বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : রাশিয়ার সাথে যুদ্ধের শঙ্কায় ইউক্রেন ছাড়তে শুরু করেছেন অনেক বাংলাদেশি। দেশটিতে থাকা বাংলাদেশিদের দিন কাটছে উদ্বেগ-উৎকন্ঠায়। ইউক্রেনে বৈধভাবে প্রায় দেড় হাজার বাংলাদেশি রয়েছেন।
এই বাংলাদেশিরা এখন পড়াশোনা, ব্যবসা ও চাকরির ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিয়ন্তায় রয়েছেন।
ইউক্রেনে চার বছরের স্নাতক করতে বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন কুমিল্লার ফরহাদ। খণ্ডকালীন চাকরিও পেয়ে যান। ইউক্রেন-রাশিয়া সংকটে তার সামনে এখন ঘোর অনিশ্চয়তা। এক বছরের মাথায় দেশটি ছাড়তে ঢাকার টিকেট খুঁজতে হচ্ছে এই শিক্ষার্থীকে।
ইউক্রেনে কুমিল্লার প্রবাসী ফরহাদ বলেন: আমি যে এলাকায় থাকি ওই এলাকায় রেড মার্ক করে দেওয়া হয়েছে। ইউনির্ভাসিটি থেকে একটি লেটার নেব। বাংলাদেশে চলে আসলে পরে যাওযার জন্য এটা দেখাতে পারব।
সীমান্তে মস্কোর তৎপরতায় পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। জরুরি অবস্থা জারির পর রাতের ইউক্রেনে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ অবস্থায়ও অনেক বাংলাদেশি দেশটিতে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন।
সাড়ে ৬ বছর ধরে ইউক্রেনে বাস করা বাংলাদেশি এই শিক্ষার্থী জানালেন: মেডিকেলে আমি ৬ বছর ধরে পড়াশোনা করছি। এখন বাংলাদেশে চলে গেলে আমার পড়াশোনা ১ বছর পিছিয়ে যাব। পরে বাংলাদেশ থেকে ইউক্রেন আসতে অনেক ঝামেলার সম্মুখীন হতে হবে। এখন আমি কী করব বুঝতে পারছি না।
ইউক্রেনে বাংলাদেশের দূতাবাস না থাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের সম্পৃক্ত রাখছেন প্রবাসীরা। পোলান্ডের দূতাবাস পরামর্শ দিলেও যুদ্ধাবস্থায় কতটা সহয়তা মিলবে তা নিয়ে চিন্তায় আছেন অনেকে।
প্রবাসী রাজীব আহমেদ বলেন: পোলান্ড বলছে হেল্প করবে। কিন্তু কতটুকু হেল্প করবে তা জানি না। তাদেরকে মেইল পাঠালে কোন জবাব আসে না।
পরিস্থিতি যতই উত্তপ্ত থাকুক, আলোচনার মাধ্যমে সমাধান মিলবে- এমন আশা করছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
বিজনেস আওয়ার/২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২/ জে ভি