বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদকঃ অধিনায়ক হিসেবে টেস্টে মোটেও ভালো সময় কাটছে না মুমিনুল হকের। অধিনায়ক হিসেবে ১৭ ম্যাচে মুমিনুলের রান ৯১২। ব্যাটিং গড় ৩১.৪৪। পেয়েছেন ৩ সেঞ্চুরি। অধিনায়কত্বের আগে ৩৬ টেস্টে ৪১.৪৭ গড়ে রান করেছেন ২৬১৩। সেঞ্চুরি ছিল ৮টি। শেষ ১০ ইনিংসে তার রান মাত্র ৭৪। ৮ ইনিংসেই দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। তিনটিতেই ডাক মেরেছেন ।
সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞায় দেশের ক্রিকেটে একতা প্রলয়ঙ্কারী ঝড় হয়েছিল । ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গোপন করায় আইসিসি তাকে এক বছর সব ধরণের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করে। টেস্ট ক্রিকেটের নেতৃত্ব তখন তার কাঁধে। এ ফরম্যাটে তখন নিয়মিত খেলছেন কেবল মুমিনুল হক। যার নামের পাশে ‘টেস্ট স্পেশালিস্টের’ খেতাবও যুক্ত হয়ে যায়।
বিসিবি তখন তাকেই সাদা পোশাকে অধিনায়ক হিসেবে বেছে নেন। সাদা পোশাকে অধিনায়ক হিসেবে মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না মুমিনুল হক। আর সেটা নিজের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল অকপটে বলেছিলেন, ‘সত্যি কথা বলতে কি আমি অধিনায়কত্ব করবো, সেজন্য মোটেও প্রস্তুতই ছিলাম না। কখনো ভাবিওনি বাংলাদেশের অধিনায়ক হবো।’
অপ্রস্তুত সেই অধিনায়কের জন্য এখন অধিনায়কত্ব গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুই বছরের ব্যবধানে মুমিনুল এখন ‘খলনায়ক’। দলকে ঠিকঠাক মতো পরিচালনা করতে পারছেন না। তার ব্যাটেও রান খরা। দ্বিমুখী চাপে প্রবলচাপে পিষ্ট মুমিনুল।
ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস যেমন আজ বললেন, ‘অধিনায়কত্ব বাড়তি একটা চাপ অবশ্যই। ব্যাটিংয়েও এর একটা প্রভাব পড়তে পারে। হয়তো সে সিদ্ধান্ত নেবে কোনটা হলে ওর ভালো হয়।’
শ্রীলঙ্কা সিরিজ শেষে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মুমিনুল হক। তার অধিনায়কত্বের ভবিষ্যৎ নিয়ে সামনেও আলোচনায় বসার কথা রয়েছে। তবে বিসিবি নিজেদের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে বলেই জানা গেছে।
ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে জানা গেছে, বিসিবির একাধিক পরিচালক মুমিনুলকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে সাকিবকে পুনরায় অধিনায়ক করার কথা বলেছেন। বিসিবি সভাপতিও তাতে সম্মতি দিয়েছেন। এ নিয়ে সাকিবের সঙ্গে বোর্ড প্রধান মৌখিক আলোচনাও করেছেন। তবে সাকিবের উত্তর পাওয়া যায়নি এখনও।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে মুমিনুলকে অধিনায়ক করে দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। যে সিরিজে সাকিবও থাকবেন। এই সিরিজ দিয়েই মুমিনুলের অধিনায়কত্ব শেষ হতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে মুমিনুল অধিনায়কত্ব করতে না চাইলে এই সফরেই সাকিবের কাঁধে দায়িত্ব যাবে। ২ জুন রয়েছে বিসিবির বোর্ড সভা। এ সভাতেই টেস্ট অধিনায়কত্বের সিদ্ধান্ত চলে আসবে।
বিজনেস আওয়ার/ ৩০ মে, ২০২২/ এস এইচ