ঢাকা , শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খায়রুজ্জামানের ফেরাতে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন মালয়েশিয়ার আদালত

  • পোস্ট হয়েছে : ০১:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • 45

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশের সাবেক হাই কমিশনার এম খায়রুজ্জামানকে ঢাকায় ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) খায়রুজ্জামানের আইনজীবীর করা এক আবেদনের শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জাইনি মাজলান এ আদেশ দেন।

খায়রুজ্জামানের আইনজীবী আদালতে যে ‘হেবিয়াস করপাস রিট’ করেছেন, সে বিষয়ে শুনানির জন্য ২০ মে পরবর্তী তারিখ রেখেছেন বিচারক মোহাম্মদ জাইনি মাজলান। একই সঙ্গে তাকে বাংলাদেশে ফেরত না পাঠানোর আদেশ দেন।

কাউকে ‘বেআইনিভাবে’ আটক করার অভিযোগ উঠলে তাকে আদালতের সামনে হাজির করার জন্য এ ধরনের রিট মামলা হয়।

আইনজীবীরা আদালতে যুক্তি দেন, খায়রুজ্জামান মালয়েশিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী ছিলেন। তার নামে ইউএনএইচসিআরের কার্ডও ছিল। তিনি কোনো ধরনের অভিবাসন আইন ভঙ্গ করেননি, ফলে তাকে আটকে রাখা বেআইনি।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি কুয়ালালামপুরের আম্পাং এলাকা থেকে খায়রুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে মালয়েশিয়ায় শরণার্থী হিসেবে বসবাস করছিলেন বাংলাদেশের সাবেক এ হাইকমিশনার।

১৯৭৫ সালের জেলহত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন খায়রুজ্জামান। পরে তিনি এ মামলা থেকে খালাস পান। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালে তিনি মালয়েশিয়ায় হাইকমিশনার নিযুক্ত হন।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তাকে ঢাকায় ফিরে আসার জন্য বলা হয়। দেশে ফিরে আসা ঝুঁকি মনে করে তিনি কুয়ালালামপুর থেকে জাতিসংঘের শরণার্থী কার্ড নেন এবং সেখানেই থেকে যান।

বিজনেস আওয়ার/১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

খায়রুজ্জামানের ফেরাতে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন মালয়েশিয়ার আদালত

পোস্ট হয়েছে : ০১:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশের সাবেক হাই কমিশনার এম খায়রুজ্জামানকে ঢাকায় ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) খায়রুজ্জামানের আইনজীবীর করা এক আবেদনের শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জাইনি মাজলান এ আদেশ দেন।

খায়রুজ্জামানের আইনজীবী আদালতে যে ‘হেবিয়াস করপাস রিট’ করেছেন, সে বিষয়ে শুনানির জন্য ২০ মে পরবর্তী তারিখ রেখেছেন বিচারক মোহাম্মদ জাইনি মাজলান। একই সঙ্গে তাকে বাংলাদেশে ফেরত না পাঠানোর আদেশ দেন।

কাউকে ‘বেআইনিভাবে’ আটক করার অভিযোগ উঠলে তাকে আদালতের সামনে হাজির করার জন্য এ ধরনের রিট মামলা হয়।

আইনজীবীরা আদালতে যুক্তি দেন, খায়রুজ্জামান মালয়েশিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী ছিলেন। তার নামে ইউএনএইচসিআরের কার্ডও ছিল। তিনি কোনো ধরনের অভিবাসন আইন ভঙ্গ করেননি, ফলে তাকে আটকে রাখা বেআইনি।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি কুয়ালালামপুরের আম্পাং এলাকা থেকে খায়রুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে মালয়েশিয়ায় শরণার্থী হিসেবে বসবাস করছিলেন বাংলাদেশের সাবেক এ হাইকমিশনার।

১৯৭৫ সালের জেলহত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন খায়রুজ্জামান। পরে তিনি এ মামলা থেকে খালাস পান। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালে তিনি মালয়েশিয়ায় হাইকমিশনার নিযুক্ত হন।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তাকে ঢাকায় ফিরে আসার জন্য বলা হয়। দেশে ফিরে আসা ঝুঁকি মনে করে তিনি কুয়ালালামপুর থেকে জাতিসংঘের শরণার্থী কার্ড নেন এবং সেখানেই থেকে যান।

বিজনেস আওয়ার/১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: