বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : নির্বাচন কমিশন গঠন আইনের খসড়ায় দুটি পরিবর্তনের সুপারিশ করে সংসদে প্রতিবেদন দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। প্রতিবেদনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের যোগ্যতা-অযোগ্যতার অংশ পরিবর্তন আনা হয়েছে।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সংসদে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার এটি উত্থাপন করেন।
গত রবিবার বিলটি জাতীয় সংসদে উত্থাপনের পর তা পরীক্ষা করে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছিল।
সংসদে উত্থাপিত বিলে সিইসি ও কমিশনারদের যোগ্যতাসংক্রান্ত ধারায় বলা হয়েছিল, ‘সিইসি ও কমিশনার হতে গেলে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি পদে তার অন্যূন ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।’ এই ধারায় কিছুটা সংশোধনী এনে সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি পদের পাশাপাশি ‘স্বায়ত্তশাসিত পদ বা পেশায়’ যুক্ত করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
এছাড়া অযোগ্যতার ক্ষেত্রে ৬(ঘ) ধারায়ও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এ ধারায় বলা হয়েছিল, ‘নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে সিইসি ও কমিশনার হওয়া যাবে না।’ এখানে দুই বছরের কারাদণ্ড উঠিয়ে শুধু ‘কারাদণ্ড’ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। অর্থাৎ নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে যেকোনো মেয়াদে কারাদণ্ডে দণ্ডিত কোনো ব্যক্তি সিইসি বা নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য হবেন না।
বিজনেস আওয়ার/২৬ জানুয়ারি, ২০২২/কমা