বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : স্বর্ণের গহনা ছাড়া বাপ্পি লাহিড়ি? এমন দিনও যে আসতে পারে, বোধহয় দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি সুরকার-শিল্পী স্বয়ং। এখন অনুরাগীদের মনে প্রশ্ন, এবার তার সেই সাধের গহনাগুলোর কী হবে? কে পাবেন প্রয়াত শিল্পীর এত অলঙ্কার?
নিজেকে স্বর্ণে মুড়ে রাখা অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলে বাপ্পি লাহিড়ির। স্বর্ণ তার কাছে ছিল সৌভাগ্যের প্রতীক। সংস্কার আর স্বর্ণপ্রেম তাই মিলেমিশে একাকার। প্রতিটি অলঙ্কার যাতে যত্নে থাকে, সেজন্য আলাদা করে দেখভালের লোকও নিযুক্ত করেছিলেন। বাপ্পি লাহিড়ির সেই সহকারী নিয়মিত গহনাগুলোর রক্ষণাবেক্ষণও করতেন।
বাপ্পি লাহিড়ি যেমন গহনা ছাড়া থাকতে পারতেন না, তেমনই তার অলঙ্কার অন্য কেউ স্পর্শ করবে, সেটাও সহ্য করতে পারতেন না। একবার তার এক সহকারী তার গহনার সঙ্গে ছবি তুলতে চেয়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বিনয়ের সঙ্গে তাকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এই সুরকার।
বাপ্পি লাহিড়ির এক পারিবারিক বন্ধু জানিয়েছেন, শিল্পীর দুই সন্তান বাপ্পা আর রেমা ঠিক করেছেন বাবার বাকি জিনিসের মতোই গহনাগুলোও তারা সংরক্ষণ করবেন। দু’টি ভাগে রাখা হবে সমস্ত কিছু। একটি ভাগে থাকবে তার প্রতিদিনের পরার গহনা। যত্ন করে সাজানো থাকবে বাক্সে। অন্যভাগে থাকবে তুলে রাখা গহনা। সেগুলোর বাক্স আলাদা।
বিজনেসে আওয়ার/১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২/ জে ভি