ঢাকা , শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছেলের লাশ আনতে ওসি প্রদীপের পা ধরেছি, তাও দেয়নি

  • পোস্ট হয়েছে : ০৩:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২২
  • 17

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: সিনহা হত্যার রায় ঘোষণার আগে এই মামলার অন্যতম আসামি ওসি প্রদীপের ফাঁসির দাবিতে আদালত চত্বরে চলছে মানববন্ধন। এই মানববন্ধনে ছেলের ছবি হাতে দাঁড়িয়েছেন এক নারী।

ওসি প্রদীপের ফাঁসি চেয়ে অঝোরে কাঁদছেন হালিমা খাতুন নামের এই নারী। তার বাড়ি টেকনাফের ডেইলপাড়া এলাকায়।

হালিমা নিউজবাংলাকে জানান, ২০১৯ সালে চায়ের দোকান থেকে তার ছেলে আব্দুল আজিজকে ধরে নিয়ে যান ওসি প্রদীপের লোকজন। এর ছয় দিন পর মেরিন ড্রাইভে আজিজের মরদেহ পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে রিকশা চালাত। সে কোনো অপরাধী ছিল না। তার নামে একটি মামলাও নাই। ওসি প্রদীপ দালালদের মাধ্যমে টাকা দাবি করেছিল। টাকা না দেয়ায় আমার ছেলেকে হত্যা করেছে।

‘মেরিন ড্রাইভ থেকে আমার ছেলের লাশ আনতে গেলে সেটাও দেয়নি। ওসি প্রদীপের পায়ে ধরে চেয়েছি। সে অনেক পাষাণ। আমি তার ফাঁসি চাই।’

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার রায় সোমবার ঘোষণা করা হবে।

রায় ঘোষণার জন্য সকাল থেকেই আদালত চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আসামিদের কয়েকজন আত্মীয়-স্বজনকেও সেখানে দেখা গেছে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরে এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

বিজনেস আওয়ার/৩১ জানুয়ারি,২০২২/এএইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ছেলের লাশ আনতে ওসি প্রদীপের পা ধরেছি, তাও দেয়নি

পোস্ট হয়েছে : ০৩:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: সিনহা হত্যার রায় ঘোষণার আগে এই মামলার অন্যতম আসামি ওসি প্রদীপের ফাঁসির দাবিতে আদালত চত্বরে চলছে মানববন্ধন। এই মানববন্ধনে ছেলের ছবি হাতে দাঁড়িয়েছেন এক নারী।

ওসি প্রদীপের ফাঁসি চেয়ে অঝোরে কাঁদছেন হালিমা খাতুন নামের এই নারী। তার বাড়ি টেকনাফের ডেইলপাড়া এলাকায়।

হালিমা নিউজবাংলাকে জানান, ২০১৯ সালে চায়ের দোকান থেকে তার ছেলে আব্দুল আজিজকে ধরে নিয়ে যান ওসি প্রদীপের লোকজন। এর ছয় দিন পর মেরিন ড্রাইভে আজিজের মরদেহ পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে রিকশা চালাত। সে কোনো অপরাধী ছিল না। তার নামে একটি মামলাও নাই। ওসি প্রদীপ দালালদের মাধ্যমে টাকা দাবি করেছিল। টাকা না দেয়ায় আমার ছেলেকে হত্যা করেছে।

‘মেরিন ড্রাইভ থেকে আমার ছেলের লাশ আনতে গেলে সেটাও দেয়নি। ওসি প্রদীপের পায়ে ধরে চেয়েছি। সে অনেক পাষাণ। আমি তার ফাঁসি চাই।’

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার রায় সোমবার ঘোষণা করা হবে।

রায় ঘোষণার জন্য সকাল থেকেই আদালত চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আসামিদের কয়েকজন আত্মীয়-স্বজনকেও সেখানে দেখা গেছে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরে এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

বিজনেস আওয়ার/৩১ জানুয়ারি,২০২২/এএইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: