ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিস্তার পানি কমলেও শঙ্কা কাটেনি

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জুন ২০২২
  • 55

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদকঃ তিস্তার পানি কমলেও এখনো শঙ্কা কাটেনি জনজীবনে। নীলফামারীতে তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

শনিবার (১৮ জুন) সকাল ৯ টায় পানি প্রবাহ ছিলো ৫২.৩৫ মিটারে। পানি বিপৎসীমার পরিমাপ হচ্ছে ৫২.৬০ মিটার। সকালে এই বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এতে তিস্তা নদীর কমান্ড এলাকার চর ও নিম্নাঞ্চলে মানুষের বাড়ি হতে পানি নেমে গেছে। তবে আবার যে কোন সময় পানিবন্দী হয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।

টেপাখড়িবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক বলেন, পানি কমেছে। তবে কতক্ষণ এ অবস্থা থাকে এটাই দেখার বিষয়। বৃষ্টির পানির চেয়ে উজান থেকে নেমে আসা পানিই তিস্তা নদীর অবস্থার পরিবর্তন করে। তাই বর্ষা আসলেই নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারি না। কখন সবকিছু ডুবিয়ে নিয়ে যাবে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা বলেন, তিস্তার পানি অনেক কমে এসেছে। আজ সকাল ৯ টায় বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমলেও আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি সবসময়। তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।

নদীবেষ্টিত কেল্লাপাড়া চরের বাসিন্দা ওমর ফারুক বলেন, নদীর পানি কমায় আমাদের বাড়ি থেকে পানি নেমে গেছে। তবে দুর্ভোগ এখনো কমে যায়নি। তবে গোটা এলাকা কাদাময় রয়েছে। আবার উজান হতে ধেয়ে আসা ভারতের পানি কখন সবকিছু ডুবিয়ে দেবে তা বলা মুশকিল।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৭ জুন) ডালিয়া পয়েন্টের তিস্তা ব্যারাজে সকাল ৬ টায় নদীর পানি বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিলো। নদীর পানি বাড়ায় তিস্তা কমান্ড এলাকার চর ও নিম্নাঞ্চলে কয়েক শত পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে।

বিজনেস আওয়ার/ ১৮ জুন, ২০২২/ এস এইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

তিস্তার পানি কমলেও শঙ্কা কাটেনি

পোস্ট হয়েছে : ১১:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জুন ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদকঃ তিস্তার পানি কমলেও এখনো শঙ্কা কাটেনি জনজীবনে। নীলফামারীতে তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

শনিবার (১৮ জুন) সকাল ৯ টায় পানি প্রবাহ ছিলো ৫২.৩৫ মিটারে। পানি বিপৎসীমার পরিমাপ হচ্ছে ৫২.৬০ মিটার। সকালে এই বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এতে তিস্তা নদীর কমান্ড এলাকার চর ও নিম্নাঞ্চলে মানুষের বাড়ি হতে পানি নেমে গেছে। তবে আবার যে কোন সময় পানিবন্দী হয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।

টেপাখড়িবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক বলেন, পানি কমেছে। তবে কতক্ষণ এ অবস্থা থাকে এটাই দেখার বিষয়। বৃষ্টির পানির চেয়ে উজান থেকে নেমে আসা পানিই তিস্তা নদীর অবস্থার পরিবর্তন করে। তাই বর্ষা আসলেই নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারি না। কখন সবকিছু ডুবিয়ে নিয়ে যাবে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা বলেন, তিস্তার পানি অনেক কমে এসেছে। আজ সকাল ৯ টায় বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমলেও আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি সবসময়। তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।

নদীবেষ্টিত কেল্লাপাড়া চরের বাসিন্দা ওমর ফারুক বলেন, নদীর পানি কমায় আমাদের বাড়ি থেকে পানি নেমে গেছে। তবে দুর্ভোগ এখনো কমে যায়নি। তবে গোটা এলাকা কাদাময় রয়েছে। আবার উজান হতে ধেয়ে আসা ভারতের পানি কখন সবকিছু ডুবিয়ে দেবে তা বলা মুশকিল।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৭ জুন) ডালিয়া পয়েন্টের তিস্তা ব্যারাজে সকাল ৬ টায় নদীর পানি বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিলো। নদীর পানি বাড়ায় তিস্তা কমান্ড এলাকার চর ও নিম্নাঞ্চলে কয়েক শত পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে।

বিজনেস আওয়ার/ ১৮ জুন, ২০২২/ এস এইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: