ঢাকা , সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হেরে গেলেন ইমরান খান

  • পোস্ট হয়েছে : ০৯:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ এপ্রিল ২০২২
  • 28

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বিরোধী দলগুলোর আনা অনাস্থা ভোটে হেরে গেলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। অ্যাসেম্বলিতে ৩৪২টি ভোটের মধ্যে ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থার ভোট পড়েছে ১৭৪ টি। অর্থাৎ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট বিপক্ষে পড়ায় আর প্রধানমন্ত্রী থাকছেন না ইমরান খান।

৩ এপ্রিল পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব আনে। তবে সংবিধানের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদের উল্লেখ করে ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি জানিয়ে দেন, বিরোধীদের আনা প্রস্তাব আসলে ‘বিদেশি চক্রান্ত’। ডেপুটি স্পিকারের এই পদক্ষেপের পরপর ইমরান খানের পরামর্শে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেন। ডেপুটি স্পিকারের দেওয়া ওই আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন বিরোধীরা। টানা চার দিন চরম নাটকীয়তার পর বৃহস্পতিবার ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব বাতিল ও পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের অধিবেশন শুরু হয়। কিছুক্ষণ পর স্পিকার আসাদ কায়সার অধিবেশন মূলতবির সিদ্ধান্ত নেন। বেলা ২টা ৩০ মিনিটে অধিবেশন পুনরায় শুরু হয়। পরে জানানো হয়, ইফতারের বিরতির পর রাত ৮টার দিকে অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হবে। তবে মধ্যরাতেও সেই অধিবেশন শুরু হয়নি।

ইমরান খানের অনুগত হিসেবে পরিচিত স্পিকার আসাদ কায়সার ও ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি অনাস্থা প্রস্তাবের ভোট থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখতে রাতেই পদত্যাগ করেন। পদত্যাগের আগে অধিবেশনের সভাপতিত্বের দায়িত্ব পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এর এমপি আয়াজ সাদিকের কাছে ন্যাস্ত করেন আসাদ কায়সার।

বিজনেস আওয়ার/১০ এপ্রিল, ২০২২/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

হেরে গেলেন ইমরান খান

পোস্ট হয়েছে : ০৯:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ এপ্রিল ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বিরোধী দলগুলোর আনা অনাস্থা ভোটে হেরে গেলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। অ্যাসেম্বলিতে ৩৪২টি ভোটের মধ্যে ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থার ভোট পড়েছে ১৭৪ টি। অর্থাৎ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট বিপক্ষে পড়ায় আর প্রধানমন্ত্রী থাকছেন না ইমরান খান।

৩ এপ্রিল পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব আনে। তবে সংবিধানের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদের উল্লেখ করে ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি জানিয়ে দেন, বিরোধীদের আনা প্রস্তাব আসলে ‘বিদেশি চক্রান্ত’। ডেপুটি স্পিকারের এই পদক্ষেপের পরপর ইমরান খানের পরামর্শে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেন। ডেপুটি স্পিকারের দেওয়া ওই আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন বিরোধীরা। টানা চার দিন চরম নাটকীয়তার পর বৃহস্পতিবার ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব বাতিল ও পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের অধিবেশন শুরু হয়। কিছুক্ষণ পর স্পিকার আসাদ কায়সার অধিবেশন মূলতবির সিদ্ধান্ত নেন। বেলা ২টা ৩০ মিনিটে অধিবেশন পুনরায় শুরু হয়। পরে জানানো হয়, ইফতারের বিরতির পর রাত ৮টার দিকে অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হবে। তবে মধ্যরাতেও সেই অধিবেশন শুরু হয়নি।

ইমরান খানের অনুগত হিসেবে পরিচিত স্পিকার আসাদ কায়সার ও ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি অনাস্থা প্রস্তাবের ভোট থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখতে রাতেই পদত্যাগ করেন। পদত্যাগের আগে অধিবেশনের সভাপতিত্বের দায়িত্ব পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এর এমপি আয়াজ সাদিকের কাছে ন্যাস্ত করেন আসাদ কায়সার।

বিজনেস আওয়ার/১০ এপ্রিল, ২০২২/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: