বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ‘একসময় ধারণা করা হতো যে, বাংলাদেশে কোনো বড় ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট গড়ে তোলা অসম্ভব। কিন্তু ওয়ালটন তা মিথ্যা প্রমাণ করে চলেছে। অসম্ভবকে সম্ভব করছে তারা। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় গড়ে তুলেছে বিশাল একেকটা ইন্ডাস্ট্রি। ওয়ালটনে কাজ করছেন তরুণ এবং মেধাবী মানুষেরা। পণ্য উৎপাদনসহ সবকিছুতেই টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করছে। শিগগিরই ওয়ালটন বিশ্বের শীর্ষ ব্র্যান্ডে পরিণত হবে।’
শনিবার (১৮ জুন, ২০২২) গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেড কোয়ার্টারে পরিদর্শনকালে দেশের বিশিষ্টজনরা এসব কথা বলেন। ৫০ পেশাজীবী বিশিষ্টজনের মধ্যে ছিলেন দেশের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী, কনসালট্যান্ট ও স্বনামধন্য স্থপতি।
অতিথিদের মধ্যে ছিলেন—ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) প্রফেসর ড. হাসান মাহমুদ, সিএফই বিভাগের প্রধান মোস্তফা আফরোজ, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের ইইই বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. জি.আর আহমেদ জামাল ও অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর এএইচএম জাদিদুল করিম, ইন্টেগ্রেটেড ডিজাইন কনসাসল্যান্টের সিইও প্রফেসর বেলাল আহমেদ, ইউটিলিটি প্রফেশনালস প্রকৌশলী মো. হাসমতুজ্জামান ও শাহানা ইয়াসমিন পলি, আমেরিকাভিত্তিক কনসালট্যান্সি ফার্ম অ্যাশরের রিসার্চ প্রোমোশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমান, প্রকৌশলী তসলিম উদ্দীন, প্রকৌশলী কাজী আনিসুর রহমান, প্রকৌশলী শাহাদাৎ হোসেন, ডুয়েট প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, বাংলাদেশ গ্রিন বিল্ডিং একাডেমির প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী আল-ইমরান হোসাইন, ইলেকট্রোমেকানিক্যাল কন্ট্রোল সার্ভিসের (ইএমসিএস) কনসালট্যান্ট মো. এরশাদ জামান খান, মার্ক আর্কিটেকস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসাইন, ইনোভেশন কনসালট্যান্টের প্রকৌশলী নজরুল, অ্যাশরের জুয়েল দাস, রুশদানা জাহান, মো. কবিরুল হক, মো. ইকবাল মাহমুদ, ওমর ফারুক, মো. হুমায়ূন কবির ও প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ, স্থপতি সংসদ লিমিটেডের সিনিয়র আর্কিটেক মফিজুল কবির খান, আর্কিটেক আমির হামজা ও সাদিয়া ফেরদৌস, ৩৬০ টোটাল সল্যুশন লিমিটেডের এমডি অনন্ত মাহমুদ, প্রফেসর রেজাউল হামিদ, অ্যাভিয়েশন ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালট্যান্ট প্রকৌশলী নাজিম উদ্দীন, মার্ক আর্কিটেকস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের প্রকৌশলী চিন্ময় বিশ্বাস, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার মো. আলামিন সরকর, কে অ্যান্ড ডি সল্যুশনের মো. মাহফিজুর রহমান, কনসার্ভ কনসালট্যান্টস প্রাইভেট লিমিটেডের প্রকৌশলী আসিফ হোসাইন, এসেল আর্কিটেকস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের এমডি আলমগীর বিপ্লব, মডিউল আর্কিটেক লিমিটেডের সামিউল হক, এ++এএ এর প্রকৌশলী এরশাদ, লিড আর্কিটেক্টস লিমিটেডের এমডি জাকিরুল ইসলাম, ইয়ুথ গ্রুপের প্রকৌশলী গোলাম সারোয়ার সজিব, এবিসি রিসার্চ ফার্মের প্রকৌশলী সায়্যেদুল হক ফকির, এআরপিএইচভিআইজেড আর্কিটেক ফার্মের আর্কিটেক মেহেরুন ফারজানা ও প্রকৌশলী শামসুল আরিফ, ডিজাইন সোর্সের শাহরিয়ার আলম লিমন প্রমুখ।
ইউটিলিটি প্রফেশনালসের সিইও প্রকৌশলী মো. হাসমতুজ্জামান বলেন, ‘ওয়ালটন তাদের কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বৈশ্বিক অঙ্গনে তুলে ধরছে। ওয়ালটনের প্রোডাকশন প্ল্যান্টে দারুণ স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বিরাজ করছে। খুব সাজানো-গোছানো আর পরিপাটি ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট। এখানে সবকিছুই খুবই পরিকল্পিত উপায়ে তৈরি করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মানের ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট এটি। এই উৎপাদন কারখানা দেখে আমরা মুগ্ধ।’
কনসালট্যান্সি ফার্ম অ্যাশরে বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী কবিরুল হক বলেন, ‘ওয়ালটন সবকিছুতেই আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে চেষ্টা করছে। এটা বাংলাদেশের জন্য খুবই ইতিবাচক। ওয়ালটনের এই এগিয়ে যাওয়ায় সব ধরনের সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত অ্যাশরে বাংলাদেশ।’
এর আগে সকালে অতিথিরা ওয়ালটন হেড কোয়ার্টারে পৌঁছালে তাদের স্বাগত জানান ওয়ালটনের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন (আরঅ্যান্ডআই) সেন্টারের প্রধান তাপস কুমার মজুমদার এবং ওয়ালটনের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও এইচভিএসি অ্যান্ড লাইট কমার্সিয়াল সেকশনের ইনচার্জ খন্দকার শাহরিয়ার মুরশিদ।
সে সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের হেড অব সিএসডি আহমেদ তানভির, কমার্শিয়াল এসি আরঅ্যান্ডডি বিভাগের প্রধান শামীম আক্তার মুগ্ধ, ওয়ালটন লিফটের ডেপুটি সিবিও জাহিদুর রহমান প্রমুখ।
গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেড কোয়ার্টারে পৌঁছে কনফারেন্স রুমে অতিথিরা প্রথমে ওয়ালটনের বিশাল কর্মযজ্ঞের ওপর নির্মিত ভিডিও ডক্যুমেন্টারি উপভোগ করেন। এরপর তারা ওয়ালটনের সুসজ্জিত প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টার ঘুরে দেখেন। পর্যায়ক্রমে অতিথিরা বিশ্বমানের কম্প্রেসর, এলিভেটর বা লিফট এবং ভিআরএফ এয়ার কন্ডিশনার ইত্যাদি উৎপাদন কারখানা পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ওয়ালটনই প্রথম সম্পূর্ণ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কম্প্রেসর, লিফট এবং ভিআরএফ এয়ার কন্ডিশনার উৎপাদন করেছে। ওয়ালটনের ভিআরএফ ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট বিশ্বে ১৫তম। আন্তর্জাতিক মানের বিদ্যুৎসাশ্রয়ী স্প্লিট, লাইট কমার্শিয়াল ও ভিআরএফ (ভেরিয়্যাবল রেফফ্রিজারেন্ট ফ্লো) এসি বাজারজাত করছে ওয়ালটন। শিল্প-কারখানা, করপোরেট প্রতিষ্ঠান, শপিং মল, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আবাসিক ভবনসহ মাঝারি ও বড় আকারের বেশিরভাগ স্থাপনাতেই বেড়েছে ওয়ালটন এসির চাহিদা।
বিজনেস আওয়ার/১৯ জুন, ২০২২/কমা