ঢাকা , শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিদায়ী সপ্তাহে পৌনে সাত হাজার কোটি টাকা কমেছে বাজার মূলধন

  • পোস্ট হয়েছে : ০১:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ এপ্রিল ২০২২
  • 56

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস কিছুটা উত্থান হলেও বাকি চার কার্যদিবসই সূচক কমেছে শেয়ারবাজারে। এর মাধ্যমে বড় পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। সপ্তাহটিতে শেয়ারবাজারের সব সূচকই কমেছে। একই সাথে অধিকাংশ সিকিউরিটিজের দর এবং টাকার পরিমাণে লেনদেনও কমেছে। আর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন সপ্তাহের ব্যবধানে পৌনে সাত হাজার কোটি টাকা কমেছে।

জানা গেছে, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৩৯ হাজার ৪১৫ কোটি ৪৮ লাখ ০৪ হাজার ৩০৫ টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ৩২ হাজার ৫৩৯ কোটি ৭২ লাখ ৪৯ হাজার ১৪২ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা ছয় হাজার ৮৭৫ কোটি ৭৫ লাখ ৫৫ হাজার ১৬৩ টাকা কমেছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তিন হাজার ৩৯ কোটি ২৭ লাখ ৪৯ হাজার ৫৭১ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল চার হাজার ৬৮৩ কোটি ৩৪ লাখ ৮৫ হাজার ১০২ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন এক হাজার ৬৪৪ কোটি ০৭ লাখ ৩৫ হাজার ৫৫১ টাকা বা ৩৫ শতাংশ কমেছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১৬.৬০ পয়েন্ট বা ১.৭৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৬৪১.২৩ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৪.৫১ পয়েন্ট বা ০.৯১৯৯ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২২.৪১ পয়েন্ট বা ০.৯১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৪৫৩.৬০ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৪৫১.৫৯ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৮৫টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৫১টির বা ১৩.২৫ শতাংশের, কমেছে ৩২৪টির বা ৮৪.১৫ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১০টির বা ২.৬০ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৮৬ কোটি ৬৫ লাখ ৩৮ হাজার ৬২৯ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২২১ কোটি ২০ লাখ ৯৭ হাজার ৩৫০ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ১৩৫ কোটি ৫৫ লাখ ৫৮ হাজার ৭২১ টাকা বা ৬০ শতাংশ কমেছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৪৭.০৮ পয়েন্ট বা ১.২৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৫০১.৭৪ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ১৪৭.২৯ পয়েন্ট বা ১.২৪ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ২৮.৩১ পয়েন্ট বা ০.২০ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ৮.৮৩ পয়েন্ট বা ০.৬৩ শতাংশ এবং সিএসআই ১১.০৩ পয়েন্ট বা ০.৮৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১ হাজার ৭০০.৩১ পয়েন্টে, ১৪ হাজার ৭৪.৪৫ পয়েন্টে, এক হাজার ৪৪৭.৬৫ পয়েন্টে এবং এক হাজার ২৩৪.৩৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩৪৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৭৬টির বা ২১.৯০ শতাংশের দর বেড়েছে, ২৫৬টির বা ৭৩.৭৮ শতাংশের কমেছে এবং ১৫টির বা ৪.৪২ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/০৯ এপ্রিল, ২০২২/পিএস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

সর্বাধিক পঠিত

বিদায়ী সপ্তাহে পৌনে সাত হাজার কোটি টাকা কমেছে বাজার মূলধন

পোস্ট হয়েছে : ০১:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ এপ্রিল ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস কিছুটা উত্থান হলেও বাকি চার কার্যদিবসই সূচক কমেছে শেয়ারবাজারে। এর মাধ্যমে বড় পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। সপ্তাহটিতে শেয়ারবাজারের সব সূচকই কমেছে। একই সাথে অধিকাংশ সিকিউরিটিজের দর এবং টাকার পরিমাণে লেনদেনও কমেছে। আর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন সপ্তাহের ব্যবধানে পৌনে সাত হাজার কোটি টাকা কমেছে।

জানা গেছে, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৩৯ হাজার ৪১৫ কোটি ৪৮ লাখ ০৪ হাজার ৩০৫ টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ৩২ হাজার ৫৩৯ কোটি ৭২ লাখ ৪৯ হাজার ১৪২ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা ছয় হাজার ৮৭৫ কোটি ৭৫ লাখ ৫৫ হাজার ১৬৩ টাকা কমেছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তিন হাজার ৩৯ কোটি ২৭ লাখ ৪৯ হাজার ৫৭১ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল চার হাজার ৬৮৩ কোটি ৩৪ লাখ ৮৫ হাজার ১০২ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন এক হাজার ৬৪৪ কোটি ০৭ লাখ ৩৫ হাজার ৫৫১ টাকা বা ৩৫ শতাংশ কমেছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১৬.৬০ পয়েন্ট বা ১.৭৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৬৪১.২৩ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৪.৫১ পয়েন্ট বা ০.৯১৯৯ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২২.৪১ পয়েন্ট বা ০.৯১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৪৫৩.৬০ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৪৫১.৫৯ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৮৫টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৫১টির বা ১৩.২৫ শতাংশের, কমেছে ৩২৪টির বা ৮৪.১৫ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১০টির বা ২.৬০ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৮৬ কোটি ৬৫ লাখ ৩৮ হাজার ৬২৯ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২২১ কোটি ২০ লাখ ৯৭ হাজার ৩৫০ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ১৩৫ কোটি ৫৫ লাখ ৫৮ হাজার ৭২১ টাকা বা ৬০ শতাংশ কমেছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৪৭.০৮ পয়েন্ট বা ১.২৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৫০১.৭৪ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ১৪৭.২৯ পয়েন্ট বা ১.২৪ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ২৮.৩১ পয়েন্ট বা ০.২০ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ৮.৮৩ পয়েন্ট বা ০.৬৩ শতাংশ এবং সিএসআই ১১.০৩ পয়েন্ট বা ০.৮৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১ হাজার ৭০০.৩১ পয়েন্টে, ১৪ হাজার ৭৪.৪৫ পয়েন্টে, এক হাজার ৪৪৭.৬৫ পয়েন্টে এবং এক হাজার ২৩৪.৩৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩৪৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৭৬টির বা ২১.৯০ শতাংশের দর বেড়েছে, ২৫৬টির বা ৭৩.৭৮ শতাংশের কমেছে এবং ১৫টির বা ৪.৪২ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/০৯ এপ্রিল, ২০২২/পিএস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: