ঢাকা , বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনীর নানা জটিলতা কাটিয়ে শুটিংয়ে সরব এফডিসি

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • 104

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : সোমবারের বিকেল। ঠান্ডা বাতাস, সঙ্গে রৌদ্রের উঁকিঝুঁকি। চলচ্চিত্রের আঁতুড়ঘর এফডিসি যেন এ পরিবেশে মাথা ঝেড়ে ওঠার চেষ্টা করছে। কেউবা বলছেন, জেগে উঠছে। কারও মতে, এফডিসি তার রূপে ফিরছে। কারণ, এর নানা জায়গায় চলছিল শুটিং। চলছিল বিজ্ঞাপনচিত্রের শুটিংও। দীর্ঘদিন পর একসঙ্গে তিন চলচ্চিত্রের শুটিংয়ে সরগরম এফডিসি, এমন দৃশ্য কাছাকাছি সময়ে দেখা যায়নি। চলছিল ডাবিংও। সে হিসেবে শুটিং-ডাবিংয়ে এফডিসি ছিল বেশ কর্মমুখর।
এফডিসির এমন পরিবেশে অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীরা ভীষণ আনন্দিত। বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে আসা সাংবাদিকদের অভিমতও ছিল অনেকটা এ রকম, এফডিসির পরিবেশ তো এমনটাই হওয়া উচিত। কোথায় প্রতিদিন শুটিংয়ের খবর সংগ্রহ করব, সেখানে কিনা নির্বাচন আর নির্বাচন!
গেল কয়েক দিন এফডিসির প্রধান ফটকে উৎসুক জনতার ভিড় লক্ষ করা গেছে। ভেতরেও ছিল দর্শনার্থীদের আনাগোনা। তাঁরা কেউ শুটিং দেখতে আসেননি, ছিল না কোনো শুটিংও। এসেছিলেন শিল্পী সমিতির নির্বাচন ঘিরে এফডিসিতে আসা তারকাদের একনজর কাছ থেকে দেখতে। গেল কয়েক সপ্তাহ এ রকম থাকলেও গতকাল সোমবারের দিনটা অনেকটাই বদলে গেছে। এফডিসি যে কারণে তৈরি হয়, সেটিরই যেন সার্থক রূপে ফেরার চেষ্টা দেখা গেছে।

এফডিসির এদিক-ওদিক ঘোরাঘুরি করে এ–ও বোঝা গেল, সপ্তাহখানেক আগে অনুষ্ঠিত শিল্পী সমিতির নির্বাচন ঘিরে সৃষ্ট উত্তেজনাকর পরিস্থিতির রেশ এখনো কাটেনি। গতকাল সোমবার তা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। জায়েদ খানের আইনজীবীর হাইকোর্টে রিট করার পর রায়ে নিপুণের সাধারণ সম্পাদক পদ স্থগিতের নির্দেশে এফডিসিতে নতুন করে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। সবার মধ্যে কানাঘুষা, সাধারণ সম্পাদক পদের তাহলে কী হবে। নিপুণ কি তবে এ পদে থাকছেন না? দুপুরের পর থেকে গণমাধ্যমকর্মীর পাশাপাশি দুই প্যানেলের কর্মী–সমর্থকেরা এফডিসিতে আসা শুরু করেন। বিকেলেই শোনা যায়, এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে নিপুণ তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে আপিল করবেন।
এদিকে ঘুরতে ঘুরতে জানা গেল, সকাল থেকেই এফডিসির কড়ইতলা, প্রশাসনিক ভবন ও অন্যান্য ভবনসংলগ্ন স্থানে তারকা–শিল্পীদের তিন ছবির শুটিং চলছে। সব মিলিয়ে সোমবারের এফডিসি ছিল উৎসবের আমেজে। প্রশাসনিক ভবনের সামনে যেতেই চোখ আটকে গেল দৃষ্টিনন্দন একটি সেটে। রঙিন বিশাল সেট। ময়ূর দিয়ে ডিজাইন করা সেখানে দুটি রিকশাও রয়েছে। জমকালো পোশাক পরে সহকারী নৃত্যশিল্পীদের একটা বড় দল নাচের মহড়া করছিল। ডাক পড়ল বুবলী ও রোশানের। দেখা যায়, চিত্রনায়ক জসিম ফ্লোর থেকে সেটের দিকে আসছেন বুবলী ও রোশান। দেখা হতেই কথা প্রসঙ্গে জানালেন, এ সেটে চলছে তাঁদের ‘মায়া-দ্য লাভ’ চলচ্চিত্রের গানের শুটিং।
আকাশ মাহমুদের সংগীত পরিচালনায় গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন কোনাল ও জিকু। আর চলচ্চিত্রের পরিচালক জসিম উদ্দিন। রোশান বলেন, ‘যদিও আমি ভোটার না, তারপরও নির্বাচনী উত্তাপ ভালোই লাগছে। এর মধ্যে আমরা শুটিং করছি। অনেকেই শুটিং দেখতে ভিড় করছেন। বিষয়টি উপভোগ করছি, শুটিং করছি।’ বুবলী বললেন, ‘দুদিন ধরে এফডিসিতে শুটিং করছি। কাজের মানুষ আমি। কাজের মধ্যে থাকতেই ভালোবাসি। আনন্দ নিয়েই শুটিং করছি। খুবই চমৎকার আয়োজনে আমাদের গানের শুটিং হচ্ছে।’
ঢুঁ মারলাম প্রশাসনিক ভবনের ভেতর। সেখান থেকে বের হতেই দেখা গেল, পরিচালক কাজী হায়াৎ ভেতরে ঢুকছেন। কথা হতেই বললেন, ভবনটির নিচতলায় তাঁর চলচ্চিত্র ‘জয় বাংলা’র দৃশ্যধারণের কাজ শুরু হবে। তিনি আরও বললেন, ‘এফডিসিতে সবাই শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। কিন্তু হচ্ছেটা কী! শিল্পী সমিতি নিয়ে এখন যা হচ্ছে, তা মোটেও কাঙ্ক্ষিত নয়। এসবে শিল্পীদের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে, চলচ্চিত্রের সুনাম হারাচ্ছি আমরা। হারাচ্ছি ফাইন্যান্সারও, যা মোটেও উচিত নয়।’ এই ছবির নায়ক-নায়িকা বাপ্পী ও জাহরা মিতু। তাঁদের সঙ্গে ফোনে কথা হলে জানালেন, তাঁরা দুজন ৭ নম্বর ফ্লোর রূপসজ্জাকক্ষে আছেন। এফডিসির নির্বাচনের খবর জানতে চাইলে উল্টো বাপ্পী বলেন, ‘আমি জানতে চাই, এফডিসিতে আসলে কী হচ্ছে?’
বুবলী–রোশান–বাপ্পীদের সঙ্গে কথা শেষ করে বের হয়ে হাঁটতে হাঁটতে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্টিস্ট স্টাডি রুমের সামনে দেখা হয় অপু বিশ্বাসের সঙ্গে। দীর্ঘদিন পর দেখা হতেই কুশল বিনিময় করলেন। জানালেন, কড়ইতলায় ‘প্রেম–প্রীতির বন্ধন’ চলচ্চিত্রের শুটিং ছিল। সকাল সকাল তাই এফডিসিতে এসে হাজির তিনি। হঠাৎ চিত্রগ্রাহক অসুস্থ হয়ে পড়লে শুটিং বন্ধ হয়ে যায়। শুটিং না হওয়ায় ছবির প্রধান দুই অভিনয়শিল্পী অপু বিশ্বাস ও জয় চৌধুরী ছোটেন ডাবিং রুমে। শুটিংয়ের সময়টাকে কাজে লাগাতে তাঁরা দুজন কয়েক ঘণ্টা ডাবিং করেন। কথা প্রসঙ্গে দুজনেই বললেন, ‘ভাবলাম, এফডিসিতে যেহেতু চলেই এসেছি, সময়টা কাজে লাগুক। তাই আমরা ডাবিং সেরে নিলাম।’ অপু বললেন, ‘বড় বাজেটে ছবিটি তৈরি হচ্ছে। পরিচালক কোনো কিছুতে কম্প্রোমাইজ করছেন না।’
জানা গেছে, ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অপু বিশ্বাস ও জয় চৌধুরী এফডিসিতে টানা শুটিং করবেন। এদিকে জয় চৌধুরীকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত দেখাচ্ছিল। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির আন্তর্জাতিক সম্পাদক জয় চৌধুরী বললেন, ‘শিল্পী সমিতি নিয়ে যেভাবে কাদা–ছোড়াছুড়ি হচ্ছে, তাতে আমি ভীষণ বিরক্ত। আমি সিনেমায় অভিনয়ে মনোযোগী হতে চাই। এখন যা হচ্ছে, মোটেও ভালো লাগছে না।’
এদিকে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে এক সপ্তাহের রুল জারি করেছে আদালত। সেই চিঠি বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে এফডিসিতে স্থাপিত শিল্পী সমিতি কার্যালয়ে পৌঁছায়। তবে কেউ তা গ্রহণ না করায় সমিতির নোটিশ বোর্ডে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।

বিজনেস আওয়ার/০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

সর্বাধিক পঠিত

নির্বাচনীর নানা জটিলতা কাটিয়ে শুটিংয়ে সরব এফডিসি

পোস্ট হয়েছে : ০৪:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : সোমবারের বিকেল। ঠান্ডা বাতাস, সঙ্গে রৌদ্রের উঁকিঝুঁকি। চলচ্চিত্রের আঁতুড়ঘর এফডিসি যেন এ পরিবেশে মাথা ঝেড়ে ওঠার চেষ্টা করছে। কেউবা বলছেন, জেগে উঠছে। কারও মতে, এফডিসি তার রূপে ফিরছে। কারণ, এর নানা জায়গায় চলছিল শুটিং। চলছিল বিজ্ঞাপনচিত্রের শুটিংও। দীর্ঘদিন পর একসঙ্গে তিন চলচ্চিত্রের শুটিংয়ে সরগরম এফডিসি, এমন দৃশ্য কাছাকাছি সময়ে দেখা যায়নি। চলছিল ডাবিংও। সে হিসেবে শুটিং-ডাবিংয়ে এফডিসি ছিল বেশ কর্মমুখর।
এফডিসির এমন পরিবেশে অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীরা ভীষণ আনন্দিত। বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে আসা সাংবাদিকদের অভিমতও ছিল অনেকটা এ রকম, এফডিসির পরিবেশ তো এমনটাই হওয়া উচিত। কোথায় প্রতিদিন শুটিংয়ের খবর সংগ্রহ করব, সেখানে কিনা নির্বাচন আর নির্বাচন!
গেল কয়েক দিন এফডিসির প্রধান ফটকে উৎসুক জনতার ভিড় লক্ষ করা গেছে। ভেতরেও ছিল দর্শনার্থীদের আনাগোনা। তাঁরা কেউ শুটিং দেখতে আসেননি, ছিল না কোনো শুটিংও। এসেছিলেন শিল্পী সমিতির নির্বাচন ঘিরে এফডিসিতে আসা তারকাদের একনজর কাছ থেকে দেখতে। গেল কয়েক সপ্তাহ এ রকম থাকলেও গতকাল সোমবারের দিনটা অনেকটাই বদলে গেছে। এফডিসি যে কারণে তৈরি হয়, সেটিরই যেন সার্থক রূপে ফেরার চেষ্টা দেখা গেছে।

এফডিসির এদিক-ওদিক ঘোরাঘুরি করে এ–ও বোঝা গেল, সপ্তাহখানেক আগে অনুষ্ঠিত শিল্পী সমিতির নির্বাচন ঘিরে সৃষ্ট উত্তেজনাকর পরিস্থিতির রেশ এখনো কাটেনি। গতকাল সোমবার তা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। জায়েদ খানের আইনজীবীর হাইকোর্টে রিট করার পর রায়ে নিপুণের সাধারণ সম্পাদক পদ স্থগিতের নির্দেশে এফডিসিতে নতুন করে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। সবার মধ্যে কানাঘুষা, সাধারণ সম্পাদক পদের তাহলে কী হবে। নিপুণ কি তবে এ পদে থাকছেন না? দুপুরের পর থেকে গণমাধ্যমকর্মীর পাশাপাশি দুই প্যানেলের কর্মী–সমর্থকেরা এফডিসিতে আসা শুরু করেন। বিকেলেই শোনা যায়, এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে নিপুণ তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে আপিল করবেন।
এদিকে ঘুরতে ঘুরতে জানা গেল, সকাল থেকেই এফডিসির কড়ইতলা, প্রশাসনিক ভবন ও অন্যান্য ভবনসংলগ্ন স্থানে তারকা–শিল্পীদের তিন ছবির শুটিং চলছে। সব মিলিয়ে সোমবারের এফডিসি ছিল উৎসবের আমেজে। প্রশাসনিক ভবনের সামনে যেতেই চোখ আটকে গেল দৃষ্টিনন্দন একটি সেটে। রঙিন বিশাল সেট। ময়ূর দিয়ে ডিজাইন করা সেখানে দুটি রিকশাও রয়েছে। জমকালো পোশাক পরে সহকারী নৃত্যশিল্পীদের একটা বড় দল নাচের মহড়া করছিল। ডাক পড়ল বুবলী ও রোশানের। দেখা যায়, চিত্রনায়ক জসিম ফ্লোর থেকে সেটের দিকে আসছেন বুবলী ও রোশান। দেখা হতেই কথা প্রসঙ্গে জানালেন, এ সেটে চলছে তাঁদের ‘মায়া-দ্য লাভ’ চলচ্চিত্রের গানের শুটিং।
আকাশ মাহমুদের সংগীত পরিচালনায় গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন কোনাল ও জিকু। আর চলচ্চিত্রের পরিচালক জসিম উদ্দিন। রোশান বলেন, ‘যদিও আমি ভোটার না, তারপরও নির্বাচনী উত্তাপ ভালোই লাগছে। এর মধ্যে আমরা শুটিং করছি। অনেকেই শুটিং দেখতে ভিড় করছেন। বিষয়টি উপভোগ করছি, শুটিং করছি।’ বুবলী বললেন, ‘দুদিন ধরে এফডিসিতে শুটিং করছি। কাজের মানুষ আমি। কাজের মধ্যে থাকতেই ভালোবাসি। আনন্দ নিয়েই শুটিং করছি। খুবই চমৎকার আয়োজনে আমাদের গানের শুটিং হচ্ছে।’
ঢুঁ মারলাম প্রশাসনিক ভবনের ভেতর। সেখান থেকে বের হতেই দেখা গেল, পরিচালক কাজী হায়াৎ ভেতরে ঢুকছেন। কথা হতেই বললেন, ভবনটির নিচতলায় তাঁর চলচ্চিত্র ‘জয় বাংলা’র দৃশ্যধারণের কাজ শুরু হবে। তিনি আরও বললেন, ‘এফডিসিতে সবাই শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। কিন্তু হচ্ছেটা কী! শিল্পী সমিতি নিয়ে এখন যা হচ্ছে, তা মোটেও কাঙ্ক্ষিত নয়। এসবে শিল্পীদের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে, চলচ্চিত্রের সুনাম হারাচ্ছি আমরা। হারাচ্ছি ফাইন্যান্সারও, যা মোটেও উচিত নয়।’ এই ছবির নায়ক-নায়িকা বাপ্পী ও জাহরা মিতু। তাঁদের সঙ্গে ফোনে কথা হলে জানালেন, তাঁরা দুজন ৭ নম্বর ফ্লোর রূপসজ্জাকক্ষে আছেন। এফডিসির নির্বাচনের খবর জানতে চাইলে উল্টো বাপ্পী বলেন, ‘আমি জানতে চাই, এফডিসিতে আসলে কী হচ্ছে?’
বুবলী–রোশান–বাপ্পীদের সঙ্গে কথা শেষ করে বের হয়ে হাঁটতে হাঁটতে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্টিস্ট স্টাডি রুমের সামনে দেখা হয় অপু বিশ্বাসের সঙ্গে। দীর্ঘদিন পর দেখা হতেই কুশল বিনিময় করলেন। জানালেন, কড়ইতলায় ‘প্রেম–প্রীতির বন্ধন’ চলচ্চিত্রের শুটিং ছিল। সকাল সকাল তাই এফডিসিতে এসে হাজির তিনি। হঠাৎ চিত্রগ্রাহক অসুস্থ হয়ে পড়লে শুটিং বন্ধ হয়ে যায়। শুটিং না হওয়ায় ছবির প্রধান দুই অভিনয়শিল্পী অপু বিশ্বাস ও জয় চৌধুরী ছোটেন ডাবিং রুমে। শুটিংয়ের সময়টাকে কাজে লাগাতে তাঁরা দুজন কয়েক ঘণ্টা ডাবিং করেন। কথা প্রসঙ্গে দুজনেই বললেন, ‘ভাবলাম, এফডিসিতে যেহেতু চলেই এসেছি, সময়টা কাজে লাগুক। তাই আমরা ডাবিং সেরে নিলাম।’ অপু বললেন, ‘বড় বাজেটে ছবিটি তৈরি হচ্ছে। পরিচালক কোনো কিছুতে কম্প্রোমাইজ করছেন না।’
জানা গেছে, ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অপু বিশ্বাস ও জয় চৌধুরী এফডিসিতে টানা শুটিং করবেন। এদিকে জয় চৌধুরীকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত দেখাচ্ছিল। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির আন্তর্জাতিক সম্পাদক জয় চৌধুরী বললেন, ‘শিল্পী সমিতি নিয়ে যেভাবে কাদা–ছোড়াছুড়ি হচ্ছে, তাতে আমি ভীষণ বিরক্ত। আমি সিনেমায় অভিনয়ে মনোযোগী হতে চাই। এখন যা হচ্ছে, মোটেও ভালো লাগছে না।’
এদিকে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে এক সপ্তাহের রুল জারি করেছে আদালত। সেই চিঠি বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে এফডিসিতে স্থাপিত শিল্পী সমিতি কার্যালয়ে পৌঁছায়। তবে কেউ তা গ্রহণ না করায় সমিতির নোটিশ বোর্ডে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।

বিজনেস আওয়ার/০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: