ঢাকা , রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাড়ি দখল-চাঁদাবাজির মামলা না নেওয়ার অভিযোগ ভাটারা থানার বিরুদ্ধে

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জুন ২০২২
  • 54

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : জমি দখল, চাঁদবাজি এবং হত্যার হুমকির মামলা না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজধানীর ভাটারা থানার বিরুদ্ধে। মোঃ ইকবাল হোসেন নামের একজন ভুক্তভোগী এ অভিযোগটি করেছেন।অভিযোগটি এসেছে রাজধানীর ভাটারা থানা ছাত্রলীগ সভাপতি পলাশ মোল্লা অর্কের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী মো: ইকবাল বলেন, আমি আল-আমিন নামে একজনের কাছ থেকে ভাটারা থানাধীন সূতিভোলা মৌজার সি এস ২৮৮ নং ও ১৫১৬ নং সিটি দাগের ৩ কাঠা জমি ২০০৯ সালে ক্রয় করি। এরপর এই জমিতে দুইটি ছাদ দিয়ে একটি পাকা বাড়ি নির্মাণ করে পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে ভোগ দখলে আছি। আমার কেয়ার টেকার আব্দুল কাদের এই ভবনের পানি ও বিদ্যুৎ বিল আমার নামে পরিশোধ করে আসছেন।

কিন্তু ২০২২ সালের ১৫ মে রাত ১টার দিকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হাজী আবু সাঈদের হুকুমে ভাটারা থানা ছাত্রলীগ সভাপতি পলাশ মোল্লা অর্কের নেতৃত্বে ১৩-১৪ জনের সংঘবদ্ধ দল আমার বাসায় এসে বাসার সিসি টিভি ক্যামেরা ভেঙে ফেলেন। কেয়ার টেকার আব্দুল কাদিরকে মারধর করেন এবং তাকে বাসা থেকে বের করে দিয়ে দরজায় ৪টি তালা লাগিয়ে চলে যান। এছাড়াও তারা আমার কেয়ার টেকার আব্দুল কাদিরের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।

পলাশ মোল্লা অর্কের নেতৃত্বে আরো যারা ছিলেন তারা হলেন-আলমগীর, মজিবুর, নাজিম, রেজাউল করিম, তাজমুল, বাদল, জাকির মুহুরি, মো: বিল্লাল, রবিন শামীন, হাবিবুর রহমান, সামসু এবং ইউসুফ। এছাড়াও আরো অজ্ঞাত ২০ থেকে ৩০ জন তাদের সঙ্গে ছিলেন।

খবর পেয়ে আমি সকালে ঘটনাস্থলে গেলে তারা আমার কাছেও ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। আমি চাঁদা দিতে রাজি না হলে পলাশ মোল্লা অর্কের নেতৃত্বে আমার বাড়ি ভাংচুর করা হয় এবং আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।

ঘটনার পর আমি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে আমার আত্মীয়স্বজনের সাথে আলোচনা করে রাজধানীর ভাটার থানায় অভিযোগ করতে গেলে থানা আমার অভিযোগ গ্রহণ করেনি।

বিষয়টি জানতে ভাটারা থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল হকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। ওসি স্যার বিষয়টি দেখছেন।

অভিযোগ না নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ভাটারা থানার ওসি সাজেদুর রহমান বিজনেস আওয়ার ২৪ ডট কমকে বলেন, বিষয়টা আসলে এরকম নয়। অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। তবে সেটা তদন্তের পর্যায়ে আছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

তবে এ প্রসঙ্গে ভাটারা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি পলাশ মোল্লা অর্ক নিজে প্রতিবেদকের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে একান্তে দেখা করে কথা বলতে চান। প্রতিবেদক এতে রাজি না হলে এ বিষয়ে তার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে করা হয়েছে আমি এ ঘটনার সাথে জড়িত নই। বরং বাদীর বিরুদ্ধে তিনি জোড় করে বাড়ি দখলের দাবি করেন। তিনি বলেন, বাদী ইকবালের নামে কোন জমির দলিল নাই। তিনি জোড় পূর্বক বাড়িটি দখল করে আছেন।

এ বিষয়ে চলমান মামলা রয়েছে সুতরাং আদালতের ব্যাপার ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে আপনি কেন জড়িত হলেন জানতে চাইলে তিনি এর কোন সদুত্তর দেননি।

বিজনেস আওয়ার/০২ জুন, ২০২২/এসএইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

