বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল হোসেন বলেছেন, অনেক দিন ধরে শেয়ারবাজারের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে বা আইপিও’তে ভালো কোনো কোম্পানি আসেনি। তবে আগামী মাসে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের আইপিও আসছে। বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর মধ্যে ওয়ালটন নিঃসন্দেহে খুবই ভালো একটি কোম্পানি। ওয়ালটনের তালিকাভুক্তি শেয়ারবাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীর আস্থা ফেরানোর ক্ষেত্রে খুবই ইতিবাচক।
রবিবার (১৯ জুলাই) শেয়ারবাজারে গভীরতা বৃদ্ধি, বিনিয়োগকারীর আস্থা ফেরানো, বাজার উন্নয়ন ও গতিশীল করার ক্ষেত্রে মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানির ভূমিকা প্রসঙ্গে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
আবুল হোসেন বলেন, অনেকদিন পর পুঁজিবাজারে ওয়ালটনের মতো একটি ভালো কোম্পানি আসছে। যা পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের জন্য খুবই ইতিবাচক হবে। পুঁজিবাজারের স্বার্থেই ওয়ালটনের তালিকাভুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওয়ালটনকে দেখে অন্যান্য ভালো কোম্পানিগুলোও এখন পুঁজিবাজারে আসতে আগ্রহী হবে। আইসিবির পক্ষ থেকে ওয়ালটনকে অভিনন্দন জানান তিনি।
আইসিবি’র এমডি বলেন, প্রতিষ্ঠান ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কথা বিবেচনা করে আইসিবি অ্যানালাইসিস করে। সেজন্য ওয়ালটনের বিডিংয়ে (নিলামে) আইসিবির প্রাইসিং কম ছিল। তাই যোগ্য বিনিয়োগকারী হিসেবে আইসিবি ওয়ালটনের শেয়ার পায়নি। তবে ওয়ালটন যে দরে পুঁজিবাজার আসছে তাতে বিনিয়োগকারীরা উপকৃত হবে।
আবুল হোসেন আরো বলেন, ক্যাপিটাল মার্কেটে কোনো একটি কোম্পানি আসলে তার পারফরমেন্স কেমন হবে তা তাৎক্ষণিক বোঝা যায় না। পারফরমেন্স বুঝতে সময় প্রয়োজন। তবে বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স খাতে ওয়ালটন যেভাবে ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছে, তাতে কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে শেয়ারবাজারেও ভালো করবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।
তার মতে, শেয়ারবাজারে আসার পর ওয়ালটন আরো এক্সপান্ড হবে। এতে কর্মসংস্থান বাড়বে। এসব কিছু বিবেচনায় ওয়ালটন শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
বিজনেস আওয়ার/২০ জুলাই, ২০২০/এস