ঢাকা , শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওমিক্রন ঠেকাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পরামর্শ

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২২
  • 3

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: দেশে প্রতিনিয়ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই অবস্থা দিন দিন আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। করোনা শনাক্তের হার সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার পূর্বেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

তাদের মতে, দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ২০ বলা হলেও প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। প্রতিনিয়ত সংক্রমণ বাড়ার পেছনে ডেল্টা ও ওমিক্রন দুটি ধরনেরই প্রভাব রয়েছে। সময় যত গড়াচ্ছে ওমিক্রনের দাপট ততই বাড়ছে। এই অবস্থায় ​অন্তত এক মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পর্যটনকেন্দ্র, নির্বাচনসহ জনসমাগমস্থল বন্ধ রাখতে হবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এক মাসের জন্য বন্ধ রাখা যেতে পারে। এছাড়া সমাজে যেসব বিষয়ে জনসমাগম হয়ে থাকে, সেসব কিছুই আপাতত কমপক্ষে এক মাসের জন্য বন্ধ করে দেওয়া উচিত।

এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিও। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দীপু মনি বলেন ‘আমরা সারাক্ষণই করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। যদি আমরা মনে করি, আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতের স্বার্থে ক্লাসের সংখ্যা আবার কমিয়ে দেওয়া প্রয়োজন, কমিয়ে দেব, বন্ধ করে দেওয়া প্রয়োজন, বন্ধ করে দেব। সবই প্রয়োজন বুঝে করব।’

এদিকে জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সশরীরে ক্লাস বন্ধের সিদ্ধান্ত মানতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, সশরীরে ক্লাস বন্ধ করে দেয়ার মতো এখনো সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি প্রয়োগ করেই করোনা সংক্রমণ কমানো সম্ভব। ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের আরও পিছিয়ে না দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

বিজনেস আওয়ার/৮ জানুয়ারি, ২০২২/এএইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ওমিক্রন ঠেকাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পরামর্শ

পোস্ট হয়েছে : ১২:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: দেশে প্রতিনিয়ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই অবস্থা দিন দিন আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। করোনা শনাক্তের হার সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার পূর্বেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

তাদের মতে, দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ২০ বলা হলেও প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। প্রতিনিয়ত সংক্রমণ বাড়ার পেছনে ডেল্টা ও ওমিক্রন দুটি ধরনেরই প্রভাব রয়েছে। সময় যত গড়াচ্ছে ওমিক্রনের দাপট ততই বাড়ছে। এই অবস্থায় ​অন্তত এক মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পর্যটনকেন্দ্র, নির্বাচনসহ জনসমাগমস্থল বন্ধ রাখতে হবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এক মাসের জন্য বন্ধ রাখা যেতে পারে। এছাড়া সমাজে যেসব বিষয়ে জনসমাগম হয়ে থাকে, সেসব কিছুই আপাতত কমপক্ষে এক মাসের জন্য বন্ধ করে দেওয়া উচিত।

এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিও। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দীপু মনি বলেন ‘আমরা সারাক্ষণই করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। যদি আমরা মনে করি, আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতের স্বার্থে ক্লাসের সংখ্যা আবার কমিয়ে দেওয়া প্রয়োজন, কমিয়ে দেব, বন্ধ করে দেওয়া প্রয়োজন, বন্ধ করে দেব। সবই প্রয়োজন বুঝে করব।’

এদিকে জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সশরীরে ক্লাস বন্ধের সিদ্ধান্ত মানতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, সশরীরে ক্লাস বন্ধ করে দেয়ার মতো এখনো সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি প্রয়োগ করেই করোনা সংক্রমণ কমানো সম্ভব। ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের আরও পিছিয়ে না দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

বিজনেস আওয়ার/৮ জানুয়ারি, ২০২২/এএইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: