ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিজের স্ত্রীকে আনতে না পেরে লাইভে যুবকের আত্মহত্যা

  • পোস্ট হয়েছে : ০৭:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • 68

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : চাচা শ্বশুরের বাড়ি থেকে স্ত্রীকে আনতে না পেরে ফেসবুক লাইভে এসে বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন ইমরোজ হোসেন রনি নামের এক যুবক। লাইভে তিনি স্ত্রী, শ্বশুর, চাচা শ্বশুর ও ভায়রা এমদাদুল হককে দায়ী করেন।

আজ দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে গতকাল শনিবার দুপুরে বিষপান করেন তিনি। রনি উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের নিজ তাজ গ্রামের মৃত তৈয়ব মিয়ার ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, চার বছর আগে ভালোবেসে পশ্চিম হাগুরিয়া হাসিম গ্রামের দিনমজুর বাদল মিয়ার মেয়ে শামীমা ইয়াসমিন সাথীকে বিয়ে করেন ইমরোজ হোসেন রনি। বিয়ের পর তাদের সংসারে এক ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। কয়েকদিন ধরে রনির কাছে দেনমোহরের পাঁচ লাখ টাকা ও শ্বশুর-শাশুড়ির ভরণ-পোষণ দাবি করে আসছিলেন তার স্ত্রী।

এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। একপর্যায়ে কাউকে না বলে বুধবার পাশের রতনপুর গ্রামে চাচা মুকুল মিয়ার বাড়িতে চলে যান স্ত্রী। শনিবার সকালে তাকে আনতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন ইমরোজ হোসেন রনি।

লাইভে ইমরোজ হোসেন রনি বলেন, আমাকে না বলে তিন দিন আগে আমার স্ত্রী চাচা মুকুল মিয়ার বাড়িতে চলে যান। আমি আনতে গেলে তারা আমার কাছে দেনমোহরের পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। আমি এখন ফেসবুক লাইভে এসে বিষপানে আত্মহত্যা করবো। আমার মৃত্যুর জন্য আমার স্ত্রী, শ্বশুর, চাচা শ্বশুর ও ভায়রা এমদাদুল হক দায়ী। এ বলে একটি সাদা বোতলের মুখ খুলে বিষপান করেন রনি। এসময় তার সঙ্গে এক কিশোরকে দেখা যায়। কিন্তু তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরেস চন্দ্র বলেন, ওই যুবক রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিজনেসে আওয়ার/১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২/ জে ভি

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

নিজের স্ত্রীকে আনতে না পেরে লাইভে যুবকের আত্মহত্যা

পোস্ট হয়েছে : ০৭:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : চাচা শ্বশুরের বাড়ি থেকে স্ত্রীকে আনতে না পেরে ফেসবুক লাইভে এসে বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন ইমরোজ হোসেন রনি নামের এক যুবক। লাইভে তিনি স্ত্রী, শ্বশুর, চাচা শ্বশুর ও ভায়রা এমদাদুল হককে দায়ী করেন।

আজ দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে গতকাল শনিবার দুপুরে বিষপান করেন তিনি। রনি উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের নিজ তাজ গ্রামের মৃত তৈয়ব মিয়ার ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, চার বছর আগে ভালোবেসে পশ্চিম হাগুরিয়া হাসিম গ্রামের দিনমজুর বাদল মিয়ার মেয়ে শামীমা ইয়াসমিন সাথীকে বিয়ে করেন ইমরোজ হোসেন রনি। বিয়ের পর তাদের সংসারে এক ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। কয়েকদিন ধরে রনির কাছে দেনমোহরের পাঁচ লাখ টাকা ও শ্বশুর-শাশুড়ির ভরণ-পোষণ দাবি করে আসছিলেন তার স্ত্রী।

এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। একপর্যায়ে কাউকে না বলে বুধবার পাশের রতনপুর গ্রামে চাচা মুকুল মিয়ার বাড়িতে চলে যান স্ত্রী। শনিবার সকালে তাকে আনতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন ইমরোজ হোসেন রনি।

লাইভে ইমরোজ হোসেন রনি বলেন, আমাকে না বলে তিন দিন আগে আমার স্ত্রী চাচা মুকুল মিয়ার বাড়িতে চলে যান। আমি আনতে গেলে তারা আমার কাছে দেনমোহরের পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। আমি এখন ফেসবুক লাইভে এসে বিষপানে আত্মহত্যা করবো। আমার মৃত্যুর জন্য আমার স্ত্রী, শ্বশুর, চাচা শ্বশুর ও ভায়রা এমদাদুল হক দায়ী। এ বলে একটি সাদা বোতলের মুখ খুলে বিষপান করেন রনি। এসময় তার সঙ্গে এক কিশোরকে দেখা যায়। কিন্তু তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরেস চন্দ্র বলেন, ওই যুবক রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিজনেসে আওয়ার/১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২/ জে ভি

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: