বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে গ্রেফতার রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের বিষয়ে জনসাধারণের কাছ থেকে প্রতারণার তথ্য সংগ্রহের জন্য হটলাইন চালু করে র্যাব। শনিবার পর্যন্ত প্রথম দিনে র্যাবের হটলাইনে ৯২টি অভিযোগ জমা পড়েছে।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগীর কাছ থেকে সাহেদের প্রতারণার বিষয়ে তথ্য আহ্বানের পর থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ নানাভাবে র্যাবকে তথ্য জানিয়ে সহায়তা চাচ্ছেন। একদিনেই সাহেদের বিরুদ্ধে ৯২টি প্রতারণার অভিযোগ জমা পড়েছে।
এর মধ্যে ফোন কলের মাধ্যমে ভুক্তভোগীরা র্যাবকে ৭২টি অভিযোগ দিয়েছেন। আর ২০টি অভিযোগ এসেছে মেইলে, যারা বিভিন্ন প্রতারণার তথ্য প্রমাণসহ র্যাবকে মেইল করেছেন।
এ প্রসঙ্গে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, সাহেদের দ্বারা প্রতারিত হয়ে বিপুল সংখ্যক ভুক্তভোগী র্যাবকে তথ্য জানাচ্ছেন। অভিযোগগুলো যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে ভুক্তভোগীদের আইনি সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।
এর আগে অভিযোগ জানাতে বা আইনি সহায়তা পেতে একটি মোবাইল নাম্বার (01777720211) ও একটি ইমেইল এড্রেস ([email protected]) মিডিয়ার মাধ্যমে জনগণকে জানানো হয়। যা আরো সময় ধরে চালু থাকবে বলে জানিয়েছে র্যাব সদর দফতর।
উল্লেখ্য, গত ৬ জুলাই র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় পরীক্ষা ছাড়াই করোনার সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নেয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়।
এরপর ৭ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশে র্যাব রিজেন্ট হাসপাতাল ও তার মূল কার্যালয় সিলগালা করে দেয়। রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে ওই দিনই উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা হয়। এরপর থেকে সাহেদ পলাতক ছিল। পরে ১৫ জুলাই সাতক্ষীরা থেকে সাহেদকে গ্রেফতার করে র্যাব।
বিজনেস আওয়ার/১৯ জুলাই, ২০২০/এ