ঢাকা , রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উজ্জল হত্যা: তিন জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২
  • 30

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার বতিহালা গ্রামের ব্যবসায়ী মো. উজ্জল মিয়া হত্যা মামলায় তিন জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৬ জনের যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৪ জুন) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মনির কামালের আদালত এ আদেশ দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-নওশাদ, শাহাবুদ্দিন ও সবুজ। আর যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মরম, মহিম, কারিম, জসিম, মিয়া হোসেন ও জালাল উদ্দিন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ইসলাম, এমদাদুল, কুদ্রত আলী ও হাছেন আলীকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আরেক আসামি রশিদ মামলার বিচার চলাকালে মারা যান।

জানা যায়, উজ্জল মিয়ার সাথে আসামিদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। ২০১৩ সালের ২৭ মার্চ রাত ৯ টার দিকে পাশের এলাকা থেকে বার্ষিক দোলযাত্রা মেলা থেকে মোটরসাইকেলে ফিরছিলেন উজ্জল মিয়া। তার সঙ্গে ছিলেন নজর আলী ও কালাম। বতিহালা এবতেদায়ী মাদ্রাসার কাছে পৌঁছালে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা আসামিরা উজ্জলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাকে মারাত্মক জখম করে, দুই পা ভেঙে দেয়। উজ্জলের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা পালিয়ে যায়। উজ্জলকে ধোবাউড়া হাসপাতালে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় উজ্জলের বড় ভাই কুদরত আলী ধোবাউড়া থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেন সিআইডির সাব-ইন্সপেক্টর পরিমল চন্দ্র সরকার। ২০১৫ সালের ২৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ২৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

বিজনেস আওয়ার/১৪ জুন, ২০২২/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

উজ্জল হত্যা: তিন জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ

পোস্ট হয়েছে : ১২:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার বতিহালা গ্রামের ব্যবসায়ী মো. উজ্জল মিয়া হত্যা মামলায় তিন জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৬ জনের যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৪ জুন) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মনির কামালের আদালত এ আদেশ দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-নওশাদ, শাহাবুদ্দিন ও সবুজ। আর যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মরম, মহিম, কারিম, জসিম, মিয়া হোসেন ও জালাল উদ্দিন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ইসলাম, এমদাদুল, কুদ্রত আলী ও হাছেন আলীকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আরেক আসামি রশিদ মামলার বিচার চলাকালে মারা যান।

জানা যায়, উজ্জল মিয়ার সাথে আসামিদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। ২০১৩ সালের ২৭ মার্চ রাত ৯ টার দিকে পাশের এলাকা থেকে বার্ষিক দোলযাত্রা মেলা থেকে মোটরসাইকেলে ফিরছিলেন উজ্জল মিয়া। তার সঙ্গে ছিলেন নজর আলী ও কালাম। বতিহালা এবতেদায়ী মাদ্রাসার কাছে পৌঁছালে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা আসামিরা উজ্জলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাকে মারাত্মক জখম করে, দুই পা ভেঙে দেয়। উজ্জলের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা পালিয়ে যায়। উজ্জলকে ধোবাউড়া হাসপাতালে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় উজ্জলের বড় ভাই কুদরত আলী ধোবাউড়া থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেন সিআইডির সাব-ইন্সপেক্টর পরিমল চন্দ্র সরকার। ২০১৫ সালের ২৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ২৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

বিজনেস আওয়ার/১৪ জুন, ২০২২/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: