ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএসসির নিট মুনাফা ৩৯৮% বেড়ে ১২৬.৩১ কোটি টাকা

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • 115

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : জাহাজ ব্যবসায়ী বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিএসসি) চলতি অর্থবছরের ১ম প্রান্তিকের ন্যায় দ্বিতীয় প্রান্তিকেও বড় ব্যবসা হয়েছে। যাতে কোম্পানিটির প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসম্বর ২১) মুনাফায় বড় উত্থান হয়েছে। এর পেছনে অন্যসব কোম্পানির ন্যায় শেয়ারবাজার থেকে নয়, মূল ব্যবসা থেকে আয় বৃদ্ধি কারন হিসেবে রয়েছে। যে কারনে এই উত্থানের ধারা আগামিতেও অব্যাহত থাকার সুযোগ রয়েছে।

বিএসসি দীর্ঘদিন ধরে গতানুগতিক ব্যবসা করে আসলেও চলতি বছরের ১ম প্রান্তিকে বড় উত্থান হয়। ওই প্রান্তিকে যে পরিমাণ আয় হয়েছে, সেই পরিমাণ আগের কোন পুরো অর্থবছরেও হয়নি। এর অন্যতম কারন মূল ব্যবসা জাহাজ ভাড়া থেকে বড় আয়। রাষ্ট্রীয় এ কোম্পানিটি ২০১৯ সালে এম. টি. বাংলার অগ্রযাত্রা, এম. টি. বাংলার অগ্রদূত এবং এম.টি বাংলার অগ্রগতি নামের ৩টি জাহাজ নামায়।

বিএসইসির ১ম প্রান্তিকের ব্যবসার খবর প্রকাশের পর থেকেই টানা উত্থানে রয়েছে কোম্পানিটির শেয়ার দর। গত ২৩ ডিসেম্বর আর্থিক হিসাব প্রকাশের দিন বিএসসির শেয়ার দর ছিল ৪৯.৪০ টাকা। যে শেয়ারটি ১৬ ফেব্রুয়ারি লেনদেন শেষে দাড়িঁয়েছে ১৩৩.১০ টাকায়। এ হিসাবে ২ মাসেরও কম সময়ের ব্যবধানে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৮৩.৭০ টাকা বা ১৬৯ শতাংশ। তারপরেও ১৫ ফেব্রুয়ারি কোম্পানিটির পিই দাড়িঁয়েছে মাত্র ৭.৯২ এ।

দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর ২১) কোম্পানিটির ভাড়া ও সেবা থেকে ২২৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা আয় হয়েছে। যার পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ১১৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা। এ হিসাবে আয় বেড়েছে ১০৯ কোটি ৩২ লাখ টাকার বা ৯২ শতাংশ।

এই আয় বৃদ্ধির পেছনে কারন হিসেবে রয়েছে টাইম চার্টারের ভাড়ার হার ও কমিশন বৃদ্ধি।

আরও পড়ুন…….
ফরচুন সুজও কোটি কোটি টাকার ফান্ড নিয়ে গেম্বলিং আইটেমে ছুটছে

এদিকে কোম্পানিটির অন্যান্য খাত থেকেও আয় বেড়েছে। মূলত এফডিআর বৃদ্ধির কারনে এ খাতে আয় বেড়েছে। কোম্পানিটির আগের বছরের প্রথমার্ধের এ খাতের ২১ কোটি ৭৬ লাখ টাকার আয় এ বছরে বেড়ে হয়েছে ২৯ কোটি ২৯ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে আয় বেড়েছে ৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকার বা ৩৫ শতাংশ।

কোম্পানিটির প্রথমার্ধে আয় থেকে পরিচালন ব্যয়, সুদজনিত ব্যয় ও কর সঞ্চিতি বিয়োগ এবং অন্যান্য আয় যোগ শেষে নিট মুনাফা দাড়িঁয়েছে ১২৬ কোটি ৩১ লাখ টাকা বা শেয়ারপ্রতি ৮.২৮ টাকা। যা আগের বছরের একই সময়ে নিট মুনাফা হয়েছিল ২৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা বা শেয়ারপ্রতি ১.৬৬ টাকা। এ হিসাবে নিট মুনাফা বেড়েছে ১০০ কোটি ৯৬ লাখ টাকার বা ৩৯৮ শতাংশ।

উল্লেখ্য, ১৫২ কোটি ৫৪ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধনের বিএসসিতে ১০৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকার নিট সম্পদ রয়েছে। যাতে কোম্পানিটির ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৬৮.৫৬ টাকায়।

বিজনেস আওয়ার/১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

3 thoughts on “বিএসসির নিট মুনাফা ৩৯৮% বেড়ে ১২৬.৩১ কোটি টাকা

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

বিএসসির নিট মুনাফা ৩৯৮% বেড়ে ১২৬.৩১ কোটি টাকা

পোস্ট হয়েছে : ১১:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : জাহাজ ব্যবসায়ী বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিএসসি) চলতি অর্থবছরের ১ম প্রান্তিকের ন্যায় দ্বিতীয় প্রান্তিকেও বড় ব্যবসা হয়েছে। যাতে কোম্পানিটির প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসম্বর ২১) মুনাফায় বড় উত্থান হয়েছে। এর পেছনে অন্যসব কোম্পানির ন্যায় শেয়ারবাজার থেকে নয়, মূল ব্যবসা থেকে আয় বৃদ্ধি কারন হিসেবে রয়েছে। যে কারনে এই উত্থানের ধারা আগামিতেও অব্যাহত থাকার সুযোগ রয়েছে।

বিএসসি দীর্ঘদিন ধরে গতানুগতিক ব্যবসা করে আসলেও চলতি বছরের ১ম প্রান্তিকে বড় উত্থান হয়। ওই প্রান্তিকে যে পরিমাণ আয় হয়েছে, সেই পরিমাণ আগের কোন পুরো অর্থবছরেও হয়নি। এর অন্যতম কারন মূল ব্যবসা জাহাজ ভাড়া থেকে বড় আয়। রাষ্ট্রীয় এ কোম্পানিটি ২০১৯ সালে এম. টি. বাংলার অগ্রযাত্রা, এম. টি. বাংলার অগ্রদূত এবং এম.টি বাংলার অগ্রগতি নামের ৩টি জাহাজ নামায়।

বিএসইসির ১ম প্রান্তিকের ব্যবসার খবর প্রকাশের পর থেকেই টানা উত্থানে রয়েছে কোম্পানিটির শেয়ার দর। গত ২৩ ডিসেম্বর আর্থিক হিসাব প্রকাশের দিন বিএসসির শেয়ার দর ছিল ৪৯.৪০ টাকা। যে শেয়ারটি ১৬ ফেব্রুয়ারি লেনদেন শেষে দাড়িঁয়েছে ১৩৩.১০ টাকায়। এ হিসাবে ২ মাসেরও কম সময়ের ব্যবধানে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৮৩.৭০ টাকা বা ১৬৯ শতাংশ। তারপরেও ১৫ ফেব্রুয়ারি কোম্পানিটির পিই দাড়িঁয়েছে মাত্র ৭.৯২ এ।

দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর ২১) কোম্পানিটির ভাড়া ও সেবা থেকে ২২৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা আয় হয়েছে। যার পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ১১৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা। এ হিসাবে আয় বেড়েছে ১০৯ কোটি ৩২ লাখ টাকার বা ৯২ শতাংশ।

এই আয় বৃদ্ধির পেছনে কারন হিসেবে রয়েছে টাইম চার্টারের ভাড়ার হার ও কমিশন বৃদ্ধি।

আরও পড়ুন…….
ফরচুন সুজও কোটি কোটি টাকার ফান্ড নিয়ে গেম্বলিং আইটেমে ছুটছে

এদিকে কোম্পানিটির অন্যান্য খাত থেকেও আয় বেড়েছে। মূলত এফডিআর বৃদ্ধির কারনে এ খাতে আয় বেড়েছে। কোম্পানিটির আগের বছরের প্রথমার্ধের এ খাতের ২১ কোটি ৭৬ লাখ টাকার আয় এ বছরে বেড়ে হয়েছে ২৯ কোটি ২৯ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে আয় বেড়েছে ৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকার বা ৩৫ শতাংশ।

কোম্পানিটির প্রথমার্ধে আয় থেকে পরিচালন ব্যয়, সুদজনিত ব্যয় ও কর সঞ্চিতি বিয়োগ এবং অন্যান্য আয় যোগ শেষে নিট মুনাফা দাড়িঁয়েছে ১২৬ কোটি ৩১ লাখ টাকা বা শেয়ারপ্রতি ৮.২৮ টাকা। যা আগের বছরের একই সময়ে নিট মুনাফা হয়েছিল ২৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা বা শেয়ারপ্রতি ১.৬৬ টাকা। এ হিসাবে নিট মুনাফা বেড়েছে ১০০ কোটি ৯৬ লাখ টাকার বা ৩৯৮ শতাংশ।

উল্লেখ্য, ১৫২ কোটি ৫৪ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধনের বিএসসিতে ১০৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকার নিট সম্পদ রয়েছে। যাতে কোম্পানিটির ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৬৮.৫৬ টাকায়।

বিজনেস আওয়ার/১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: