতি একশ’ ডলার। এ হিসাবে করোনার টেস্ট বাণিজ্য করে জেকেজি হাতিয়ে নিয়েছে সাত কোটি ৭০ লাখ টাকা।

বিজনেস আওয়ার/১৪ জুলাই, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের আরো সংবাদ