বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : সরকারের করোনা ফান্ডের ৫০০ কোটি টাকার দিকে নজর পড়েছিল আরিফ-সাবরিনা দম্পতির। ডা. সাবরিনা ও আরিফকে জিজ্ঞাসাবাদে গোয়েন্দারা এমন তথ্য জানতে পেরেছেন বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, সরকারের করোনা ফান্ডের টাকা হাতিয়ে নিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও মন্ত্রণালয়ের চার কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেছিলেন তারা। কর্মকর্তাদের নামও তারা জানিয়েছেন। সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ পাওয়ার পর তাদেরও ডিবি জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
জেকেজি’র বিরুদ্ধে অভিযোগ- সরকারের কাছ থেকে বিনা মূল্যে নমুনা সংগ্রহের অনুমতি নিয়ে বুকিং বিডি ও হেলথ কেয়ার নামে দুটি সাইটের মাধ্যমে টাকা নিচ্ছিল এবং করোনার নমুনা পরীক্ষা ছাড়াই ভুয়া সনদ দিচ্ছিল জেকেজি।
অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ২২ জুন জেকেজির সাবেক গ্রাফিক্স ডিজাইনার হুমায়ুন কবীর হিরু ও তার স্ত্রী তানজিন পাটোয়ারীকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে করোনার ভুয়া সার্টিফিকেটের ডিজাইন তৈরি করত বলে হিরু জানায়। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতেও হিরু জেকেজির জালিয়াতির কথা স্বীকার করেছে।
এরপর ২৩ জুন জেকেজির সিইও আরিফুলসহ চারজন গ্রেফতার হয়। আর আরিফুলকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনার সম্পৃক্ততা উঠে আসে।
রিমান্ডে জেকেজিতে করোনা জালিয়াতির তিন মূলহোতাকে জিজ্ঞাসাবাদে চক্রের বেশ কিছু তথ্য গোয়েন্দাদের কাছে এসেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এসব তথ্য তারা এ মুহূর্তে প্রকাশ করছেন না। তারা তথ্যের সত্যতা যাচাই-বাছাই করছেন।
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা জালিয়াতিতে জড়িত জোবেদা খাতুন হেলথ কেয়ারের (জেকেজি) চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ ও তার স্বামী আরিফ চৌধুরীকে দ্বিতীয় দফা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ডিবি পুলিশ।
বিজনেস আওয়ার/১৯ জুলাই, ২০২০/এ