বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ইউক্রেন সংকট নিয়ে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে রাশিয়া। পশ্চিমাদের সঙ্গে দূরত্বের মধ্যে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে মস্কোর। ইউক্রেন সংকট শুরুর আগেই বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে মস্কোর পাশে থাকার বিষয়ে আশ্বস্ত করা হয়েছিল। এখন পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার মুখেও রাশিয়ার জন্য সুর চড়া করেনি বেইজিং। যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহীদের দুই অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে ‘স্বাধীন প্রজাতন্ত্র’ হিসেবে পুতিনের স্বীকৃতির নিন্দা জানালেও চীন এ বিষয়ে চুপ। বলেছে, ইউক্রেন সংকট নিরসনে কূটনৈতিক সমাধানকে স্বাগত জানাবে বেইজিং।
জাতিসংঘে চীনের প্রতিনিধি গত সোমবার ‘সব পক্ষকে’ সংযত হতে ও ‘উত্তেজনা বৃদ্ধি’ এড়িয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ডাকা এক জরুরি বৈঠকে চীনের প্রতিনিধি জ্যাং জুন বলেন, কূটনৈতিক সমাধানকে বেইজিং স্বাগত জানাবে এবং উৎসাহিত করবে। তিনি বলেন, সব ধরনের উদ্বেগকে ‘সমতার ভিত্তিতে’ দেখা উচিত।
জ্যাং বলেন, ‘ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি অনেকগুলো জটিল কারণের ফল। চীন সব সময় নিজেদের বিবেচনাবোধ থেকে নিজের অবস্থান ঠিক করে। আমরা বিশ্বাস করি, জাতিসংঘ সনদের উদ্দেশ্য ও নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সব দেশের আন্তর্জাতিক বিরোধ সমাধান করা উচিত।
বর্তমান পরিস্থিতিতে রাশিয়ার বিষয়ে চীন চুপচাপ থাকলেও ‘মিথ্যা তথ্য ছড়ানো’ ও উত্তেজনা তৈরির জন্য বারবার যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য ওয়াশিংটনকে দায়ী করার পাশাপাশি রাশিয়ার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউক্রেন আগ্রাসনে বেইজিং থেকে কূটনৈতিক সমর্থন পাচ্ছে মস্কো। পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার মুখে অর্থনৈতিকভাবে চীনা সমর্থন পেতে পারে মস্কো। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মস্কোকে সামরিক সহায়তা দেওয়া থেকে দূরে থাকবে বেইজিং।
বিজনেস আওয়ার/২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২/ জে ভি