বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বিশ্বব্যাপী দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। এই সময়ের মধ্যে বহু দেশে প্রতিদিন করোনা সংক্রমণের নতুন রেকর্ড হয়েছে; আবার লাখ লাখ মানুষ সংক্রমণে মারাও গেছে। কিন্তু বিশ্বের কিছু দেশে করোনার এতটুকু ছোঁয়াও লাগে নি।
টুভালু: তিনটি রিফ দ্বীপ এবং ছয়টি প্রবালপ্রাচীর মিলে টুভালু গঠিত। কমনওয়েলথের সদস্য টুভালু করোনা মহামারি শুরু হওয়ার সময়ই সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছিল। সেই সঙ্গে কঠোরভাবে কোয়ারেন্টিনবিধি মেনে চলেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব মতে, সেখানে মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষ করোনা টিকা নিয়েছেন।
টোকেলাউ: দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্রবালপ্রাচীর ঘেরা ক্ষুদ্র টোকেলাউ’কে করোনামুক্ত হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে ডাব্লিউএইচও। মাত্র একটি বিমানবন্দর রয়েছে। সেখানকার জনসংখ্যা এক হাজার ৫০০ জন।
সেইন্ট হেলেনা: দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রিত এলাকা। সেখানকার ৫৮.১৬ শতাংশ মানুষ করোনা টিকা নিয়েছেন। সেখানেও করোনা পৌঁছায়নি।
পিটকেয়ার্ন দ্বীপপুঞ্জ: এগুলো প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ) বলেছে, পলিনেশিয়ানরা ছিল পিটকেয়ার্ন দ্বীপপুঞ্জের প্রথম বাসিন্দা। সেখানকার শতকরা ৭৪ জন করোনা টিকা নিয়েছেন।
নিউয়ী: এটি দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত দ্বীপ। ডাব্লিউএইচও’র তালিকা অনুসারে, সেখানকার প্রতি ১০০ জনে ৭৯ জনেরও বেশি মানুষ এখানে করোনার সম্পূর্ণ টিকা নিয়েছেন।
এছাড়া নওরু এবং মাইক্রোনেশিয়াতেও করোনা সংক্রমণ ঘটেনি। তুর্কমেনিস্তান এবং উত্তর কোরিয়াকেও করোনামুক্ত দেশ হিসেবে তালিকায় রেখেছে ডাব্লিউএইচও।
বিজনেসে আওয়ার/১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২/ জে ভি