আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের দ্বিতীয় ধাপেও সফল হয়েছে চীনা প্রতিষ্ঠান ক্যানসিনো বায়োলজিকস-এর করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন। দ্বিতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের শরীরে শরীরে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগে আশাব্যঞ্জক ফলাফল পাওয়া গেছে দাবি করে চিকিৎসা বিষয়ক জার্নাল ল্যানসেটে এক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।
এর আগে ১৮-৬০ বছর বয়েসী ১০৮ জনের শরীরে প্রয়োগ করে ভ্যাকসিনটির প্রথম ধাপের ট্রায়াল চলে। প্রথম ধাপের ট্রায়ালের ফলাফল গত মে মাসে প্রকাশ হয়। দ্বিতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ইতিবাচক ফলাফলে অনেকটাই আশার সঞ্চার হয়েছে। বর্তমানে ভ্যাকসিনটির তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল চলছে।
দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়ালের জন্য ৫০৮ জনের শরীরে অ্যাডেনোভাইরাস টাইপ ৫ ভেক্টরড কোভিড-১৯ (অ্যাড ৫-এনসিওভি) ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করা হয়। দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়ালে অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবকদের গড় বয়স ছিলো ৩৯.৭ বছর। ট্রায়ালে অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবকদের প্রায় ৭৫ শতাংশের বয়স ১৮-৪৪ বছরের মধ্যে। ২৬ শতাংশ স্বেচ্ছাসেবকের বয়স ৪৫-৫৪, এছাড়া ৫৫ বছরের বেশি বয়সী ছিলেন ১৩ শতাংশ।
এসব স্বেচ্ছাসেবকদের কেউই এর আগে সার্স (সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) ও এইডসে আক্রান্ত হোননি।
ল্যানসেটের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বেচ্ছাসেবকদের অর্ধেকের শরীরে ভ্যাকসিনটির দু’টি ডোজ প্রয়োগ করা হয় (1 × 1011 viral particles, n = 253; 5 × 1010 viral particles, n = 129)। ২৫৩ জনের শরীরের প্রয়োগ করা ভ্যাকসিনটির উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ডোজ এবং ১২৯ জনের শরীরের প্রয়োগ করা হয় অপেক্ষাকৃত নিম্ন ক্ষমতাসম্পন্ন ডোজ।
এছাড়া বাকি ১২৬ জনের শরীরের দেওয়া হয় কার্যকারিতাহীন প্রতিলিপি বা প্লাসিবো। ল্যানসেটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ভ্যাকসিনের উভয় ডোজ শরীরের উল্লেখযোগ্যভাবে অ্যান্টিবডি উৎপন্ন করেছে।
গত বছরের শেষ নাগাদ চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাবিশ্বে এ পর্যন্ত ৬ লাখের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। এ ভাইরাসের নিশ্চিত কোনো ভ্যাকসিন এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি। তবে ২৩টি ভ্যাকসিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্যায়ে রয়েছে।
বিজনেস আওয়ার/২২ জুলাই, ২০২০/এ