ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অযোগ্য এজেন্সির মাধ্যমে এতো কর্মী পাঠানো সম্ভব না

  • পোস্ট হয়েছে : ০৯:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২
  • 69

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে কথিত ২৫ সিন্ডিকেটের মূলহোতা রুহুল আমিন স্বপনের এক পরিবারের ৪টি লাইসেন্স রয়েছে। এ ছাড়া ২৫ লাইসেন্সের মধ্যে ১৪টি নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। একই সঙ্গে মালয়েশিয়ায় দাতো শ্রী আমিন ও বাংলাদেশের রুহুল আমিন স্বপন সিন্ডিকেট করে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে ১৫টি অযোগ্য, অনভিজ্ঞ এবং নতুন এজেন্সিকে সিন্ডিকেটের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এই ২৫ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ১০ থেকে ১৫ লাখ কর্মী পাঠানো কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

রাজধানীর একটি হোটেলে শনিবার বায়রা সিন্ডিকেটবিরোধী মহাজোট আয়োজিত জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের মিটিংয়ের পরও মালয়েশিয়া শ্রমবাজার বিলম্ব হওয়ার কারণে, তথাকথিত ২৫ সিন্ডিকেটকে বাদ দিয়ে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ‘জিরো কস্ট, মর্যাদাপূর্ণ অভিবাসনের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী প্রেরণের জন্য অতি সত্বর উন্মুক্তকরণ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বায়রা সিন্ডিকেটবিরোধী মহাজোটের নেতারা এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে রিক্রুটিং এজেন্সি ঐক্য পরিষদের সভাপতি টিপু সুলতান বলেন, সিন্ডিকেটের হোতা রুহুল আমিন স্বপনের ৪টি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে- পাথ ফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনাল-লাইসেন্স নং-১২৯৮, সরকার ইন্টারন্যাশনাল-লাইসেন্স নং-১৭১৫, আমিয়াল ইন্টারন্যাশনাল-লাইসেন্স নং-১৩২৬ এবং ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনাল, যার লাইসেন্স নং-৫৪৯। এছাড়া ২৫ লাইসেন্সের মধ্যে ১৪টি নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। এর আগেও সিন্ডিকেট করে রুহুল আমিন স্বপন দেশের সাধারণ মানুষদের মালয়েশিয়ায় নেওয়ার কথা বলে নি:স্ব করেছে। এবারও নিজের হাতেই তালিকা তৈরি করে মালয়েশিয়ান মানবসম্পদমন্ত্রীর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে চায়।

টিপু সুলতান বলেন, সিন্ডিকেটের বাধার মুখে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত হচ্ছে না। রুহুল আমিন স্বপনের নিজেরই চারটি লাইসেন্স। চারটি লাইসেন্স একজনের। এটা কী করে হয়? তিনি বলেন, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমদ মনিরুছ সালেহীনের ছেলে রাফিত মালয়েশিয়ার কথিত ২৫ সিন্ডিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইম্পেরিয়াল রিসোর্সের লাইসেন্স তাদের। এই কোম্পানির পরিচালক তার ছেলে। এসব কারণে প্রবাসী সচিবকে পদত্যাগ করতে হবে। ১৩ সোর্সকান্ট্রি থেকে যে প্রক্রিয়ায় মালয়েশিয়ায় কর্মী যায় বাংলাদেশ থেকেও একই প্রক্রিয়ায় কর্মী পাঠাতে হবে।

টিপু সুলতান আরও বলেন, কথিত ২৫ পরিহার করে সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত করতে হবে। ত্রুটিপূর্ণ সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ সম্ভব নয়। মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী সারাভানানকে ২৫ সিন্ডিকেট নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া সঠিক হয়নি। মালয়েশিয়ায় দশ লাখ অভিবাসী কর্মীর চাহিদা রয়েছে। সকল রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী প্রেরণের সুযোগ দেয়া হলে স্বল্প অভিবাসন ব্যয়ে এক বছরেই দশ লাখ কর্মী প্রেরণ করা সম্ভব।

জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বায়রার সাবেক সভাপতি ও ইউনিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহা. নূর আলী আলী বলেন, রুহুল আমিন স্বপনকে সহযোগিতা করার মধ্যে দিয়ে সরকারের স্বার্থ কোথায়? ২৫ সিন্ডিকেটের মধ্যে রুহুল আমিন স্বপনের ৪টি প্রতিষ্ঠান এবং এই ২৫টি এজেন্সির ১৪টি এজেন্সি তিনি নিয়ন্ত্রণ করে। বর্তমান পরিস্থিতিত রিক্রুটিং এজেন্সি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া উভয় সরকারের হস্তক্ষেপ করা উচিত। পাশাপাশি অভিজ্ঞ এজেন্সিগুলোকে কাজ করার সুযোগ দেওয়া উচিত বলেও মনে করি।