বাড়ি দখল-চাঁদাবাজির মামলা না নেওয়ার অভিযোগ ভাটারা থানার বিরুদ্ধে

পোস্ট হয়েছে : ০৪:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জুন ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : জমি দখল, চাঁদবাজি এবং হত্যার হুমকির মামলা না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজধানীর ভাটারা থানার বিরুদ্ধে। মোঃ ইকবাল হোসেন নামের একজন ভুক্তভোগী এ অভিযোগটি করেছেন।অভিযোগটি এসেছে রাজধানীর ভাটারা থানা ছাত্রলীগ সভাপতি পলাশ মোল্লা অর্কের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী মো: ইকবাল বলেন, আমি আল-আমিন নামে একজনের কাছ থেকে ভাটারা থানাধীন সূতিভোলা মৌজার সি এস ২৮৮ নং ও ১৫১৬ নং সিটি দাগের ৩ কাঠা জমি ২০০৯ সালে ক্রয় করি। এরপর এই জমিতে দুইটি ছাদ দিয়ে একটি পাকা বাড়ি নির্মাণ করে পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে ভোগ দখলে আছি। আমার কেয়ার টেকার আব্দুল কাদের এই ভবনের পানি ও বিদ্যুৎ বিল আমার নামে পরিশোধ করে আসছেন।

কিন্তু ২০২২ সালের ১৫ মে রাত ১টার দিকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হাজী আবু সাঈদের হুকুমে ভাটারা থানা ছাত্রলীগ সভাপতি পলাশ মোল্লা অর্কের নেতৃত্বে ১৩-১৪ জনের সংঘবদ্ধ দল আমার বাসায় এসে বাসার সিসি টিভি ক্যামেরা ভেঙে ফেলেন। কেয়ার টেকার আব্দুল কাদিরকে মারধর করেন এবং তাকে বাসা থেকে বের করে দিয়ে দরজায় ৪টি তালা লাগিয়ে চলে যান। এছাড়াও তারা আমার কেয়ার টেকার আব্দুল কাদিরের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।

পলাশ মোল্লা অর্কের নেতৃত্বে আরো যারা ছিলেন তারা হলেন-আলমগীর, মজিবুর, নাজিম, রেজাউল করিম, তাজমুল, বাদল, জাকির মুহুরি, মো: বিল্লাল, রবিন শামীন, হাবিবুর রহমান, সামসু এবং ইউসুফ। এছাড়াও আরো অজ্ঞাত ২০ থেকে ৩০ জন তাদের সঙ্গে ছিলেন।

খবর পেয়ে আমি সকালে ঘটনাস্থলে গেলে তারা আমার কাছেও ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। আমি চাঁদা দিতে রাজি না হলে পলাশ মোল্লা অর্কের নেতৃত্বে আমার বাড়ি ভাংচুর করা হয় এবং আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।

ঘটনার পর আমি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে আমার আত্মীয়স্বজনের সাথে আলোচনা করে রাজধানীর ভাটার থানায় অভিযোগ করতে গেলে থানা আমার অভিযোগ গ্রহণ করেনি।

বিষয়টি জানতে ভাটারা থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল হকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। ওসি স্যার বিষয়টি দেখছেন।

অভিযোগ না নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ভাটারা থানার ওসি সাজেদুর রহমান বিজনেস আওয়ার ২৪ ডট কমকে বলেন, বিষয়টা আসলে এরকম নয়। অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। তবে সেটা তদন্তের পর্যায়ে আছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

তবে এ প্রসঙ্গে ভাটারা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি পলাশ মোল্লা অর্ক নিজে প্রতিবেদকের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে একান্তে দেখা করে কথা বলতে চান। প্রতিবেদক এতে রাজি না হলে এ বিষয়ে তার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে করা হয়েছে আমি এ ঘটনার সাথে জড়িত নই। বরং বাদীর বিরুদ্ধে তিনি জোড় করে বাড়ি দখলের দাবি করেন। তিনি বলেন, বাদী ইকবালের নামে কোন জমির দলিল নাই। তিনি জোড় পূর্বক বাড়িটি দখল করে আছেন।

এ বিষয়ে চলমান মামলা রয়েছে সুতরাং আদালতের ব্যাপার ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে আপনি কেন জড়িত হলেন জানতে চাইলে তিনি এর কোন সদুত্তর দেননি।

বিজনেস আওয়ার/০২ জুন, ২০২২/এসএইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: