বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বাংলাদেশি ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য জায়ান্ট ওয়ালটনের কারখানা পরিদর্শনে করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
রবিবার (৩ এপ্রিল) গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শনে আসেন এই দুই প্রতিমন্ত্রী।
তারা ওয়ালটন কারখানায় সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট উদ্বোধন করবেন। পাশাপাশি গ্রিন এনার্জি ম্যানেজমেন্ট নিয়ে ওয়ালটনের গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম দেখবেন। তারা ওয়ালটন কারখানায় তৈরি নতুন মডেলের প্রিন্টারেরও উদ্বোধন করবেন।
দুপুরে কারখানা কমপ্লেক্সে পৌঁছালে অতিথিদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুর্শেদ।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কালিয়াকৈরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম জামাল হোসেন, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হুমায়ূন কবীর ও আলমগীর আলম সরকার, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর লিয়াকত আলী ভুঁইয়া, ওয়ালটনের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক কর্নেল (অব.) শাহাদাত আলম, তাপস কুমার মজুমদার, ইউসুফ আলী, মোহসিন সরদার ও ইয়াসির আল ইমরান, নির্বাহী পরিচালক আজিজুল হাকিম, জিনাত হাকিম, শাহজাদা সেলিম, জাহিদ আলম, শাহজালাল হোসেন লিমন, মহসিন আলী মোল্লা প্রমুখ।
কারখানা প্রাঙ্গণে পৌঁছে অতিথিরা প্রথমে ওয়ালটনের বিশাল কর্মযজ্ঞের ওপর নির্মিত ভিডিও ডকুমেন্টারি উপভোগ করেন। এরপর তারা ওয়ালটনের সুসজ্জিত প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টার ঘুরে দেখেন। পরে তারা ওয়ালটনের বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়া সরেজমিনে পর্যবেক্ষণে যান।
অতিথিরা ওয়ালটনের রেফ্রিজটারেটর, এয়ার কন্ডিশনার, কম্প্রেসর, এলইডি টেলিভিশন, কম্পিউটার-ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, হোম অ্যাপ্লায়েন্সসহ বিভিন্ন উৎপাদন প্রক্রিয়া ঘুরে দেখবেন।
উল্লেখ্য, বিশ্বমানের প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনে ওয়ালটন একটি প্রশংসিত নাম। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে সুবিশাল এলাকাজুড়ে স্থাপন করা হয়েছে ওয়ালটনের বিশ্বমানের কারখানা। এখানে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, হোম ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্স, লিফটসহ বিভিন্ন উচ্চমানের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পণ্য তৈরি হচ্ছে।
উৎপাদনের পাশাপাশি বিভিন্ন পণ্যের গবেষণা ও উদ্ভাবন, মান নিয়ন্ত্রণ, আন্তর্জাতিক ব্যবসা ইউনিটসহ বিভিন্ন বিভাগ গড়ে তুলেছে ওয়ালটন।
‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ লেখা বুকে নিয়ে ওয়ালটনের তৈরি আন্তর্জাতিক মানের পণ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। বাংলাদেশি পণ্য দিয়ে এবার বিশ্বজয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে ওয়ালটন। এজন্য তারা নির্ধারণ করেছে ‘ভিশন গো গ্লোবাল-২০৩০’। অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ব্র্যান্ডে পরিণত হতে ব্যাপকভাবে কাজ করছে ওয়ালটন।
বিজনেস আওয়ার/০৩ এপ্রিল, ২০২২/কমা