বায়রার সাবেক মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান বলেন, গত ২ জুন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী সারাভানান বাংলাদেশ সফরে আসেন এবং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমদের সঙ্গে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের মিটিংয়ের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণের প্রক্রিয়া নিশ্চিত করেন। আমরা অত্যন্ত আশাবাদী ছিলাম এই মিটিংয়ের মাধ্যমে সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত করা হবে।

শামীম আহমেদ চৌধুরী আরো বলেন, বাংলাদেশ থেকে সিংগাপুর, জাপান এবং হংকং এর সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মী প্রেরণ করা হয় বলে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী যে বিবৃতি দিয়েছেন তা সঠিক নয়। কিন্তু ওই তিন দেশে কর্মী প্রেরণ করার জন্য আমাদের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় কিছু নিয়ম বেঁধে দিয়েছেন। ওই নিয়ম অনুসরণ করে আমাদের সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি কর্মী প্রেরণ করতে পারেন। কিন্তু তিনটি দেশে শ্রমবাজারে কর্মী প্রেরণের হার অত্যন্ত কম এবং অনেক ব্যয়বহুল বিধায় অধিকাংশ এজেন্সি এসব দেশে কর্মী পাঠাতে অনাগ্রহী। দুঃখের বিষয় মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী ওই তিনটি দেশে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মী প্রেরণ করা হয় বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যোগ দেন ‘মালয়েশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব প্রাইভেট এমপ্লয়ার্স’-এর মহাসচিব সুকুমার নায়ার। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তিনি বলেন, ‘২৫ সিন্ডিকেটের বিষয়টি এখন মালয়েশিয়ায়ও আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং আমরা এই সিন্ডিকেট প্রত্যাখ্যান করে আসছি।’ সুকুমার নায়ার আরও বলেন, ‘মালয়েশিয়া সরকার যে ২৫ এজেন্সি বাছাই করেছে, তাদের পক্ষে এত বিপুল পরিমাণ কর্মী পাঠানো সম্ভব হবে নয়।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বায়রার সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার, সাবেক মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হায়দার চৌধুরী, সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাত হোসেন, সাবেক অর্থসচিব মিজানুর রহমান প্রমুখ।

বিজনেস আওয়ার/২৩ জুন, ২০২২/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

অযোগ্য এজেন্সির মাধ্যমে এতো কর্মী পাঠানো সম্ভব না

পোস্ট হয়েছে : ০৯:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে কথিত ২৫ সিন্ডিকেটের মূলহোতা রুহুল আমিন স্বপনের এক পরিবারের ৪টি লাইসেন্স রয়েছে। এ ছাড়া ২৫ লাইসেন্সের মধ্যে ১৪টি নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। একই সঙ্গে মালয়েশিয়ায় দাতো শ্রী আমিন ও বাংলাদেশের রুহুল আমিন স্বপন সিন্ডিকেট করে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে ১৫টি অযোগ্য, অনভিজ্ঞ এবং নতুন এজেন্সিকে সিন্ডিকেটের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এই ২৫ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ১০ থেকে ১৫ লাখ কর্মী পাঠানো কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

রাজধানীর একটি হোটেলে শনিবার বায়রা সিন্ডিকেটবিরোধী মহাজোট আয়োজিত জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের মিটিংয়ের পরও মালয়েশিয়া শ্রমবাজার বিলম্ব হওয়ার কারণে, তথাকথিত ২৫ সিন্ডিকেটকে বাদ দিয়ে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ‘জিরো কস্ট, মর্যাদাপূর্ণ অভিবাসনের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী প্রেরণের জন্য অতি সত্বর উন্মুক্তকরণ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বায়রা সিন্ডিকেটবিরোধী মহাজোটের নেতারা এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে রিক্রুটিং এজেন্সি ঐক্য পরিষদের সভাপতি টিপু সুলতান বলেন, সিন্ডিকেটের হোতা রুহুল আমিন স্বপনের ৪টি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে- পাথ ফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনাল-লাইসেন্স নং-১২৯৮, সরকার ইন্টারন্যাশনাল-লাইসেন্স নং-১৭১৫, আমিয়াল ইন্টারন্যাশনাল-লাইসেন্স নং-১৩২৬ এবং ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনাল, যার লাইসেন্স নং-৫৪৯। এছাড়া ২৫ লাইসেন্সের মধ্যে ১৪টি নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। এর আগেও সিন্ডিকেট করে রুহুল আমিন স্বপন দেশের সাধারণ মানুষদের মালয়েশিয়ায় নেওয়ার কথা বলে নি:স্ব করেছে। এবারও নিজের হাতেই তালিকা তৈরি করে মালয়েশিয়ান মানবসম্পদমন্ত্রীর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে চায়।

টিপু সুলতান বলেন, সিন্ডিকেটের বাধার মুখে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত হচ্ছে না। রুহুল আমিন স্বপনের নিজেরই চারটি লাইসেন্স। চারটি লাইসেন্স একজনের। এটা কী করে হয়? তিনি বলেন, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমদ মনিরুছ সালেহীনের ছেলে রাফিত মালয়েশিয়ার কথিত ২৫ সিন্ডিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইম্পেরিয়াল রিসোর্সের লাইসেন্স তাদের। এই কোম্পানির পরিচালক তার ছেলে। এসব কারণে প্রবাসী সচিবকে পদত্যাগ করতে হবে। ১৩ সোর্সকান্ট্রি থেকে যে প্রক্রিয়ায় মালয়েশিয়ায় কর্মী যায় বাংলাদেশ থেকেও একই প্রক্রিয়ায় কর্মী পাঠাতে হবে।

টিপু সুলতান আরও বলেন, কথিত ২৫ পরিহার করে সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত করতে হবে। ত্রুটিপূর্ণ সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ সম্ভব নয়। মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী সারাভানানকে ২৫ সিন্ডিকেট নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া সঠিক হয়নি। মালয়েশিয়ায় দশ লাখ অভিবাসী কর্মীর চাহিদা রয়েছে। সকল রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী প্রেরণের সুযোগ দেয়া হলে স্বল্প অভিবাসন ব্যয়ে এক বছরেই দশ লাখ কর্মী প্রেরণ করা সম্ভব।

জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বায়রার সাবেক সভাপতি ও ইউনিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহা. নূর আলী আলী বলেন, রুহুল আমিন স্বপনকে সহযোগিতা করার মধ্যে দিয়ে সরকারের স্বার্থ কোথায়? ২৫ সিন্ডিকেটের মধ্যে রুহুল আমিন স্বপনের ৪টি প্রতিষ্ঠান এবং এই ২৫টি এজেন্সির ১৪টি এজেন্সি তিনি নিয়ন্ত্রণ করে। বর্তমান পরিস্থিতিত রিক্রুটিং এজেন্সি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া উভয় সরকারের হস্তক্ষেপ করা উচিত। পাশাপাশি অভিজ্ঞ এজেন্সিগুলোকে কাজ করার সুযোগ দেওয়া উচিত বলেও মনে করি।

বায়রার সাবেক মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান বলেন, গত ২ জুন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী সারাভানান বাংলাদেশ সফরে আসেন এবং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমদের সঙ্গে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের মিটিংয়ের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণের প্রক্রিয়া নিশ্চিত করেন। আমরা অত্যন্ত আশাবাদী ছিলাম এই মিটিংয়ের মাধ্যমে সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত করা হবে।

শামীম আহমেদ চৌধুরী আরো বলেন, বাংলাদেশ থেকে সিংগাপুর, জাপান এবং হংকং এর সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মী প্রেরণ করা হয় বলে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী যে বিবৃতি দিয়েছেন তা সঠিক নয়। কিন্তু ওই তিন দেশে কর্মী প্রেরণ করার জন্য আমাদের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় কিছু নিয়ম বেঁধে দিয়েছেন। ওই নিয়ম অনুসরণ করে আমাদের সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি কর্মী প্রেরণ করতে পারেন। কিন্তু তিনটি দেশে শ্রমবাজারে কর্মী প্রেরণের হার অত্যন্ত কম এবং অনেক ব্যয়বহুল বিধায় অধিকাংশ এজেন্সি এসব দেশে কর্মী পাঠাতে অনাগ্রহী। দুঃখের বিষয় মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী ওই তিনটি দেশে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মী প্রেরণ করা হয় বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যোগ দেন ‘মালয়েশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব প্রাইভেট এমপ্লয়ার্স’-এর মহাসচিব সুকুমার নায়ার। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তিনি বলেন, ‘২৫ সিন্ডিকেটের বিষয়টি এখন মালয়েশিয়ায়ও আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং আমরা এই সিন্ডিকেট প্রত্যাখ্যান করে আসছি।’ সুকুমার নায়ার আরও বলেন, ‘মালয়েশিয়া সরকার যে ২৫ এজেন্সি বাছাই করেছে, তাদের পক্ষে এত বিপুল পরিমাণ কর্মী পাঠানো সম্ভব হবে নয়।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বায়রার সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার, সাবেক মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হায়দার চৌধুরী, সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাত হোসেন, সাবেক অর্থসচিব মিজানুর রহমান প্রমুখ।

বিজনেস আওয়ার/২৩ জুন, ২০২২/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: