বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : করোনার মধ্যে দেশে বছরের ব্যবধানে কোটিপতি বেড়েছে ৯ হাজার ৩২৫। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন তথ্য সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বুধবার (২২ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংক এই হালানাগাদ তথ্য প্রকাশ করে।
জানা গেছে, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত অন্তত এক কোটি টাকা রয়েছে-এমন ব্যাংক হিসাবধারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ তিন হাজার ৫৯৭টি। গত বছরের একই সময় কোটি টাকা রয়েছে এমন হিসাবধারী ছিল ৯৪ হাজার ২৭২টি। এহিসেবে বছরের ব্যবধানে দেশে কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন ৯ হাজার ৩২৫ জন।
২০২১ সালের ডিসেম্বরের শেষে কোটি টাকা রয়েছে-এমন ব্যাংক হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল এক লাখ এক হাজার ৯৭৬টি। অর্থাৎ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মুদ্রাস্ফীতির হুমকি সত্ত্বেও ২০২২ সালের প্রথম তিন মাসে দেশে কোটিপতি ব্যাংক হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েছে এক হাজার ৬২১টি।
২০২০ সালের মার্চ মাসে ব্যাংকিং ব্যবস্থায় এক কোটি টাকার বেশি আছে-এমন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিল ৮২ হাজার ৬২৫টি।
২০২২ সালের জানুয়ারি-মার্চ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, কোটিপতিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমার পরিমাণ বেড়েছে ৯ হাজার ৬৪৭ কোটি টাকা। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত কোটিপতিদের অ্যাকাউন্টে মোট জমার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৬৩ লাখ কোটি টাকার বেশি। গত বছরের শেষে অর্থাৎ ডিসেম্বরে তা ছিল প্রায় ৬ দশমিক ৫৪ লাখ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, কোটি টাকার হিসাবের সংখ্যা মোট ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ১ শতাংশেরও কম। তবে মোট জমার প্রায় ৪৪ শতাংশ রয়েছে এসব অ্যাকাউন্টে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে মোট হিসাবধারীর সংখ্যা ১২ কোটি ৭৩ লাখ ৫২ হাজার ৮৯৩টি এবং এসব হিসাবে জমা আছে ১৫ লাখ ১৪ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকা।
২০২১ সালে দেশে মোট ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিল ১১ কোটি ৮৫ লাখ ৫২ হাজার এবং এসব হিসাবে জমা ছিল ১৩ লাখ ৮৪ হাজার ৩২৫ কোটি টাকা।
বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে কোটিপতির সংখ্যা ছিল মাত্র ৫।
বিজনেস আওয়ার/২৩ জুন, ২০২২/কমা