ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শাহেদের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা ছিল ডা. সাবরিনার

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জুলাই ২০২০
  • 69

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহেদ করিমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীর। রিমান্ডে ডিবি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে একে অপরকে সাথে ঘনিষ্ঠতা থাকার কথা অকপটে স্বীকার করেছেন সাবরিনা।

জিজ্ঞাসাবাদে ডা. সাবরিনা জানান, একে অপরকে তারা আগে থেকেই চিনতেন। নিয়মিত পার্টিতে অংশ নিতেন। সাহেদ-সাবরিনা ছাড়াও সেই পার্টিতে সমাজের আরও অনেক চেনামুখ অংশ নিতেন। তাছাড়া করোনার সনদ জালিয়াতির আইডিয়া শাহেদের কাছ থেকে পেয়েছেন বলেও জানান তিনি।

স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে কাজ ভাগিয়ে নিতে ব্যবহার করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর ও সরকারদলীয় চিকিৎসক সংগঠনের একাধিক চিকিৎসককে। এছাড়া এক ব্যবসায়ীর হোটেল জোরপূর্বক দখল করে ব্যবসা করতেন শাহেদ। করোনাকালে দখল করা সেই হোটেলটি সরকারকে দিয়েছিলেন।

গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উত্তরা ৬নং সেক্টরে মিলিনিয়াম রেস্টুরেন্টটি রাজবাড়ীর এক বাসিন্দার। তিনি দীর্ঘদিন পর জাপান থেকে দেশে এসে ওই রেস্টুরেন্টটি করেন। পরে ২০১৯ সালে যৌথভাবে ব্যবসার জন্য রিজেন্টের শাহেদের সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন।

চুক্তিতে বেশকিছু শর্তও জুড়ে দিয়েছিলেন। শর্তের মধ্যে ছিল শাহেদকে মাসে মাসে একটা ভাড়া পরিশোধ করতে হবে।কিন্তু কিছুদিনের মাথায় শাহেদ সেই হোটেলের যাবতীয় নিয়ন্ত্রণ নিজের কব্জায় নিয়ে নেন। হোটেলের মূল মালিককে হোটেলে ঢুকতে দিতেন না।

ডা. সাবরিনা চৌধুরী জাপানি খাবার পছন্দ করতেন। তাই তিনি ওই রেস্টুরেন্টে খাবার খেতে যেতেন। সেখানে শাহেদের সঙ্গে তার পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতা। শাহেদের দখল করা হোটেলের ওপরে আবাসিক ব্যবস্থা ছিল। তাই প্রায়ই সেখানে আমোদ ফুর্তি ও মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা করা হতো।

শাহেদ করোনা পরিস্থিতিতে ওই হোটেলটি স্বাস্থ্য অধিদফতরকে দেন। শাহেদের মালিকানাধীন রিজেন্ট হাসপাতালটি ছিল করোনা ডেডিকেটেড। তাই সেখানকার চিকিৎসক-নার্সদের সেখানেই রাখা হতো।

বিজনেস আওয়ার/১৯ জুলাই, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

শাহেদের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা ছিল ডা. সাবরিনার

পোস্ট হয়েছে : ১২:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জুলাই ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহেদ করিমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীর। রিমান্ডে ডিবি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে একে অপরকে সাথে ঘনিষ্ঠতা থাকার কথা অকপটে স্বীকার করেছেন সাবরিনা।

জিজ্ঞাসাবাদে ডা. সাবরিনা জানান, একে অপরকে তারা আগে থেকেই চিনতেন। নিয়মিত পার্টিতে অংশ নিতেন। সাহেদ-সাবরিনা ছাড়াও সেই পার্টিতে সমাজের আরও অনেক চেনামুখ অংশ নিতেন। তাছাড়া করোনার সনদ জালিয়াতির আইডিয়া শাহেদের কাছ থেকে পেয়েছেন বলেও জানান তিনি।

স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে কাজ ভাগিয়ে নিতে ব্যবহার করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর ও সরকারদলীয় চিকিৎসক সংগঠনের একাধিক চিকিৎসককে। এছাড়া এক ব্যবসায়ীর হোটেল জোরপূর্বক দখল করে ব্যবসা করতেন শাহেদ। করোনাকালে দখল করা সেই হোটেলটি সরকারকে দিয়েছিলেন।

গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উত্তরা ৬নং সেক্টরে মিলিনিয়াম রেস্টুরেন্টটি রাজবাড়ীর এক বাসিন্দার। তিনি দীর্ঘদিন পর জাপান থেকে দেশে এসে ওই রেস্টুরেন্টটি করেন। পরে ২০১৯ সালে যৌথভাবে ব্যবসার জন্য রিজেন্টের শাহেদের সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন।

চুক্তিতে বেশকিছু শর্তও জুড়ে দিয়েছিলেন। শর্তের মধ্যে ছিল শাহেদকে মাসে মাসে একটা ভাড়া পরিশোধ করতে হবে।কিন্তু কিছুদিনের মাথায় শাহেদ সেই হোটেলের যাবতীয় নিয়ন্ত্রণ নিজের কব্জায় নিয়ে নেন। হোটেলের মূল মালিককে হোটেলে ঢুকতে দিতেন না।

ডা. সাবরিনা চৌধুরী জাপানি খাবার পছন্দ করতেন। তাই তিনি ওই রেস্টুরেন্টে খাবার খেতে যেতেন। সেখানে শাহেদের সঙ্গে তার পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতা। শাহেদের দখল করা হোটেলের ওপরে আবাসিক ব্যবস্থা ছিল। তাই প্রায়ই সেখানে আমোদ ফুর্তি ও মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা করা হতো।

শাহেদ করোনা পরিস্থিতিতে ওই হোটেলটি স্বাস্থ্য অধিদফতরকে দেন। শাহেদের মালিকানাধীন রিজেন্ট হাসপাতালটি ছিল করোনা ডেডিকেটেড। তাই সেখানকার চিকিৎসক-নার্সদের সেখানেই রাখা হতো।

বিজনেস আওয়ার/১৯ জুলাই, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: