বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : রাজধানীর বাড্ডায় একটি স্কুলের সামনে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত তাসলিমা বেগম রেনু হত্যার এক বছর পার হলেও মামলার তদন্ত শেষ হয়নি। এ মামলার তদন্ত কবে নাগাদ শেষ হবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে নিহতের পরিবার।
মামলাটির সম্পর্কে তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল হক বলেন, মামলাটির তদন্ত চলমান। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে মামলাটির চার্জশিট দাখিল করতে পারব।
মামলার বাদী নাসির উদ্দিন বলেন, রেনু খালার মৃত্যু হওয়ার একবছর পার হয়ে গেছে। কিন্তু মামলার তদন্ত এখনো শেষ হলো না। তদন্ত শেষ হবে আর কবে বিচার পাব কিছুই বুঝছি না। আমার খালা হত্যার সঙ্গে জড়িত সবার সর্বোচ্চ সাজা চাই।
এদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী শামীম জানান, ঘটনার সঙ্গে আসামিরা জড়িত না। বর্তমানে মামলাটির তদন্ত চলছে। আমরাও চাই তদন্ত দ্রুত শেষ হয়ে দোষীরা পাক। সেই সঙ্গে যারা নির্দোষ তারা যেন মুক্তি পান।’
জানা গেছে, তাসলিমা বেগম রেনু হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য গত ২৬ এপ্রিল তারিখ নির্ধারণ করে করেছিলেন ঢাকার সিএমএম আদালত।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২০ জুলাই সকালে রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় মেয়েকে ভর্তি করাবেন বলে স্থানীয় একটি স্কুলে যান তাসলিমা বেগম রেনু (৪০)। এ সময় তাকে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়। ওই রাতেই রেনুর বোনের ছেলে নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় অজ্ঞাতনামা ৫০০ জনকে আসামি করা হয়। পরে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে গণপিটুনিতে জড়িত কয়েকজনকে শনাক্তের পর গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালত মামলার প্রধান অভিযুক্ত হৃদয় ওরফে ইব্রাহিমের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড চলাকালে হৃদয় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
একইদিন রেনুকে পিটিয়ে হত্যার আগে ‘ছেলেধরা’ গুজব সৃষ্টিকারী রিয়া খাতুনও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। হৃদয় ও রিয়া কারাগারে রয়েছেন। জাফর হোসেন নামের আরেক আসামিও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে কারাগারে রয়েছেন।
এছাড়া মো. শাহীন, মো. বাচ্চু মিয়া, মো. বাপ্পি, মো. কামাল হোসেন ও আবুল কালাম আজাদকে চারদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের বিলম্বের সুযোগে গ্রেফতার হওয়া ১৪ আসামির ৫ জনই জামিনে আছেন।
বিজনেস আওয়ার/২০ জুলাই, ২০২০/এ