ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রিজেন্টের নথিপত্র দুদকে জমা দিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

  • পোস্ট হয়েছে : ০১:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জুলাই ২০২০
  • 67

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে করোনার চিকিৎসার জন্য সরকারের চুক্তিনামাসহ সকল নথিপত্র দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্ততর৷ সোমবার (২০ জুলাই) সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম দুদকের উপপরিচালক ও রিজেন্ট দুর্নীতির অনুসন্ধান কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিকীর কাছে নথিপত্র জমা দেন৷

এর আগে গত ১৩ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতাল ও এর চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। যার জন্য তিন সদস্যের একটি দলও গঠন করা হয়৷ কমিশনের উপ-পরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের অনুসন্ধান দলের অন্য সদস্যরা হলেন মো. নেয়ামুল হাসান গাজী ও শেখ মো. গোলাম মাওলা।

গত ৬ জুলাই নানা অনিয়ম, প্রতারণা, সরকারের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ, করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট ও সার্টিফিকেট দেওয়া এবং রোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে রিজেন্ট গ্রুপের দু’টি হাসপাতালে অভিযান চালান র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ অভিযানের নের্তৃত্ব দেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলম।

অভিযানে রিজেন্টের প্রতারণার সত্যতা মেলে। সেই সঙ্গে পাওয়া যায় গুরতর সব প্রতারণার তথ্য। পরদিন ৭ জুলাই রিজেন্ট গ্রুপের মূল কার্যালয় এবং হাসপাতালের রাজধানীর উত্তরা ও মিরপুরের দু’টি শাখা সিলগালা করে দেওয়া হয়। হাসপাতালটি প্রতারণা করে ১০ হাজারেরও বেশি করোনা পরীক্ষার ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়েছে।

অভিযানের সময় রিজেন্ট হাসপাতালের পরিচালক ও ব্যবস্থাপকসহ আটজনকে আটক করে র‌্যাব। পরদিন ৭ জুলাই করোনা পরীক্ষা না করেই সার্টিফিকেট প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করে র‌্যাব।মামলায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহেদ করিমকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এজাহারে।

এরপর থেকেই পলাতক ছিলেন শাহেদ। তারপরই তাকে খুঁজতে সারাদেশে তৎপরতা শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাকে গ্রেফতারে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় র‌্যাব। এরপর গত ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী লবঙ্গবতী নদীর তীর থেকে আটক করা হয় সাহেদকে।

বিজনেস আওয়ার/২০ জুলাই, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

রিজেন্টের নথিপত্র দুদকে জমা দিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

পোস্ট হয়েছে : ০১:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জুলাই ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে করোনার চিকিৎসার জন্য সরকারের চুক্তিনামাসহ সকল নথিপত্র দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্ততর৷ সোমবার (২০ জুলাই) সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম দুদকের উপপরিচালক ও রিজেন্ট দুর্নীতির অনুসন্ধান কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিকীর কাছে নথিপত্র জমা দেন৷

এর আগে গত ১৩ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতাল ও এর চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। যার জন্য তিন সদস্যের একটি দলও গঠন করা হয়৷ কমিশনের উপ-পরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের অনুসন্ধান দলের অন্য সদস্যরা হলেন মো. নেয়ামুল হাসান গাজী ও শেখ মো. গোলাম মাওলা।

গত ৬ জুলাই নানা অনিয়ম, প্রতারণা, সরকারের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ, করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট ও সার্টিফিকেট দেওয়া এবং রোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে রিজেন্ট গ্রুপের দু’টি হাসপাতালে অভিযান চালান র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ অভিযানের নের্তৃত্ব দেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলম।

অভিযানে রিজেন্টের প্রতারণার সত্যতা মেলে। সেই সঙ্গে পাওয়া যায় গুরতর সব প্রতারণার তথ্য। পরদিন ৭ জুলাই রিজেন্ট গ্রুপের মূল কার্যালয় এবং হাসপাতালের রাজধানীর উত্তরা ও মিরপুরের দু’টি শাখা সিলগালা করে দেওয়া হয়। হাসপাতালটি প্রতারণা করে ১০ হাজারেরও বেশি করোনা পরীক্ষার ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়েছে।

অভিযানের সময় রিজেন্ট হাসপাতালের পরিচালক ও ব্যবস্থাপকসহ আটজনকে আটক করে র‌্যাব। পরদিন ৭ জুলাই করোনা পরীক্ষা না করেই সার্টিফিকেট প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করে র‌্যাব।মামলায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহেদ করিমকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এজাহারে।

এরপর থেকেই পলাতক ছিলেন শাহেদ। তারপরই তাকে খুঁজতে সারাদেশে তৎপরতা শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাকে গ্রেফতারে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় র‌্যাব। এরপর গত ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী লবঙ্গবতী নদীর তীর থেকে আটক করা হয় সাহেদকে।

বিজনেস আওয়ার/২০ জুলাই, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: