বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : মোবাইল অপারেটরের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনে সবচেয়ে বেশি বাজার দখল করে রেখেছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্র্যাক ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান ‘বিকাশ’। তবে ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত এ কোম্পানিটি এখনো বড় লোকসান গুনে। যাতে করে ব্র্যাক ব্যাংকের সমন্বিত হিসাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
আয় বা টার্নওভার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে লোকসান কমে আসা স্বাভাবিক হলেও বিকাশের ক্ষেত্রে ঘটছে উটলো। এ কোম্পানিটির আয়ের সঙ্গে সঙ্গে লোকসান বাড়ছে। বরং এই লোকসান বৃদ্ধির হার আয়ের চেয়ে অনেক বেশি।
বিকাশের ২০২১ সালে টার্নওভার বেড়েছে ২২%। এর বিপরীতে কোম্পানিটির লোকসান বেড়েছে ৮৩%।
দেখা গেছে, বিকাশের আগের বছরে ২ হাজার ৬২৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার আয় হয়েছিল। যা ২০২১ সালে বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ১৯৬ কোটি ২৮ লাখ টাকার। এ হিসাবে আগের বছরের থেকে ২০২১ সালে আয় বেড়েছে ৫১৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকার বা ২২%।
আয়ে এমন উত্থানের পরেও ২০২১ সালে বিকাশের লোকসান হয়েছে ১২৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা। যার পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ৬৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। এ হিসাবে বছরের ব্যবধানে লোকসান বেড়েছে ৫৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকার বা ৮৩%।
এই কোম্পানিটির লোকসানের কারনে ব্র্যাক ব্যাংকের মুনাফায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। ব্যাংকটির আরও ৩টি সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান যে পরিমাণ মুনাফা করে, তার চেয়ে বেশি লোকসান করে বিকাশ। এরফলে ব্র্যাক ব্যাংকের এককভাবে অর্জিত ৫৫৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকার বা শেয়ারপ্রতি ৩.৯৮ টাকার মুনাফা সাবসিডিয়ারিসহ সমন্বিত হিসাবে কমে হয়েছে ৫৪৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা বা শেয়ারপ্রতি ৩.৯৩ টাকা।
ব্র্যাক ব্যাংকের বিকাশের পাশাপাশি সাবসিডিয়ারি কোম্পানি হিসেবে ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্টস, ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ ও ব্র্যাক সজন এক্সচেঞ্জ রয়েছে। এরমধ্যে বিকাশের ৫১% মালিকানা রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের। এছাড়া ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্টসে ৯৯.৯৫%, ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজে ৯০%, ব্র্যাক সজন এক্সচেঞ্জে ৭৫% মালিকানা রয়েছে। আর সহযোগি কোম্পানি ব্র্যাক আইটি সার্ভিসেসে ১২.৯২% মালিকানা রয়েছে।
সাবসিডিয়ারি কোম্পানিগুলোর মধ্যে ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজের আগের বছরের ১৬ কোটি ১৩ লাখ টাকার নিট মুনাফা ২০২১ সালে বেড়ে হয়েছে ২৫ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। আর ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্টের ৪ কোটি ৪২ লাখ টাকার মুনাফা বেড়ে হয়েছে ২৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা। তবে ওয়েবসাইটে ব্র্যাক সজনের আর্থিক হিসাব প্রকাশ না করায় মুনাফার তথ্য পাওয়া যায়নি।
বিজনেস আওয়ার/০৩ এপ্রিল, ২০২২/আরএ
লোকসান দিয়ে চালানোর দরকার টা কি বন্ধ করে দিক