বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মাঙ্কিপক্স থেকে সংক্রামণ থেকে বাঁচতে সব দেশকেই সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। তবে যেসব দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাদেরকে এখনই ৫টি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
পরামর্শগুলো হচ্ছে : ভয় বা আতঙ্ক নয়, জনগণের মধ্যে বিভিন্ন প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে মাঙ্কিপক্স সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে। এটি কীভাবে ছড়ায় ও কতটা গুরুতর তা সবাইকে জানতে হবে।; মাঙ্কিপক্সের উপসর্গসমূহ শরীরে প্রকাশ পেলে যেনো নিজ থেকেই আইসোলেশনে চলে যায়, সে ব্যবস্থা বা সচেতনতা বাড়াতে হবে। এতে করে আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবার ও অন্যান্যরা সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাবে।; ফ্রন্টলাইনার স্বাস্থ্যকর্মীদের অবশ্যই বেশি সতর্ক থাকতে হবে। যারা এ ধরনের রোগীর পরিচর্যা করছেন কিংবা পরীক্ষার জন্য নমুনা নিচ্ছেন, তাদেরকে অবশ্যই ব্যক্তিগত সুরক্ষা বজায় রাখতে হবে।; সবাইকে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যারা বিভিন্ন রকমের সংক্রমণের ঝুঁকিতে আছেন, তাদেরকে অবশ্যই অ্যান্টিভাইরাল ও ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে হবে এবং শরীরে মাঙ্কিপক্সের কোনো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত সময়ের মধ্যে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। দ্রুত রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত বেশিরভাগ রোগীই জ্বর, শরীরে ব্যথা, ঠান্ডা ও ক্লান্তি অনুভব করেন। কেউ গুরুতর অসুস্থ হলে তাদের মুখে ও হাতে ফুসকুড়ি-ক্ষত হতে পারে, যা শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
মাঙ্কিপক্স গুটিবসন্তের সঙ্গে সম্পর্কিত, তবে এর লক্ষণগুলো হালকা। জানা গেছে, গুটিবসন্তের ভ্যাকসিনগুলোও মাঙ্কিপক্সের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক। তাই মাঙ্কিপক্স সংক্রমণে আতঙ্কিত না হয়ে বরং সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পাশাপাশি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।
বিজনেস আওয়ার/০৮ জুন, ২০২২/কমা