বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ২০২১ সালের ব্যবসায় আগের বছরের থেকে নিট মুনাফা বেশি হয়েছে। তবে লভ্যাংশের পরিমাণ অপরিবর্তিত রয়েছে। যাতে করে বোনাস শেয়ারসহ মুনাফার ৩০% এর চেয়েও কম লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে ব্যাংকটিকে ২৩ কোটি টাকার অতিরিক্ত আয়কর প্রদানের শাস্তির আওতায় পড়তে হচ্ছে।
ব্যাংকটির ২০২০ সালে শেয়ারপ্রতি ২.৯৩ টাকা করে নিট মুনাফা হয়েছিল ২৭৮ কোটি টাকা। যা ২০২১ সালে শেয়ারপ্রতি ৩.৩৬ টাকা করে বেড়ে হয়েছে ৩৩৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে ৫৬ কোটি ৭২ লাখ টাকার বা ২০% মুনাফা বাড়লেও লভ্যাংশে কোন উন্নতি হয়নি।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের ২০২১ সালের ব্যবসায় অর্জিত ৩৩৪ কোটি ৭২ লাখ টাকার নিট মুনাফার মধ্যে থেকে ৫% নগদ লভ্যাংশ হিসেবে ৪৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা বা মুনাফার ১৪.৮৮% শেয়ারহোল্ডারদের মাঝে বিতরন করা হবে। বাকি ২৮৪ কোটি ৯১ লাখ টাকার মধ্য থেকে বোনাস শেয়ার হিসাবে ৪৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা বা ১৪.৮৮% দিয়ে পরিশোধিত মূলধন বাড়ানো হবে। বাকি ২৩৫ কোটি ১০ লাখ টাকা বা ৭০.২৪% রিটেইন আর্নিংস রাখা হবে।
অথচ ২০১৯-২০ অর্থবছরের আয়কর পরিপত্র অনুযায়ি, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে মুনাফার কমপক্ষে ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ আকারে শেয়ারহোল্ডারদেরকে দিতে হবে। যদি ৩০ শতাংশের কম দেওয়া হয়, তাহলে রিটেইন আর্নিংসে স্থানান্তর করা পুরো অংশ বা কোম্পানিতে রেখে দেওয়া পুরোটার উপরে ১০ শতাংশ হারে কর আরোপ করা হবে।

এ হিসাবে ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকটিকে অতিরিক্ত আয়করের শাস্তির কবলে পড়তে হবে। এই ব্যাংকটির পর্ষদ ৩০% এর কম লভ্যাংশ ঘোষণা করায় রিজার্ভে রাখতে চাওয়া ২৩৫ কোটি ১০ লাখ টাকার উপরে ১০% হারে ২৩ কোটি ৫১ লাখ টাকার অতিরিক্ত কর দিতে হবে।
উল্লেখ্য ২০০৮ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের বর্তমানে ৯৯৬ কোটি ২০ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধন রয়েছে। বুধবার (২০ এপ্রিল) ব্যাংকটির শেয়ার দর দাড়িঁয়েছে ১১.৪০ টাকায়।
বিজনেস আওয়ার/২১ এপ্রিল, ২০২২/আরএ