বিনোদন ডেস্ক : আজ ১৪ জুলাই কিংবদন্তী অভিনেতা বুলবুল আহমেদকে হারানোর ১০ বছর। ২০১০ সালের আজকের দিনে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন ঢাকাই সিনেমার কালজয়ী এই নায়ক। প্রায় ৩০০ নাটক এবং দুই শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। পেয়েছেন ৪ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। অভিনয়ের বাইরে প্রযোজনা ও পরিচালনাও করেছেন এই সুদর্শন নায়ক।
১৯৪১ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর পুরান ঢাকার আগামসি লেনে জন্মগ্রহণ করেন বুলবুল আহমেদ। কলেজ জীবন থেকে তিনি যুক্ত ছিলেন মঞ্চনাটকের সঙ্গে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে বুলবুল আহমেদ তৎকালীন ইউবিএল ব্যাংক টিএসসি শাখার ম্যানেজার হিসেবে ১০ বছর চাকরি করেন। চাকরির পাশাপাশি বুলবুল আহমেদ টিভিতে অভিনয় করতে থাকেন।
তার অভিনীত প্রথম নাটক আবদুল্লাহ আল মামুনের পরিচালনায় ‘বরফ গলা নদী’। এটি ১৯৬৪ সালে প্রচারিত হয়। এরপর তিনি প্রায় চার শতাধিক নাটকে অভিনয় করেছেন।
এরপর চাকুরি ছেড়ে ১৯৭৩ সালে আবদুল্লাহ ইউসুফ ইমামের ‘ইয়ে করে বিয়ে’ সিনেমার মাধ্যমে রূপালি জগতে পর্দায় পা রাখেন বুলবুল আহমেদ। সে সময় অভিনয় দিয়ে সবার নজর কাড়লেও চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘দেবদাস’ সিনেমার মাধ্যমে তিনি জনপ্রিয়তা লাভ করেন। তাকে সত্তর এবং আশির দশকে ঢাকার চলচ্চিত্রে সবচেয়ে জনপ্রিয় তারকাদের একজন বলা হয়।
উল্লেখ্য, অভিনয়ের পাশাপাশি ‘ওয়াদা’, ‘মহানায়ক’, ‘ভালো মানুষ’, ‘রাজলক্ষ্মী-শ্রীকান্ত’, ‘আকর্ষণ’, ‘গরম হাওয়া’, ‘কত যে আপন’ শিরোনামে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য সিনেমার প্রযোজনা করেছেন। এর মধ্যে শেষের চারটি সিনেমা প্রযোজনার পাশাপাশি পরিচালনাও করেন বুলবুল আহমেদ।
বিজনেস আওয়ার/১৪ জুলাই, ২০২০/এ