ঢাকা , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে ঘরমুখো মানুষের ঢল

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ মে ২০২০
  • 112

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : প্রিয়জনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করা এ এদেশের মানুষের পুরোনো ঐতিহ্য। তবে এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। সরকারি নির্দেশমতে, কর্মস্থলেই ঈদ করতে বলা হয়েছে। তবে ব্যক্তিগত গাড়িতে যাতায়াতের অনুমতি রয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়া ও করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই ঈদ করতে বাড়ি ফিরছে হাজার হাজার মানুষ।

এ সময় সামাজিক দূরত্ব মানতে দেখা যায়নি যাত্রীদের। দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ থাকলেও ভেঙে ভেঙে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন মানুষ। এতে করোনা সংক্রমণ আরো বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।শনিবার সকাল থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে ঘরমুখো হাজারো যাত্রীর উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে যাত্রী ও ব্যক্তিগত যানবাহনের চাপ আরো বেড়েছে।

এদিকে, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ঢাকাগামী যানবাহন ও যাত্রীর চাপ না থাকায় দৌলতদিয়া ঘাট থেকে পাটুরিয়ার উদ্দেশে খালি ফেরিগুলো ছেড়ে যাচ্ছে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকলেও ফেরিযোগে নদী পার হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা।

জানা যায়, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঘাটে এসে বিপাকে পড়ছেন যাত্রীরা। কেউ হেঁটে আবার কেউ ছোট যানবাহনে করে নিজ নিজ গন্তব্যে ছুটছেন। ঢাকা থেকে সড়কপথে ফেরিঘাটে এসে ফেরিতে পদ্মা নদী পার হচ্ছেন যাত্রীরা। এসব যাত্রীরা কয়েকগুণ বাড়তি ভাড়া দিয়ে মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, ভ্যান, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে গন্তব্য যাচ্ছেন।

তারা বলেন, সরকার আসার অনুমতি দিলো কিন্তু গণপরিবহন চালু করলো না। ফেরিতে যে গাদাগাদি করে যাত্রীরা পার হচ্ছে বাসে কিন্তু অতটা গাদাগাদি হয় না। সীমিত আকারে হলেও গণপরিবহন চালুর অনুরোধ জানান তারা।

বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ রুটে বর্তমান ৯টি ছোটবড় ফেরি চলাচল করছে। এতে পণ্যবাহী ট্রাক, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, অ্যাম্বুলেন্স, মোটরসাইকেলসহ হাজার হাজার যাত্রী পার হচ্ছে। লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা ফেরিতে সাধারণ যাত্রীর চাপ বেশি।

বিজনেস আওয়ার/২৩ মে, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে ঘরমুখো মানুষের ঢল

পোস্ট হয়েছে : ০৪:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ মে ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : প্রিয়জনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করা এ এদেশের মানুষের পুরোনো ঐতিহ্য। তবে এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। সরকারি নির্দেশমতে, কর্মস্থলেই ঈদ করতে বলা হয়েছে। তবে ব্যক্তিগত গাড়িতে যাতায়াতের অনুমতি রয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়া ও করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই ঈদ করতে বাড়ি ফিরছে হাজার হাজার মানুষ।

এ সময় সামাজিক দূরত্ব মানতে দেখা যায়নি যাত্রীদের। দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ থাকলেও ভেঙে ভেঙে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন মানুষ। এতে করোনা সংক্রমণ আরো বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।শনিবার সকাল থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে ঘরমুখো হাজারো যাত্রীর উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে যাত্রী ও ব্যক্তিগত যানবাহনের চাপ আরো বেড়েছে।

এদিকে, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ঢাকাগামী যানবাহন ও যাত্রীর চাপ না থাকায় দৌলতদিয়া ঘাট থেকে পাটুরিয়ার উদ্দেশে খালি ফেরিগুলো ছেড়ে যাচ্ছে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকলেও ফেরিযোগে নদী পার হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা।

জানা যায়, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঘাটে এসে বিপাকে পড়ছেন যাত্রীরা। কেউ হেঁটে আবার কেউ ছোট যানবাহনে করে নিজ নিজ গন্তব্যে ছুটছেন। ঢাকা থেকে সড়কপথে ফেরিঘাটে এসে ফেরিতে পদ্মা নদী পার হচ্ছেন যাত্রীরা। এসব যাত্রীরা কয়েকগুণ বাড়তি ভাড়া দিয়ে মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, ভ্যান, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে গন্তব্য যাচ্ছেন।

তারা বলেন, সরকার আসার অনুমতি দিলো কিন্তু গণপরিবহন চালু করলো না। ফেরিতে যে গাদাগাদি করে যাত্রীরা পার হচ্ছে বাসে কিন্তু অতটা গাদাগাদি হয় না। সীমিত আকারে হলেও গণপরিবহন চালুর অনুরোধ জানান তারা।

বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ রুটে বর্তমান ৯টি ছোটবড় ফেরি চলাচল করছে। এতে পণ্যবাহী ট্রাক, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, অ্যাম্বুলেন্স, মোটরসাইকেলসহ হাজার হাজার যাত্রী পার হচ্ছে। লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা ফেরিতে সাধারণ যাত্রীর চাপ বেশি।

বিজনেস আওয়ার/২৩ মে, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: