ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেনকে তিন শর্ত রাশিয়ার

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ মার্চ ২০২২
  • 46

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেন রাশিয়ার দেয়া শর্ত মেনে নিলে যেকোনো মুহূর্তে হামলা বন্ধ করবে মস্কো। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এ কথা বলেছেন। ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে সোমবারও হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা তৃতীয় দফার আলোচনায় বসেছেন।

এ ব্যাপারে রাশিয়ার মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ জানিয়েছেন তাদের শর্ত হলো, ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে ইউক্রেনকে স্বীকৃতি দিতে হবে। ২০১৪ সালে ইউক্রেন থেকে ক্রিমিয়ার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় রাশিয়া। দ্বিতীয় শর্ত হলো ইউক্রেন ন্যাটো বা অন্য যে জোটগুলোতে যোগ দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটি পরিত্যাগ করতে হবে এবং তাদের সংবিধানে পরিবর্তন আনতে হবে। ২০০৮ সালে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার বিষয়টি সংবিধানে যুক্ত করে ইউক্রেন।

মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ আরও জানিয়েছেন, ইউক্রেনে এখন তারা বিশেষ অভিযান চালালেও, নতুন করে ইউক্রেনের কোনো অঞ্চলকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার কোনো ইচ্ছা তাদের নেই। ফলে ইউক্রেন যদি তাদের শর্ত মেনে নেয় তাহলে যে কোনো মূহুর্তে হামলা বন্ধ করে দেওয়া হবে।

ইউক্রেনের ক্রিমিয়া ২০১৪ সালে দখল করে নেয় রাশিয়া। আর রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর লুহানস্ক ও দোনেত্স্ক অঞ্চলের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেয় গত ২২ ফেব্রুয়ারি। এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে রুশ বাহিনী।

বিজনেস আওয়ার/০৮ মার্চ, ২০২২/এএইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেনকে তিন শর্ত রাশিয়ার

পোস্ট হয়েছে : ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ মার্চ ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেন রাশিয়ার দেয়া শর্ত মেনে নিলে যেকোনো মুহূর্তে হামলা বন্ধ করবে মস্কো। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এ কথা বলেছেন। ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে সোমবারও হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা তৃতীয় দফার আলোচনায় বসেছেন।

এ ব্যাপারে রাশিয়ার মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ জানিয়েছেন তাদের শর্ত হলো, ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে ইউক্রেনকে স্বীকৃতি দিতে হবে। ২০১৪ সালে ইউক্রেন থেকে ক্রিমিয়ার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় রাশিয়া। দ্বিতীয় শর্ত হলো ইউক্রেন ন্যাটো বা অন্য যে জোটগুলোতে যোগ দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটি পরিত্যাগ করতে হবে এবং তাদের সংবিধানে পরিবর্তন আনতে হবে। ২০০৮ সালে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার বিষয়টি সংবিধানে যুক্ত করে ইউক্রেন।

মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ আরও জানিয়েছেন, ইউক্রেনে এখন তারা বিশেষ অভিযান চালালেও, নতুন করে ইউক্রেনের কোনো অঞ্চলকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার কোনো ইচ্ছা তাদের নেই। ফলে ইউক্রেন যদি তাদের শর্ত মেনে নেয় তাহলে যে কোনো মূহুর্তে হামলা বন্ধ করে দেওয়া হবে।

ইউক্রেনের ক্রিমিয়া ২০১৪ সালে দখল করে নেয় রাশিয়া। আর রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর লুহানস্ক ও দোনেত্স্ক অঞ্চলের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেয় গত ২২ ফেব্রুয়ারি। এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে রুশ বাহিনী।

বিজনেস আওয়ার/০৮ মার্চ, ২০২২/এএইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: