ঢাকা , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গত ১০ বছরে শেয়ারবাজারের কাঠামো তৈরী হয়েছে-বিএসইসি চেয়ারম্যান

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মে ২০২০
  • 183

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : আগে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে কাঠামো (ইনফ্রাস্ট্রাকচার) ছিল না, কিন্তু গত ১০ বছরে আমরা কাঠামো পেয়েছি। এছাড়া আইন-কানুন নীতিমালা তৈরি হয়েছে। এখন সময় হচ্ছে আমাদের সবার একটা ভালো ক্যাপিটাল মার্কেট দেয়া। সেটা নিয়ে আমরা এখন কাজ করবো। আমরা এখন কাঠামো, নীতিমালা ও সুযোগ-সুবিধা সব পেয়ে গেছি, অল্প কিছু কাজ করতে হবে। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে মার্কেটটাকে ঠিকভাবে গড়ে তোলা। একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাতকারে বিএসইসির নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম এসব কথা বলেছেন।

শিবলী রুবাইয়াত বলেন, অনেক চ্যালেঞ্জ অনেক সুযোগ সৃষ্টি করে। আমি মনে করি অনেক বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী আমরা। আমরা এই চ্যালেঞ্জটিকে সবার সহযোগিতায় মোকাবিলা করবো। এছাড়া সামনের দিনগুলোতে বাজারকে একটি সত্যিকার রুপ দেয়ার জন্য ও যেটা সবাই আশা করে, সেটা দেয়ার জন্য সচেষ্ট থাকবো এবং চেষ্টা করবো।

সবাই ইক্যুইটি মার্কেট নিয়ে চিন্তা করছে জানিয়ে বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, আমি ইক্যুইটি মার্কেটকে নিশ্চয়ই খেয়াল করবো এবং সেখানে নতুন নতুন ভালো কোয়ালিটির যাতে আইপিও আসে সেদিকে খেয়াল রাখবো। সুশাসনের বিষয়টিও দেখবো নিশ্চয়ই। এখানে বন্ড মার্কেট ও ডেরিভেটিবস নিয়ে কাজ করার সুযোগ আছে। ফিউচার অপশন নিয়েও কাজ করার সুযোগ আছে। যদিও আমাদের ডেরিভেটিবসের ক্ষেত্রে হয়তো অভিজ্ঞতার অভাব থাকতে পারে। তারপরেও আমরা প্রথমে বন্ড মার্কেটটাকে নিয়ে খুবই বড়ভাবে কাজ করার চিন্তা-ভাবনা করব।

তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের ক্ষেত্রে আমরা শেয়ারবাজারকে উৎসাহিত করবো। যাতে দীর্ঘমেয়াদি পুঁজির প্রয়োজনে ব্যবসায়ীরা আমাদের কাছে আসে এবং আমরা তাদেরকে সমাধান দিতে পারি। আমরা সবাই সমন্বয়ের সাথে কাজ করলে, অর্থনীতিকে অনেক কিছু দেয়া সম্ভব। মার্কেটে যারা পার্টিসিপেন্ট সবাইকে নিয়ে এই বাজারকে একটি শক্তিশালী রুপে তৈরি করবো।

বিএসইসির এই নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান বলেন, সব মার্কেটেই যারা দায়িত্বে থাকেন, তারা নিশ্চই চাইবেন ভালো আইপিও আসুক। আসলে আমাদের যাচাই-বাছাইয়ের পরেইতো ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা সেই সব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে। যারা এইসব কোম্পানির বিভিন্ন আর্থিক হিসাব নিরীক্ষা (অডিট) করে, তাদেরকে আমি বলবো যাতে আমাদেরকে ঠিকভাবে রিপোর্ট দেয়া হয়। সব তথ্যগুলো যাতে সত্য ও ঠিকভাবে থাকে, তাহলেই আমাদের যাচাই-বাছাইটা ঠিকভাবে সম্ভব হবে। তারপরেও আমরা খেয়াল করবো একজন বিনিয়োগকারীকে বিনিয়োগ করার আগে আমরা নিজেরা কোম্পানিটি সম্পর্কে সন্তুষ্ট কি না। দেশের বড় ও ভালো কোম্পানিগুলোকে শেয়ারবাজারে আসার জন্য আহবান করবো। সব কাগজ ঠিক থাকলে আমরা গতিশীলতার সাথে তাদের যেকোনো দরখাস্ত অল্প সময়ের মধ্যে অনুমতি দেয়ার চেষ্টা করবো।

তিনি বলেন, বাজারে যখন ভালো ভালো প্রডাক্ট আসবে, নতুন নতুন ডাইভারসিফাইড প্রডাক্ট আসবে, বাজারে ইনডেক্স যখন স্ট্যাবল অ্যান্ড হেলদি হবে এবং আমরা যখন গভর্ন্যান্সের ব্যাপারে কাজ করব, তখন বিনিয়োগকারীর আস্থা ফিরে পাবেন। এখন সঞ্চয়ের সুদ হার কমে ফিক্সড ডিপোজিটে ৬ শতাংশ এসেছে। এই পরিস্থিতিতে ভালো বন্ড, ভালো কোনো প্রডাক্ট নিয়ে আসতে পারলে, বিনিয়োগকারীরা এমনি শেয়ারবাজারে চলে আসবে। অল্প সময়ের মধ্যেই তাদের আস্থা নিয়ে মার্কেটটাকে আরো বড় করে তুলতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

অন্যের দেয়া তথ্যের উপর কাজ করেন উল্লেখ করে শিবলী রুবাইয়াত বলেন, আর্থিক হিসাব বিশ্লেষণের ব্যাপারে কমিশন যে কাজগুলো করে, সেই তথ্যগুলো কমিশনের তৈরি করা না। বিভিন্ন কোম্পানি তৈরি করে এবং এগুলো বিভিন্ন নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান হয়ে কমিশনে আসে। তাই সবার প্রতি অনুরোধ থাকবে, যাতে সঠিক তথ্য পাই এবং কোনো ম্যানুপুলেশন না থাকে। তারপরেও আমরা যাচাই-বাছাই করে অবশ্যই দেখবো। এই জিনিসগুলো যদি আমরা ঠিকভাবে সবাই মিলে দায়িত্ব পালন করি, তাহলেই কিন্তু আমরা ঠিক বাজার উপহার দিতে পারবো।

বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, অর্থমন্ত্রণালয়ের অধীনে বিএসইসি, বাংলাদেশ ব্যাংক, ন্যাশনাল বোর্ড অব রেভিনিউসহ অন্যান্য যারা আছে, সবাই যদি সমন্বয় রেখে, নেটওয়ার্কিং রেখে এবং আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে কিন্তু অর্থনীতি এগিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না। আমরা সবাই যদি সমন্বিত আলোচনা মাধ্যমে নীতিমালা প্রস্তুত করি, তাহলে এটুকু আশ্বাস দিতে পারি বাংলাদেশের অর্থনীতি করোনাভাইরাসেরে ক্ষতি পুষিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে তার স্বীয় স্থানে নিয়ে যেতে পারবো।

তিনি মনে করেন, করোনা পরবর্তী সময়ে অর্থনীতিকে পূর্বের অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক আক্রমনাত্মক হতে হবে। তিনি বলেন, আমরা খুব সাবধানে অর্থনীতিকে সেদিকে নিয়ে যাবো। এজন্য শিল্প প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সেক্টর যারা ক্ষতিগ্রস্ত, যেমন ট্যুরিজম সেক্টর, হসপিটিলিটি সেক্টর, রিয়েলস্টেট সেক্টর, টেক্সটাইল সেক্টর, তারা যদি আমাদের কাছে শর্ট টার্ম, লং টার্ম, মিডিয়াম টার্ম বন্ড নিয়ে আসে, আমরা খুব দ্রুত তাদের সাহায্য করব। আইনগত সমস্যা না থাকলে এবং তাদের কাগজপত্র ঠিক থাকলে, খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত দিয়ে তাদের পুঁজির যোগান দিয়ে সাহায্য করতে চাই।

বিজনেস আওয়ার/১৯ মে, ২০২০/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

গত ১০ বছরে শেয়ারবাজারের কাঠামো তৈরী হয়েছে-বিএসইসি চেয়ারম্যান

পোস্ট হয়েছে : ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মে ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : আগে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে কাঠামো (ইনফ্রাস্ট্রাকচার) ছিল না, কিন্তু গত ১০ বছরে আমরা কাঠামো পেয়েছি। এছাড়া আইন-কানুন নীতিমালা তৈরি হয়েছে। এখন সময় হচ্ছে আমাদের সবার একটা ভালো ক্যাপিটাল মার্কেট দেয়া। সেটা নিয়ে আমরা এখন কাজ করবো। আমরা এখন কাঠামো, নীতিমালা ও সুযোগ-সুবিধা সব পেয়ে গেছি, অল্প কিছু কাজ করতে হবে। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে মার্কেটটাকে ঠিকভাবে গড়ে তোলা। একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাতকারে বিএসইসির নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম এসব কথা বলেছেন।

শিবলী রুবাইয়াত বলেন, অনেক চ্যালেঞ্জ অনেক সুযোগ সৃষ্টি করে। আমি মনে করি অনেক বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী আমরা। আমরা এই চ্যালেঞ্জটিকে সবার সহযোগিতায় মোকাবিলা করবো। এছাড়া সামনের দিনগুলোতে বাজারকে একটি সত্যিকার রুপ দেয়ার জন্য ও যেটা সবাই আশা করে, সেটা দেয়ার জন্য সচেষ্ট থাকবো এবং চেষ্টা করবো।

সবাই ইক্যুইটি মার্কেট নিয়ে চিন্তা করছে জানিয়ে বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, আমি ইক্যুইটি মার্কেটকে নিশ্চয়ই খেয়াল করবো এবং সেখানে নতুন নতুন ভালো কোয়ালিটির যাতে আইপিও আসে সেদিকে খেয়াল রাখবো। সুশাসনের বিষয়টিও দেখবো নিশ্চয়ই। এখানে বন্ড মার্কেট ও ডেরিভেটিবস নিয়ে কাজ করার সুযোগ আছে। ফিউচার অপশন নিয়েও কাজ করার সুযোগ আছে। যদিও আমাদের ডেরিভেটিবসের ক্ষেত্রে হয়তো অভিজ্ঞতার অভাব থাকতে পারে। তারপরেও আমরা প্রথমে বন্ড মার্কেটটাকে নিয়ে খুবই বড়ভাবে কাজ করার চিন্তা-ভাবনা করব।

তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের ক্ষেত্রে আমরা শেয়ারবাজারকে উৎসাহিত করবো। যাতে দীর্ঘমেয়াদি পুঁজির প্রয়োজনে ব্যবসায়ীরা আমাদের কাছে আসে এবং আমরা তাদেরকে সমাধান দিতে পারি। আমরা সবাই সমন্বয়ের সাথে কাজ করলে, অর্থনীতিকে অনেক কিছু দেয়া সম্ভব। মার্কেটে যারা পার্টিসিপেন্ট সবাইকে নিয়ে এই বাজারকে একটি শক্তিশালী রুপে তৈরি করবো।

বিএসইসির এই নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান বলেন, সব মার্কেটেই যারা দায়িত্বে থাকেন, তারা নিশ্চই চাইবেন ভালো আইপিও আসুক। আসলে আমাদের যাচাই-বাছাইয়ের পরেইতো ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা সেই সব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে। যারা এইসব কোম্পানির বিভিন্ন আর্থিক হিসাব নিরীক্ষা (অডিট) করে, তাদেরকে আমি বলবো যাতে আমাদেরকে ঠিকভাবে রিপোর্ট দেয়া হয়। সব তথ্যগুলো যাতে সত্য ও ঠিকভাবে থাকে, তাহলেই আমাদের যাচাই-বাছাইটা ঠিকভাবে সম্ভব হবে। তারপরেও আমরা খেয়াল করবো একজন বিনিয়োগকারীকে বিনিয়োগ করার আগে আমরা নিজেরা কোম্পানিটি সম্পর্কে সন্তুষ্ট কি না। দেশের বড় ও ভালো কোম্পানিগুলোকে শেয়ারবাজারে আসার জন্য আহবান করবো। সব কাগজ ঠিক থাকলে আমরা গতিশীলতার সাথে তাদের যেকোনো দরখাস্ত অল্প সময়ের মধ্যে অনুমতি দেয়ার চেষ্টা করবো।

তিনি বলেন, বাজারে যখন ভালো ভালো প্রডাক্ট আসবে, নতুন নতুন ডাইভারসিফাইড প্রডাক্ট আসবে, বাজারে ইনডেক্স যখন স্ট্যাবল অ্যান্ড হেলদি হবে এবং আমরা যখন গভর্ন্যান্সের ব্যাপারে কাজ করব, তখন বিনিয়োগকারীর আস্থা ফিরে পাবেন। এখন সঞ্চয়ের সুদ হার কমে ফিক্সড ডিপোজিটে ৬ শতাংশ এসেছে। এই পরিস্থিতিতে ভালো বন্ড, ভালো কোনো প্রডাক্ট নিয়ে আসতে পারলে, বিনিয়োগকারীরা এমনি শেয়ারবাজারে চলে আসবে। অল্প সময়ের মধ্যেই তাদের আস্থা নিয়ে মার্কেটটাকে আরো বড় করে তুলতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

অন্যের দেয়া তথ্যের উপর কাজ করেন উল্লেখ করে শিবলী রুবাইয়াত বলেন, আর্থিক হিসাব বিশ্লেষণের ব্যাপারে কমিশন যে কাজগুলো করে, সেই তথ্যগুলো কমিশনের তৈরি করা না। বিভিন্ন কোম্পানি তৈরি করে এবং এগুলো বিভিন্ন নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান হয়ে কমিশনে আসে। তাই সবার প্রতি অনুরোধ থাকবে, যাতে সঠিক তথ্য পাই এবং কোনো ম্যানুপুলেশন না থাকে। তারপরেও আমরা যাচাই-বাছাই করে অবশ্যই দেখবো। এই জিনিসগুলো যদি আমরা ঠিকভাবে সবাই মিলে দায়িত্ব পালন করি, তাহলেই কিন্তু আমরা ঠিক বাজার উপহার দিতে পারবো।

বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, অর্থমন্ত্রণালয়ের অধীনে বিএসইসি, বাংলাদেশ ব্যাংক, ন্যাশনাল বোর্ড অব রেভিনিউসহ অন্যান্য যারা আছে, সবাই যদি সমন্বয় রেখে, নেটওয়ার্কিং রেখে এবং আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে কিন্তু অর্থনীতি এগিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না। আমরা সবাই যদি সমন্বিত আলোচনা মাধ্যমে নীতিমালা প্রস্তুত করি, তাহলে এটুকু আশ্বাস দিতে পারি বাংলাদেশের অর্থনীতি করোনাভাইরাসেরে ক্ষতি পুষিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে তার স্বীয় স্থানে নিয়ে যেতে পারবো।

তিনি মনে করেন, করোনা পরবর্তী সময়ে অর্থনীতিকে পূর্বের অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক আক্রমনাত্মক হতে হবে। তিনি বলেন, আমরা খুব সাবধানে অর্থনীতিকে সেদিকে নিয়ে যাবো। এজন্য শিল্প প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সেক্টর যারা ক্ষতিগ্রস্ত, যেমন ট্যুরিজম সেক্টর, হসপিটিলিটি সেক্টর, রিয়েলস্টেট সেক্টর, টেক্সটাইল সেক্টর, তারা যদি আমাদের কাছে শর্ট টার্ম, লং টার্ম, মিডিয়াম টার্ম বন্ড নিয়ে আসে, আমরা খুব দ্রুত তাদের সাহায্য করব। আইনগত সমস্যা না থাকলে এবং তাদের কাগজপত্র ঠিক থাকলে, খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত দিয়ে তাদের পুঁজির যোগান দিয়ে সাহায্য করতে চাই।

বিজনেস আওয়ার/১৯ মে, ২০২০/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: