বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : সময়ের হিসাবে আজ তাঁর প্রয়াণের এক দশক। প্রকৃতি যখন ফাগুন উৎসবে মেতে উঠছিল, ঠিক তখনই দেশের বিনোদন অঙ্গনে ছড়িয়ে পড়ে সেই শোকের খবর। সবাই জেনে যান, গুণী অভিনয়শিল্পী হুমায়ুন ফরীদি পাড়ি জমিয়েছেন না ফেরার দেশে। কাল আবারও আসছে বসন্ত, ফাগুনের আগুন লাগা রঙে সাজবে প্রকৃতি। আর ভক্তরা প্রয়াণের দশক পূর্তিতে স্মরণ করবেন তাঁদের প্রিয় হুমায়ুন ফরীদিকে।
হুমায়ুন ফরীদি ১৯৬৪ সালে প্রথম মঞ্চনাটকে অভিনয় করেন। প্রথম নির্দেশনা দেন স্কুলজীবনে, নাটকের নাম ‘ভূত’। টিভি নাটক বা মঞ্চে সেলিম আল দীন এবং নাসির উদ্দীন ইউসুফের বাইরে হুমায়ুন ফরীদি সর্বাধিক কাজ করেছিলেন হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে। হুমায়ুন ফরীদি স্মরণে নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, ‘একজন চৌকস ও মেধাবী অভিনেতা হিসেবে তার সব গুণ ছিল। তবে সিনেমায় গিয়ে অভিনয়ের অনেক কিছুই অনুসরণ করত না সে। আমাদেরই ব্যর্থতা যে আমরা তাকে মঞ্চে ধরে রাখতে পারিনি। তারপরও একজন অভিনেতা হিসেবে সে যে উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছিল, তা সত্যিই অনুকরণীয়। আগামী দিনগুলোতে নতুন প্রজন্মের কাছে তার কর্মগুলো তুলে ধরাই আমাদের দায়িত্ব মনে করি।’
ব্যক্তিজীবনে বেলি ফুলের মালা দিয়ে ফরিদপুরের মেয়ে মিনুকে বিয়ে করেন হুমায়ুন ফরীদি। এ বিয়ে তখন সারা দেশে আলোড়ন তোলে। সেই সংসারে তাদের কন্যাসন্তানের নাম দেবযানী। পরে তিনি ঘর বাঁধেন প্রখ্যাত অভিনয়শিল্পী সুবর্ণা মুস্তাফার সঙ্গে, ২০০৮ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তবে ব্যক্তিজীবন ছাপিয়ে হুমায়ুন ফরীদি সবার প্রিয় অভিনেতা হিসেবে এখনো আবিষ্ট করে রেখেছেন অগুনতি দর্শক-সমালোচককে।
বিজনেসে আওয়ার/১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২/ জে ভি