রেজোয়ান আহমেদ : বাংলাদেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে সাধারন বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ ১৮.৫০ শতাংশ। তারপরেও এ অংশগ্রহন প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশী বিনিয়োগের থেকে বেশি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ি, ডিএসইর মোট বাজার মূলধনের (ফান্ড ব্যতিত) ৫৯.৫০ শতাংশ উদ্যোক্তা/পরিচালক ও সরকারের দখলে। এছাড়া ১৮.৫০ শতাংশ সাধারন বিনিয়োগকারী, ১৫.৬০ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও ৬.৪০ শতাংশ বিদেশীদের দখলে।
এদিকে ফ্রি ফ্লোট (উদ্যোক্তা/পরিচালক ও সরকার ব্যতিত) ভিত্তিতে বাজার মূলধনের ৪৫.৬০ শতাংশ সাধারন বিনিয়োগকারীদের দখলে। আর ৩৮.৫০ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও ১৫.৯০ শতাংশ বিদেশীদের দখলে রয়েছে।
ফ্রি ফ্লোট ভিত্তিতে বাজার মূলধনে সাধারন বিনিয়োগকারীদের ৪৫.৬০ শতাংশ দখলে থাকলেও লেনদেনে তাদের অংশগ্রহন আরও বেশি বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, বিদেশী ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের থেকে বেশি ঘন ঘন বেচা-কেনা করে সাধারন বিনিয়োগকারীরা। তারা অতিদ্রুত ক্যাপিটাল গেইন করতে গিয়ে এমনটি করে। যে কারনে লেনদেনে তাদের অংশগ্রহণ ৪৫.৬০ শতাংশেরও বেশি।
গত ১৮ জুলাই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, এই মুহুর্তে আমাদের শেয়ারবাজারে ৮০ শতাংশই ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী। যে কারনে হয়তো তাদের দিকেই একটু বেশি খেয়াল রাখা হয়। এখানে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহন কম।
দেশের শেয়ারবাজারে সাধারন বিনিয়োগকারীদের আচরনের পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আচরন নিয়েও অভিযোগ আছে। সাধারন বিনিয়োগকারীরা জ্ঞানের অভাবে ও লোভে ভূল পথে হাটে। কিন্তু জ্ঞানের সমাহার নিয়েও প্রাতিষ্ঠানিক এবং বিদেশী বিনিয়োগকারী সাধারন বিনিয়োগকারীদের মতো আচরন করে থাকে। তারাও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মতো বিনিয়োগের পরিবর্তে ট্রেডারের ভূমিকা পালন করে।
ওইদিন বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের ব্যাপারে পর্যবেক্ষন হচ্ছে, যারা দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে আসেন, তারা ভালো আছেন। তবে কেউ কেউ নিয়মিত লেনদেন করতে চাচ্ছেন। সার্ভেইল্যান্স রিপোর্টে দেখা গেছে, তারা বড় ধরনের টাকা বিভিন্ন পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগ করেন এবং শেয়ার দর বাড়িয়ে অল্প সময়ে বিক্রি করে টাকা বিদেশে নিয়ে যাচ্ছেন। এ কারনে আমাদের সার্ভেইল্যান্সের আগের রিপোর্টে সেকেন্ডারি মার্কেটে বিদেশীদের ভূমিকা ভালো আসছে না এবং এখনো তাই দেখতে পাচ্ছি। দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ হিসেবে তাদেরকে স্বাগত জানাই। এক্ষেত্রে আমরা সবধরনের সহযোগিতা করছি। কিন্তু ম্যানপুলেশনের ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থা কঠোর। যাতে সাধারন বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।
বিজনেস আওয়ার/২০ জুলাই, ২০২০/আরএ