ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এরশাদের চলে যাওয়ার তিন বছর

  • পোস্ট হয়েছে : ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই ২০২২
  • 76

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : আজ ১৪ জুলাই। সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই সকাল পৌনে ৮টায় ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

এ উপলক্ষে জাতীয় পার্টির কাকরাইলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ সকাল ৮টায় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হবে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মিলনায়তনে হবে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত। বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের। সভায় জাতীয় পার্টির মহাসচিবসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত থাকবেন। পরে দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হবে।

শুক্রবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর শ্যামপুর জুরাইন রেলগেটে এরশাদের স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করবেন জি এম কাদের। জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় স্মরণসভায় উপস্থিত থাকবেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নুসহ জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতারা। অনুষ্ঠান শেষে তিন হাজার সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝ খাবার বিতরণ করা হবে।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৩০ সালের ২০ মার্চ বর্তমান কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলায় তার নানার বাড়িতে জন্ম নেন। তার পৈত্রিক নিবাস অবিভক্ত ভারতের কুচবিহার জেলার দিনহাটা মহকুমা শহরে। তার বাবার নাম মৌলভী মকবুল হোসেন। তিনি ছিলেন একজন খ্যাতনামা আইনজীবী। তার দাদা মৌলভী শাহাদৎ হোসেনও ছিলেন একজন প্রখ্যাত আইনজীবী এবং তিনিই ছিলেন কুচবিহার অঞ্চলের প্রথম মুসলিম আইনজীবী। এরশাদের মায়ের নাম মজিদা খাতুন।

এরশাদ ছিলেন ৯ ভাই-বোনের মধ্যে দ্বিতীয় এবং চার ভাইয়ের মধ্যে প্রথম। তার ডাকনাম ছিল পেয়ারা। তার শৈশব ও কৈশোর কেটেছে দিনহাটায়। দিনহাটা হাইস্কুল থেকে তিনি ১৯৪৬ সালে মেট্রিক পাস করেন। মেট্রিক পাসের পর দিনহাটা ছেড়ে এরশাদ ১৯৪৬-৪৭ শিক্ষাবর্ষে রংপুর কারমাইকেল কলেজে ইন্টারমিডিয়েটে ভর্তি হন। এ কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি ক্রীড়া ও সাহিত্য উভয় ক্ষেত্রে সমানভাবে যুক্ত হন। ১৯৫০ সালে তিনি কারমাইকেল কলেজ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে বিএ পাস করেন। পরে তার বাবার ইচ্ছায় তিনি এমএ পড়তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ভর্তি হন।

১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি তিনি তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের কোহাট সেনানিবাসে পাকিস্তান মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে যোগ দেন। ১৯৫৪ সালে তিনি ময়মনসিংহের স্বনামধন্য খান সাহেব উমেদ আলী সাহেবের কন্যা রওশন আরা ডেইজিকে বিয়ে করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে পশ্চিম পাকিস্তানে আটকা পড়েন তিনি। ১৯৭৩ সালে তিনি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। দেশে ফিরে তিনি আবার সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।

বিজনেস আওয়ার/১৪ জুলাই, ২০২২/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

এরশাদের চলে যাওয়ার তিন বছর

পোস্ট হয়েছে : ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : আজ ১৪ জুলাই। সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই সকাল পৌনে ৮টায় ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

এ উপলক্ষে জাতীয় পার্টির কাকরাইলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ সকাল ৮টায় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হবে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মিলনায়তনে হবে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত। বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের। সভায় জাতীয় পার্টির মহাসচিবসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত থাকবেন। পরে দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হবে।

শুক্রবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর শ্যামপুর জুরাইন রেলগেটে এরশাদের স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করবেন জি এম কাদের। জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় স্মরণসভায় উপস্থিত থাকবেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নুসহ জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতারা। অনুষ্ঠান শেষে তিন হাজার সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝ খাবার বিতরণ করা হবে।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৩০ সালের ২০ মার্চ বর্তমান কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলায় তার নানার বাড়িতে জন্ম নেন। তার পৈত্রিক নিবাস অবিভক্ত ভারতের কুচবিহার জেলার দিনহাটা মহকুমা শহরে। তার বাবার নাম মৌলভী মকবুল হোসেন। তিনি ছিলেন একজন খ্যাতনামা আইনজীবী। তার দাদা মৌলভী শাহাদৎ হোসেনও ছিলেন একজন প্রখ্যাত আইনজীবী এবং তিনিই ছিলেন কুচবিহার অঞ্চলের প্রথম মুসলিম আইনজীবী। এরশাদের মায়ের নাম মজিদা খাতুন।

এরশাদ ছিলেন ৯ ভাই-বোনের মধ্যে দ্বিতীয় এবং চার ভাইয়ের মধ্যে প্রথম। তার ডাকনাম ছিল পেয়ারা। তার শৈশব ও কৈশোর কেটেছে দিনহাটায়। দিনহাটা হাইস্কুল থেকে তিনি ১৯৪৬ সালে মেট্রিক পাস করেন। মেট্রিক পাসের পর দিনহাটা ছেড়ে এরশাদ ১৯৪৬-৪৭ শিক্ষাবর্ষে রংপুর কারমাইকেল কলেজে ইন্টারমিডিয়েটে ভর্তি হন। এ কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি ক্রীড়া ও সাহিত্য উভয় ক্ষেত্রে সমানভাবে যুক্ত হন। ১৯৫০ সালে তিনি কারমাইকেল কলেজ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে বিএ পাস করেন। পরে তার বাবার ইচ্ছায় তিনি এমএ পড়তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ভর্তি হন।

১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি তিনি তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের কোহাট সেনানিবাসে পাকিস্তান মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে যোগ দেন। ১৯৫৪ সালে তিনি ময়মনসিংহের স্বনামধন্য খান সাহেব উমেদ আলী সাহেবের কন্যা রওশন আরা ডেইজিকে বিয়ে করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে পশ্চিম পাকিস্তানে আটকা পড়েন তিনি। ১৯৭৩ সালে তিনি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। দেশে ফিরে তিনি আবার সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।

বিজনেস আওয়ার/১৪ জুলাই, ২০২২/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: