ঢাকা , রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদেও খালেদা জিয়ার সাক্ষাৎ পাচ্ছেন না দলের নেতাকর্মীরা

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ মে ২০২০
  • 63

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : কারাগার থেকে মুক্তি পেলেও নেতাকর্মীদের সাথে এবার ঈদ উদযাপন করতে পারছেন না বিএনপি চেয়ারপার্সর খালেদা জিয়া। ফলে নেত্রীকে কাছ থেকে এক নজর দেখার অপেক্ষার প্রহর আরো দীর্ঘ হচ্ছে নেতাকর্মীদের।

করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই বেগম জিয়া নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখছেন। বলতে গেলে মুক্তির পর গত দুই মাস কোয়ারেন্টিনেই কেটেছে তার। এখনো তিনি অসুস্থ। পরিবেশ অনুকূলে না থাকায় এখনো তার উন্নত চিকিৎসা শুরু হয়নি।

জানা গেছে, পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন বিএনপি প্রধান। এ উপলক্ষে তার গুলশানের বাসায় চলছে প্রস্ততি। পরিবারের সবাই কাছে থাকলেও দূরে রয়েছেন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, বৌ ও নাতনীরা। তবে ঈদের দিন স্কাইপিতে শুভেচ্ছাবিনিময়ে সবাই এক সাথে মিলিত হবেন।

খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি ও মেয়ে জাহিয়া রহমান প্রতিবার ঈদে দেশে আসেন। কিন্তু এবার পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় আসতে পারছে না তারা। দেশে আসতে না পারলেও শাশুড়ির জন্য ঈদের পোশাক, খেজুরসহ বিভিন্ন রকমের শুকনো খাবার পাঠিয়েছেন সিঁথি।

খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার এবং বোন সেলিমা ইসলাম ঈদের আয়োজন করছেন। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবারের মেনু রাখা হয়েছে। পোলাও, মুরগির রোস্ট, খাসির রেজালা, জর্দা সেমাইসহ অন্যান্য খাবারের সাথে থাকছে খালেদা জিয়ার পছন্দের স্পেশাল কাউনিয়ার পায়েস।

গত বছর খালেদা জিয়ার ঈদ কেটেছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ)। ঈদের দিন পরিবারের সদস্যরা দেখা করার অনুমতি পেলেও তাদের নিয়ে যাওয়া খাবার খেতে দেয়া হয়নি তাকে।

এ প্রসঙ্গে খালেদা জিয়ার ছোট বোন সেলিমা ইসলাম নয়া দিগন্তে বলেন, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি এবার সবগুলো রোজা রেখেছেন। ২ বছর পরে আমরা তার সাথে ঈদ করবো এটি অত্যন্ত সুখের বিষয়। তিনি বলেন, এবারের ঈদে তার পছন্দ অনুযায়ী খাবারের মেনু রাখা হয়েছে।

সেলিমা ইসলাম বলেন, তিনি আগের চেয়ে অনেক ভালো আছেন মানসিকভাবে। তবে শরীর এখনো ভালো হয়নি। স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে ডাক্তারের নির্দেশ অনুযায়ী বাইরের কাউকে তার সাথে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না। আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী গিয়ে দেখাশোনা করেন।

আর গৃহপরিচারিকা ফাতেমা তো সার্বক্ষণিক দেখাশোনা করছে। ঈদে আত্মীয়স্বজন অনেকেই শুভেচ্ছা জানাতে আসতে চেয়েছেন কিন্তু আমরা না করেছি। এমনকি দলের সিনিয়র নেতারা ছাড়া অন্য কেউই দেখা করার অনুমতি পাবেন না।

বিজনেস আওয়ার/২৩ মে, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ঈদেও খালেদা জিয়ার সাক্ষাৎ পাচ্ছেন না দলের নেতাকর্মীরা

পোস্ট হয়েছে : ১২:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ মে ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : কারাগার থেকে মুক্তি পেলেও নেতাকর্মীদের সাথে এবার ঈদ উদযাপন করতে পারছেন না বিএনপি চেয়ারপার্সর খালেদা জিয়া। ফলে নেত্রীকে কাছ থেকে এক নজর দেখার অপেক্ষার প্রহর আরো দীর্ঘ হচ্ছে নেতাকর্মীদের।

করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই বেগম জিয়া নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখছেন। বলতে গেলে মুক্তির পর গত দুই মাস কোয়ারেন্টিনেই কেটেছে তার। এখনো তিনি অসুস্থ। পরিবেশ অনুকূলে না থাকায় এখনো তার উন্নত চিকিৎসা শুরু হয়নি।

জানা গেছে, পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন বিএনপি প্রধান। এ উপলক্ষে তার গুলশানের বাসায় চলছে প্রস্ততি। পরিবারের সবাই কাছে থাকলেও দূরে রয়েছেন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, বৌ ও নাতনীরা। তবে ঈদের দিন স্কাইপিতে শুভেচ্ছাবিনিময়ে সবাই এক সাথে মিলিত হবেন।

খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি ও মেয়ে জাহিয়া রহমান প্রতিবার ঈদে দেশে আসেন। কিন্তু এবার পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় আসতে পারছে না তারা। দেশে আসতে না পারলেও শাশুড়ির জন্য ঈদের পোশাক, খেজুরসহ বিভিন্ন রকমের শুকনো খাবার পাঠিয়েছেন সিঁথি।

খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার এবং বোন সেলিমা ইসলাম ঈদের আয়োজন করছেন। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবারের মেনু রাখা হয়েছে। পোলাও, মুরগির রোস্ট, খাসির রেজালা, জর্দা সেমাইসহ অন্যান্য খাবারের সাথে থাকছে খালেদা জিয়ার পছন্দের স্পেশাল কাউনিয়ার পায়েস।

গত বছর খালেদা জিয়ার ঈদ কেটেছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ)। ঈদের দিন পরিবারের সদস্যরা দেখা করার অনুমতি পেলেও তাদের নিয়ে যাওয়া খাবার খেতে দেয়া হয়নি তাকে।

এ প্রসঙ্গে খালেদা জিয়ার ছোট বোন সেলিমা ইসলাম নয়া দিগন্তে বলেন, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি এবার সবগুলো রোজা রেখেছেন। ২ বছর পরে আমরা তার সাথে ঈদ করবো এটি অত্যন্ত সুখের বিষয়। তিনি বলেন, এবারের ঈদে তার পছন্দ অনুযায়ী খাবারের মেনু রাখা হয়েছে।

সেলিমা ইসলাম বলেন, তিনি আগের চেয়ে অনেক ভালো আছেন মানসিকভাবে। তবে শরীর এখনো ভালো হয়নি। স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে ডাক্তারের নির্দেশ অনুযায়ী বাইরের কাউকে তার সাথে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না। আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী গিয়ে দেখাশোনা করেন।

আর গৃহপরিচারিকা ফাতেমা তো সার্বক্ষণিক দেখাশোনা করছে। ঈদে আত্মীয়স্বজন অনেকেই শুভেচ্ছা জানাতে আসতে চেয়েছেন কিন্তু আমরা না করেছি। এমনকি দলের সিনিয়র নেতারা ছাড়া অন্য কেউই দেখা করার অনুমতি পাবেন না।

বিজনেস আওয়ার/২৩ মে, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: